ফা. সুনীল রোজারিও। বরেন্দ্রদূত প্রতিনিধি

ভাটিকান-১

পোপ ফ্রান্সিস আন্তঃমাণ্ডলিক সম্প্রীতি সপ্তাহ উপলক্ষে তাঁর বাণীতে বলেছেন, মানুষে মানুষে “বিষাক্ত সম্পর্ক” তৈরির কোনো প্রয়োজন নেই- যা শুধু মানুষের মধ্যে বেদনা নিয়ে আনে। পোপ খ্রিস্টভক্তদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “খ্রিস্টানদের অবশ্যই পরিপূর্ণ ও সর্বসম্মতভাবে এবং সবার জন্য ভালোবাসার স্বাক্ষ্য বহন করতে হবে।” এই প্রসঙ্গে পোপ আরোও বলেন, “শান্তি, ন্যায্যতার ফল ছাড়া আর অন্য কিছু নয়।” প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের ১৮ থেকে ২৫ তারিখ পযর্ন্ত ক্যাথলিক চার্চে খ্রিস্টীয় সম্প্রীতি সপ্তাহ পালিত হয়।

ভাটিকান-২

পোপ ফ্রান্সিস সম্প্রতি দূতসংবাদ প্রার্থনার পর তাঁর এক বাণীতে বলেছেন, “আমাদেরকে অবশ্যই শান্তির জন্য শিক্ষিত করে তুলতে হবে।” তিনি পূণ্য ভূমিতে অশান্তির দিকে ইংগীত দিয়ে বলেছেন, “মানবতার মধ্যে এখনোও শিক্ষা জাগ্রত হয়নি যা যুদ্ধ বন্ধ করতে পারে।” পোপ বিশ্বের ক্ষমতাশালীদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “যুদ্ধ কখনোই সমাধানের কোনো পথ নয়।”

ইয়েমেন

আরব ভূমির ভিকার মুঞ্চিনিয়র মার্তিনেল্লি আশংকা প্রকাশ করে বলেছেন যে, ইয়েমেনের ইরানপন্থী হুতিদের উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিমান হামলা মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে দিতে পারে। সম্প্রতি গাজা ও ইস্রায়েল যুদ্ধের কারণে লোহিত সাগর দিয়ে ইস্রায়েলগামী বাণিজ্য জাহাজ চলাচলের উপর হুতিরা আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। পূণ্যভূমির পবিত্রতা রক্ষার জন্য ভাটিকান বরাবরই তার আগ্রহ দেখিয়ে আসছেন। ইয়েমেনে ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞার কারণে কিছু বেসরকারি সাহায্য সংস্থার মাধ্যমে মিশনারিগণ সামাজিক ও পালকীয় কাজ করছেন। সরকারের সমর্থনে শুধু সিস্টারস অব চ্যারিটি সানা, তিয়াজ, হোদেইদা এবং এ্যাডেন এলাকায় কাজ করছেন। মুঞ্চিনিয়র বলেন, ইয়েমেনে দরিদ্র ও অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য সিস্টারগণ যে কাজ করে যাচ্ছেন নানা বাধা সত্বেও তা চলমান থাকবে।

হংকং-১

হংকংয়ের স্থানীয় সরকার সে দেশের একটি স্থানীয় ক্যাথলিক উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। হংকংয়ের ক্যাথলিক বেসরকারি সাহায্য সংস্থা কারিতাস পরিচালিত সেন্ট ফ্রান্সিস বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে রয়েছে সমাজ বিজ্ঞান, বাণিজ্য প্রশাসন ও গণমাধ্যম যোগাযোগ শাখা। বর্তমানে সেন্ট ফ্রান্সিস বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মোট সংখ্যা আড়াই হাজার। আসিসির সাধু ফ্রান্সিস জেভিয়ারের নাম অনুসারে এই বিশ্বদ্যিালয়টির নামকরণ করা হয়েছে।

হংকং-২

হংকং এবং চীনের মুল ভূ-খন্ডের দম্পত্তিদের মিলিত সন্তানদের পুনর্মিলিত হওয়ার দাবিকে চীনা সরকার গত ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দের আইন মোতাবেক বরাবরই নাকচ করে আসছেন। হংকংয়ের বিধান অনুসারে এতে কোনো বাধা না থাকা সত্বেও চীনা সরকার গত ২৫ বছর ধরে জনগণের এই দাবি অগ্রাজ্য করে আসছেন। হংকংয়ে কর্মরত পিমে মিশনারিগণ বহুদিন ধরে উভয় ভূ-খন্ডের দম্পত্তিদের মিলিত সন্তানদের পুনর্মিলিত হওয়ার দাবি পূরণের জন্য সংগ্রাম করে আসছেন।

Please follow and like us: