ঈশ্বরের উপস্থিতির চিহ্ন হলো আমাদের উপাসনালয় বা গির্জাঘর যেখানে খ্রিস্টভক্তগণ ঈশ্বরকে পূজা আরাধনা ও ভক্তি করতে একত্রে সকলে মিলিত হন। গত মাসের ২৮ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ রোজ রবিবার মুন্ডুমালা ধর্মপল্লীর অন্তর্গত কাজিপাড়া গ্রামের খ্রিস্টভক্তদের জন্য একটি স্মরণীয় দিন। কারণ এই দিনে গ্রামটিতে নবনির্মিত মাদার তেরেজা গির্জা ঘরটির শুভ উদ্বোধন ও আশির্বাদ করা হয়। এখানে ৫০০ জন খ্রিস্টভক্ত উপস্থিত ছিলেন। সান্তাল কৃষ্টিতে নৃত্যের মধ্য দিয়ে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল জের্ভাস রোজারিও, ভিকার জেনারেল ফাদার ফাবিয়ান মার্ডী, উন্নয়ন কর্মকর্তা ফাদার উলিয়াম মুর্মু, মুন্ডুমালা ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার বার্নাড টুডু, ফাদার পল পিটার কস্তা এবং ভূতাহার ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার লুইস সুশীল পেরেরাকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানানো হয়। পরবর্তীতে পা ধুয়ে ও ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

বিশপ মহোদয় সাধ্বী মাদার তেরেজা গির্জা’র উদ্বোধন ও আশির্বাদ করেন। ফিতা কেটে চাবি হস্তান্তর করে এবং স্মৃতি ফলক উন্মোচন ও গির্জা ঘরের মুল ফটক খোলার মধ্য দিয়ে গির্জা ঘরে প্রবেশ করে।

নৃত্যের তালে প্রবেশ গীতির মাধ্যমে গির্জা ঘরে সকলে প্রবেশ করলে জল আশিবাদ ও ছিটানোর মধ্য দিয়ে মহাখ্রিস্টযাগ আরম্ভ হয়। আশির্বাদ অনুষ্ঠানের বিশেষ কয়েকটি দিকের মধ্যে ছিল পবিত্র জল সিঞ্চন, ধুপনক্রিয়া, আলোক প্রজ্জলন ইত্যাদি।

খ্রিস্টযাগের প্রধান পৌরহিত্যকরী বিশপ মহোদয় তার উপদেশে কয়েকটি দিক তুলে ধরেন : ১। মন্দিরের পবিত্রতা, ২। সজ্জিত মন্দিরের সৌন্দর্যের ন্যায় হৃদয় মন্দিরও সুন্দর ও পবিত্রতায় সজ্জিতকরণ ৩। রবিবাসীয় অনুষ্ঠান ও যাজকের উপস্থিতিতে খ্রিস্টযাগে যোগদান করা। কাজিপাড়া গ্রামের খ্রিস্টভক্তদের উদ্দেশ্যে উপদেশ বাণীতে বিশপ মহোদয় বলেন, এই গির্জা ঘর আমাদের অনেক ত্যাগ সাধনা ও পরিশ্রমের ফল, আমরা যেন এই গির্জা ঘরের যত্ন করি এবং প্রার্থনা ও উপাসনার জন্য সঠিক ব্যবহার করি এবং ছেলে-মেয়েদেরও যেন তা শিক্ষা দেই। আর যারা আমাদের এই গির্জা ঘর নির্মাণ করতে অর্থ ও শ্রম দিয়েছে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।

খ্রিস্টযাগের শেষে গ্রামের পক্ষ থেকে বিশপ মহোদয়কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। পরিশেষে পাল-পুরোহিত সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। দুপুরের আহারের পর অংশগ্রহণকারীগণ নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যান।

বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : ফাদার বার্ণাড টুডু

Please follow and like us: