গত ৩১ মে মুক্তিদাতা হাই স্কুলে অভিভাবক সমাবেশ ২০২৪ উদযাপন করা হয়। স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ফাদার ফাবিয়ান মারান্ডীর সভাপতিত্বে ও শিক্ষিকা সুরভী রোজারিওর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খ্রিস্টজ্যোতি পালকীয় সেবাকেন্দ্র, পরিচালক ফাদার বাবলু সি কোড়াইয়া উপস্থিতিতে অভিভাবক সমাবেশ ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়। এ সমাবেশে প্রায় ২০০ জন অভিভাবক উপস্থিতিতে ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সহকারি শিক্ষিকা মনিকা বাড়ৈ শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন। পরবর্তিতে প্রাইমারী শাখার পক্ষে গত পাচঁ মাসের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার অগ্রগতি ও বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বক্তব্য রাখেন সহকারী শিক্ষিকা মিসেস সবিতা মারান্ডী।
একই ভাবে মাধ্যমিক শাখার পক্ষে সহকারী শিক্ষক মো: রফিকুল ইসলাম বলেন ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাসে অনিয়মিত ও তাদের পড়াশোনার প্রতি অনিহা, একই সাথে স্কুলের যে নিয়ম কাকুন রয়েছে সেগুলো পালনেও অনিহা, এর জন্য তিনি অভিভাবকদের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন। তিনি বলেন, শুধু শিক্ষক মন্ডলী স্কুলে পড়ালেই হবে না যদি না পরিবারে পিতা-মাতা সন্তানদের পড়তে বসান।
তিনি আরো বলেন, একজন পিতা-মাতাকে শিক্ষিত হতেই হবে এমন কথা নেই। ছেলে-মেয়েদের পাশে বসিয়ে জোরে জোরে পড়ার অভ্যাস করালে হয়তো অনেক ভালো ফলাফল হবে পরবর্তীতে। এছাড়াও মি. বিনয় দাস শৃঙ্খলা নিয়ে সুন্দও বক্তব্য রাখেন।
বক্তব্যের শেষে ছিল উন্মুক্ত আলোচনা। অভিভাবক মন্ডলীর পক্ষে অনেক জন অভিভাবক তাদের ব্যক্তিগত সমস্যা ও শিক্ষক মন্ডলীর কাছে তাদের সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার পাশাপাশি একজন সুচিন্তার মানবিক মানুষ হিসেবে তৈরি করার দায়িত্ব দেন। কয়েকজন অভিভাবক স্কুলের উন্নয়নের জন্য প্রস্তাব রাখেন এবং প্রসাশনিক কর্মকর্তা এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির কাছে প্রস্তাব দেন যেন দেশের সকল স্কুল কলেজেরে সাথে তাল মেলাতে মূলধারা শিক্ষাব্যবস্থার সাথে সাথে স্কুলে বেশ পরিবর্তন ও উন্নয়ন করার জোর সুপারিশ করেন।
প্রধান অতিথি ফাদার বাবলু সি কোড়াইয়া বলেন, এক জন শিক্ষার্থীর জীবনে তার সার্বিক উন্নয়নের জন্য ত্রিমুখী ব্যবস্থাপনা একান্ত ভাবে দরকার। ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকের যৌথ সমন্বয়ে একজন শিক্ষার্থীর জীবনে পরিবর্তন ঘটবে। পিতা-মাতা হিসেবে আদর্শ পিতা-মাতা হয়ে সন্তানকে সঠিক নির্দেশনা দিতে হবে। সন্তানের সামনে একজন অভিভবাক আয়নার মতো হবে। অভিভাবক বা পিতা-মাতা সন্তানদেরকে যে আদর্শ ও দিকনিদের্শনা দান করবেন সন্তানগণ তা অনুস্মরণ করবে। তাই পিতা-মাতার পাশাপাশি শিক্ষকমন্ডলীরও ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
সভাপতি ফাদার ফাবিয়ান মারান্ডী অভিভাবকদের প্রশংসা করে বলেন যে, আপনারা অনেক সচতেন অভিভবাক। সন্তানের মঙ্গল কামনায় অনেক ত্যাগস্বীকার করেন। সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে অনেক কষ্ট করেন। শুধু আর একটু সচেতন হলেই আপনার সন্তান আপনার ইচ্ছা পূরণ করবে। পাশাপাশি তিনি শিক্ষকদেরও শিক্ষার্থীদের প্রতি আরো দায়িত্বশীল ও মনোযোগি হতে উৎসাহ প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানের সমন্বয়কারী হিসেবে ব্রাদার রঞ্জন পিউরিফিকেশন অভিভাবকের উদ্দেশ্যে বলেন যে, আমি শিক্ষার্থীদের প্রতি অনেক পজেটিভ। শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষা দিয়ে তাদের একজন মানবিক মানুষ হিসেবে মানুষ করে গড়ে তোলার দায়িত্ব গ্রহণ করছি। তিনি অভিভাবকের আরো বলেন যে, সকল অভিভাবক যেন নিজ নিজ সন্তানদের পরিবারে যত্ন নেন এবং তাদের যথেস্ট পড়াশোনার ব্যবস্থা করান, পাশে বসেন। তাহলেই ত্রিমুখী সমন্বয়ে একটা ভালো ফলাফল হবে। সকল সহয়োগিতার জন্য তিনি অভিভাবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সভার সমাপ্তি ঘোষনা করেন।
বক্তব্যের শেষে অভিভাবকরা তাদের সন্তানের মূল্যায়নের ফলাফল শ্রেণী শিক্ষকের নিকট থেকে সংগ্রহ করেন ও হালকা জলযোগ মধ্য দিয়ে বিদায় নেন।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : ব্রাদার রঞ্জন পিউরিফিকেশন