এলিজাবেথের সাথে কুমারী মারিয়ার সাক্ষাৎকার ঈশ্বর ও মানুষের মধ্যে সাক্ষাৎকেই প্রকাশ করে। কুমারী মারিয়ার গমনের অর্থ হচ্ছে ঈম্বর মানুষের সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলেন। কুমারী মারিয়া আমাদের মা। তিনি প্রতিদিন আমাদের সকল প্রার্থনা ঈশ্বরের নিকট তুলে ধরেন। কুমারী মারিয়ার মধ্যস্থতায় প্রার্থনা না করলে পরিবারে শান্তি আসে না। ৩১ মে সুরশুনিপাড়া ধর্মপল্লীতে কুমারী মারিয়ার সন্তানদের সেমিনারের খ্রিস্টযাগে ফাদার প্রদীপ কস্তা এই কথা বলেন।
সুরশুনিপাড়া ধর্মপল্লীর অধিনস্ত বিভিন্ন গ্রাম থেকে পঞ্চান্নজন কুমারী মারিয়ার সন্তান সংঘের সদস্যা সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। সেমিনারে ধর্মপল্লীর সহকারী পাল পুরোহিত ফাদার সাগর কোড়াইয়া, ডিকন বিনেশ তিগ্যা, সিস্টার এবং বনানী মেজর সেমিনারীর তিনজন মেজর সেমিনারীয়ান উপস্থিত ছিলেন।
৩০ মে সন্ধ্যায় সদস্যাদের উপস্থিতিতে আলোক শোভাযাত্রা সহকারে রোজারিমালা প্রার্থনা করে গ্রাম প্রদক্ষিণ করা হয়। ৩১ মে পর্বীয় খ্রিস্টযাগে কুমারী মারিয়ার সন্তানসহ গ্রামের খ্রিস্টবিশ্বাসীগণ খ্রিস্টযাগে অংশগ্রহণ করেন। সকালের প্রথম অধিবেশনে সদস্যাদের উদ্দেশ্যে কুমারী মারিয়ার সন্তানদের দায়িত্ব ও কর্তব্য বিষয়ে আলোচনা করেন ফাদার সাগর কোড়াইয়া। তিনি বলেন, ধর্মপল্লীতে কুমারী মারিয়ার সন্তানগণ হচ্ছেন ‘শক্তিঘর’ (Power House)। ধর্মপল্লীর সকল প্রকার বিপদ-আপদ নিরসনে সদস্যাগণ কুমারী মারিয়ার মধ্যস্থতায় প্রার্থনা করেন। অসুস্থ্য ব্যক্তিদের সুস্থ্যতা ও সান্তনা প্রদানে কুমারী মারিয়ার সন্তানদের অনবরত প্রার্থনা করতে হয়।
সিস্টার লুসি কস্তা এসসি, বনানী মেজর সেমিনারীয়ান রাজু দাস এবং মারিয়া সংঘের সদস্যাগণ তাদের জীবনে কুমারী মারিয়ার সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা করেন। এরপর সদস্যাগণ নাচ, গান ও অভিনয়ে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে কুমারী মারিয়ার জীবনী ফুটিয়ে তুলেন। সেমিনারে অংশগ্রহণকারী রেজিনা মুর্মু বলেন, কুমারী মারিয়া যিশুর সাথে যেভাবে ক্রুশের পথে সঙ্গী হয়েছেন, তেমনি তিনি প্রতিদিন আমাদের সাথে আছেন। কুমারী মারিয়ার সন্তান সংঘের প্রত্যেক সদস্যাকেই সক্রিয় ও প্রাণবন্ত হয়ে গ্রামে কাজ করতে হবে।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার: ক্যারোলিনা মুর্মু