নিয়ামতপুর থানার অন্তর্গত ভূতাহারা ধর্মপল্লীতে শ্রমিকদের প্রতিপালক সাধু যোসেফের পর্ব ও হস্তার্পণ সংস্কার অনুষ্ঠিত হয়। নয় দিন ব্যাপি নভেনা প্রার্থনা, ধর্মীয় শিক্ষা ও গান শিক্ষার পর মহাসমারহে ১লা মে এই পর্ব উৎসব পালিত হয়। পর্ব উৎসবকে আরো বেশি গাম্ভির্য্যপূর্ণ করতে হস্তার্পণ সংস্কার প্রদান করা হয়। ধর্মপল্লীর অধিক গ্রাম থাকার কারণে পর্ব উৎসবের আগের দিন সাতঘেরা গ্রামে কয়েকটি গ্রামের মোট ৯৯ জন ছেলে-মেয়ে ও খ্রিস্টভক্তদের হস্তার্পণ প্রদান করা হয়।
১লা মে খ্রিস্টযাগের আরম্ভে পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ মহোদয় ও অতিথি ফাদারদের দারাম নৃত্য ও পা-ধোয়ানোর মধ্য দিয়ে ধর্মপল্লীতে স্বাগতম জানানো হয়।
পাল-পুরোহিত শ্রদ্ধেয় ফাদার লুইস সুশীল পেরেরা সকলের উদ্দেশ্যে পর্ব দিনের শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, “ আমাদের ধর্মপল্লীর প্রতিপালক হচ্ছেন শ্রমিক সাধু যোসেফ। তাই আমরা প্রত্যেকে যেন শ্রমিক সাধু যোসেফের মত পরিশ্রমী মানুষ হয়ে উঠতে পারি” ।
খ্রিস্টযাগের শুরুতে নৃত্যের মধ্য দিয়ে শোভাযাত্রা করে গির্জাঘরে প্রবেশ, ধুপারতি ও সাধু যোসেফের প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা জানাতে মাল্য প্রদান করা হয়। উক্ত পর্ব উৎসবে বিশপসহ মোট ১১ জন যাজক, বেশ কিছু সিস্টার, বিভিন্ন গ্রাম ও মিশন থেকে আগত মোট প্রায় ৬০০ জন খ্রিস্টভক্ত অংশগ্রহণ করেন।
উপদেশ বাণীতে বিশপ মহোদয় বলেন,“ শ্রমজীবি মানুষের আদর্শ শ্রমিক সাধু যোসেফ। যার জীবন আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আজকে যারা হস্তাপর্ণ সংস্কার গ্রহণ করবে তোমরা প্রত্যেকে পবিত্র আত্মাকে লাভ করে খ্রিস্টের শিষ্য হয়ে উঠবে এবং তোমাদের জীবন দিয়ে তোমরা যিশুকে প্রচার করবে।”
পবিত্র খ্রিস্টযাগের উপদেশের পর পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ মহোদয় ১০২ জন ছেলে-মেয়ে ও খ্রিস্টভক্তদের হস্তার্পণ সংস্কার প্রদান করেন। পবিত্র খ্রিস্টযাগের শেষে শ্রমিকদের যন্ত্রপাতি আশির্বাদ এবং সাধু যোসেফের মন্দিরে প্রার্থনা ও মাল্য প্রদান করা হয়। প্রার্থনা অনুষ্ঠানের শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আনন্দে মুখর হয়ে উঠে ধর্মপল্লীর পরিবেশ। পরবর্তীতে দুপুরের আহারের মধ্য দিয়ে শ্রমিক সাধু যোসেফের পর্ব উৎসব পালনের সমাপ্তি হয়।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : ফাদার উজ্জ্বল সামুয়েল রিবেরু