একত্রে সিনোডাল (সহযাত্রী) মণ্ডলি হতে ও কাথলিক মণ্ডলির ধর্মশিক্ষার আলোকে ধর্মপল্লীর খ্রিস্টভক্তবিশ্বাসীদের পরিচালনা করা জরুরী বলে অংশগ্রহণকারী শেলী বিশ্বাস রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের মধ্য ভিকারিয়ার বাৎসরিক দ্বিতীয় সভায় অভিমত ব্যক্ত করেন।
মধ্য ভিকারিয়ার সভা ১১ নভেম্বর রোজ শনিবার নবাই বটতলা ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হয়। ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল জের্ভাস রোজারিও’র অনুপস্থিতিতে ভিকার জেনারেল ফাদার ফাবিয়ান মারাণ্ডী, চ্যাঞ্চেলর ফাদার প্রেমু রোজারিও, মধ্য ভিকারিয়ার আহ্বায়ক ফাদার সুব্রত পিউরীফিকেশন ও কারিতাস রাজশাহী অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ডেভিড হেম্ব্রম, ফাদার-সিস্টার ও খ্রিস্টভক্ত সর্বমোট ৫৮ জন এই সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভাতে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় পালকীয় কর্মশালা ২০২৩ এর আলোকে ধর্মপল্লীভিত্তিক গৃহীত কার্যক্রম আলোচনা করা হয়। ধর্মপল্লীর যে কোন আধ্যাত্মিক ও অন্যান্য কার্যক্রমে মায়েদের অংশগ্রহণ লক্ষ্যণীয় এবং যুব ও পুরুষদের অংশগ্রহণ তুলনামূলক কম বলে আলোচনায় উঠে আসে। অধিকাংশ ধর্মপল্লীর আলোচনায় অবৈধ বিবাহ বৈধকরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করা হয়। এছাড়াও ধর্মপল্লীগুলোতে পালকীয় নানাবিধ অনুদানের কাজ যেন গতিশীল ও চলমান থাকে বিষয়টি গুরুত্ব পায়।
কাথলিক মণ্ডলির ধর্মশিক্ষা বিষয়ে আলোচনায় উঠে আসে যে, অধিকাংশ ধর্মপল্লীতেই শিশুদের ধর্মশিক্ষা প্রদান করা হয়; তবে পিতা-মাতাগণ কাথলিক মণ্ডলির ধর্মশিক্ষা জানেন না বিধায় সন্তানদের শিক্ষা দিতে পারেন না। বিশেষ করে সরকারী ও অন্যান্য বিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীরা কাথলিক মণ্ডলির ধর্মশিক্ষা সমন্ধে খুব কম জানে। আর এ অবস্থা থেকে ছাত্র-ছাত্রী ও খ্রিস্টভক্তদের উঠিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে ধর্মশিক্ষা কার্যক্রম জোরদারকরণের ওপর আলোচনা করা হয়।
নবাই বটতলা ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার স্বপন মার্টিন পিউরীফিকেশন ‘রক্ষাকারিণী মা মারিয়া’র তীর্থোৎসব বিষয়ে বলেন, সিধান্ত গৃহিত হয়েছে, আগামী বছর থেকে নবাই বটতলার তীর্থোৎসব খ্রিস্টভক্তদের অংশগ্রহণে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশ কর্তৃক বিভিন্ন কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হবে। ভক্তবিশ্বাসীগণ নবাই বটতলার তীর্থকেন্দ্রে যেন ১৬ জানুয়ারী তীর্থদিনের পাশাপাশি বছরের অন্যান্য দিন বিশেষভাবে শনিবার ও বুধবার প্রার্থনা ও মানত নিয়ে আসেন। আলোচনায় উঠে আসে যে, এই তীর্থোৎসবে যেন প্রতিটি ধর্মপল্লীর ভক্তবিশ্বাসীগণ উদ্দেশ্য এবং ধর্মপল্লীভিত্তিক অনুদান প্রদান করেন ও তীর্থোৎসবে ধর্মপল্লীর উদ্যোগে আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি সহযোগে একটি দল অংশগ্রহণ করে।
সভার শেষে মধ্য ভিকারিয়ার আহ্বায়ক ফাদার সুব্রত পিউরীফিকেশন অংশগ্রহণকারী সবাইকে ধর্মপল্লীর কার্যক্রমে সচেতন ও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান এবং এই সভাতে যা আলোচিত হয়েছে তা পরিবার ও সমাজে বাস্তবায়ন করতে পারেন।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : ফাদার সাগর কোড়াইয়া