চাঁদপুকুর ধর্মপল্লীর অন্তর্গত সকল গ্রামের গির্জা মাস্টার, মানজি হারাম, মহিলা, পুরুষ ও যুবা প্রতিনিধিদের নিয়ে “ সিনোডাল মণ্ডলি: খ্রিস্টবিশ্বাসের দায়িত্ব-মিলন, অংশগ্রহণ ও প্রেরণ” এই মূলসুরকে কেন্দ্র করে ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হলো ধর্মপল্লীর পালকীয় সম্মেলন। উক্ত সম্মেলনে বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত মোট ৬৭ জন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পাল-পুরোহিত ফাদার বেলিসারিও সিরো, ফাদার প্রেমু রোজারিও, ফাদার উজ্জ্বল রিবেরু, ফাদার সুবল কুজুর, সিএসসি, ডিকন মাইকেল হাঁসদা, সি. রাণী সরেন ও সি. মিরাল্লা হাঁসদা।

সকাল ৯.৩০ ঘটিকায় প্রার্থনার মধ্য দিয়ে পালকীয় সম্মেলন শুরু করা হয়। অতঃপর নৃত্যে ও স্বাগতম বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সকলকে স্বাগত জানানো হয়।

স্বাগতম বক্তব্যে পাল-পুরোহিত ফাদার বেলিসারিও সিরো মন্তোয়া বলেন, একজন খ্রিস্টভক্ত হিসেবে মণ্ডলিতে আমাদের প্রত্যেকের অধিকার আছে তেমনি দায়িত্বও রয়েছে। এই অধিকার বাহ্যিক কোন কিছু পাওয়ার অধিকার নয়। তবে মণ্ডলিকে সার্বিকভাবে সাহায্য সহযোগিতা করা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। আমাদের ধর্মপল্লীর সকল ভক্তদের সার্বিক কল্যাণে আমরা যৌথভাবে কাজ করে যাবো।

স্বাগতম

বক্তব্যের পর শ্রদ্ধেয় ফাদার প্রেমু রোজারিও-কে ফুলের তোড়ার মধ্যদিয়ে স্বাগতম জানানো হয় । অতঃপর তিনি মূলসুর-“ সিনোডাল মণ্ডলি: খ্রিস্টবিশ্বাসের দায়িত্ব-মিলন, অংশগ্রহণ ও প্রেরণ” এই বিষয়ের উপর উপস্থাপনা করেন। তিনি আরো বলেন, ঈশ্বরের আজ্ঞা অর্থাৎ প্রতি রবিবার খ্রিস্টযাগে আমাদের অংশগ্রহণ করতে হবে এবং মণ্ডলির সেবাকাজের জন্য আর্থিকভাবে সহায়তার মধ্য দিয়ে সেবা কাজ করতে হবে। সকলে এক সাথে কাজ করারই হলো সিনোডাল মণ্ডলি। যেখানে মিলন, অংশগ্রহণ ও প্রেরণ করেছে।

অতঃপর ফাদার বেলিসারিও সিরো ধর্মপল্লীর বিষয়ে সার্বিক পরিকল্পলা প্রদান করেন এবং দলীয় আলোচনা করা পর আনুষ্ঠানিকভাবে পালকীয় পরিষদ ঘোষণা ও প্রেরণ করা হয়। প্রেরণের চিহ্ন হিসেবে সকলের হাতে প্রজ্জ্বলিত প্রদ্বীপ, পবিত্র ক্রুশ ও পবিত্র বাইবেল প্রদান করেন এবং সকলে একত্রে বিশ্বাস মন্ত্র প্রার্থনা করা করেন। পরিশেষে দুপুরের আহারের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের সমাপ্তি টানা হয়।

বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : ফাদার উজ্জ্বল সামুয়েল রিবেরু

Please follow and like us: