গত ০৫ অক্টেবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ রোজ বৃহস্পতিবার ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে সেন্ট লুইস উচ্চ বিদ্যালয় ও সেন্ট লুইস প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যৌথ আয়োজনে বিশ্ব শিক্ষক দিবস ও বিদ্যালয় দিবস পালন করা হয়। বৃষ্টিমূখর দিন হলেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী এবং উভয় শাখার চল্লিশজন শিক্ষকের উপস্থিতিতে মহাসমারোহে এ দিবস উদযাপিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শ্রদ্ধেয় ফা. সুশান্ত ডি’ কস্তা এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রদ্ধেয় ফা. পল গমেজ, পরিচালক, পবিত্র আত্মা উচ্চ সেমিনারী, বনানী, ঢাকা।
সকাল ১০.০০ টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত, শপথ বাক্য পাঠ এবং প্রদ্বীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়।
শুভেচ্ছা বক্তব্য ও দিনের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রধান শিক্ষক ফা. যোহন মিন্টু রায় বলেন, “আমাদের বিদ্যালয়ের নাম সেন্ট লুইস উচ্চ বিদ্যালয়। তাই জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সকলেই যেন আমাদের বিদ্যালয়ের প্রতিপালক সাধু লুইসের নম্রতা, ন্যায়পরায়ণতা ও মানব সেবার গুণাবলি অনুসরণের চেষ্টা করি। আর শিক্ষক দিবসে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক শিক্ষকদের সম্মান করবো- আলোকিত মানুষ গড়বো।”
সভাপতি ফা.সুশান্ত ডি কস্তা তার বক্তব্যে জাতি গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা, দায়িত্ব কর্তব্যের কথা তুলে ধরেন এবং শিক্ষকদের মর্যাদা ও সম্মান দিতে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রদ্ধেয় ফা. পল গমেজ বলেন, “অনেক শিক্ষার্থীরা বিশেষভাবে এই বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা লাভ করে যারা দেশে-বিদেশে কর্মরত বা অধ্যায়ণরত তারা এখনো শিক্ষকগণকে অনেক সম্মান, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রদর্শন করেন। শিক্ষকগণ হলেন জাতি গঠনের কারিগর। শিক্ষকগণের ত্যাগস্বীকার ও সন্তানদের গঠন দানের জন্য আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত শিক্ষকগণের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা।”
এরপর শিক্ষার্থীরা সকল শিক্ষক ও অতিথিবৃন্দকে নাচ, গান ও ফুল দিয়ে শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা জানায়। অনুষ্ঠান সূচির মধ্যে আরো ছিল- কবিতা আবৃত্তি, দলীয় নাচ ও নাটিকা। প্রধান শিক্ষক ফা. যোহন মিন্টু রায়, সভাপতি ফা. সুশান্ত ডি কস্তা এবং প্রধান অতিথি ফা. পল গমেজ বিদ্যালয়ের পক্ষে এবং ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর প্রতিনিধি ৫ জন মেয়ে ও ৫ জন ছেলে শিক্ষার্থী শিক্ষার্থীদের পক্ষে শিক্ষকগণের হাতে শিক্ষক দিবসের উপহার তুলে দেন।
জলযোগের পর দ্বিতীয় পর্বে ছিল মূলসুর – “শিক্ষার পরিবর্তন শিক্ষক দিয়েই শুরু হয়”- এর উপর আলোচনা সভা। এ আলোচনা সভায় সভাপতি মহোদয় পারস্পারিক সম্পর্ক, প্রধান শিক্ষক- শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য, প্রধান অতিথি- জীবন পরিবর্তন ও শিক্ষকের ভূমিকা, শিক্ষক মি. হিউবার্ট রোজারিও- পারস্পারিক সম্পর্ক উন্নয়ন, শিক্ষক মাইকেল দেশাই- শিক্ষক গণের প্রতি প্রতিষ্ঠানের বা পরিচালকগণের দায়িত্ব ও মমত্ববোধ বাড়ানো এবং প্রাথমিক শাখার শিক্ষক রনি রোজারিও-ছোট্ট শিশুদের শিক্ষাদানের চ্যালেঞ্জ ও করণীয় সম্পর্কে তুলে ধরেন। প্রধান শিক্ষক সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং মধ্যাহ্ন ভোজের মধ্যদিয়ে দিনের কার্যক্রম সমাপ্ত হয়।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : ফাদার যোহন মিন্টু রায়