“সাধু আন্তনীর কাছে আমরা হারানো দ্রব্য ফিরে পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করি।কিন্তু বর্তমান সময়ে আমাদের উচিত ঈশ্বরের সাথে হারিয়ে যাওয়া সম্পর্ক ও বিশ্বাস ফিরে পাওয়ার জন্য সাধু আন্তনীর মধ্যস্থতায় প্রার্থনা করা”- বলেন বিশপ জের্ভাস রোজারিও।
গত ১৩ জুন মহাসমারোহে মহিপাড়া ধর্মপল্লীর প্রতিপালক সাধু আন্তনীর তীর্থোৎসব উদযাপন করা হয়।সকাল ৯.০০ টায় বিশপ মহোদয় ও অন্যান্য ফাদারদেরকে স্থানীয় কৃষ্টি অনুযায়ী বরণ করে নেন ধর্মপল্লীর খ্রিস্টভক্তগণ। এরপরপরই শুরু হয় তীর্থের মহাখ্রিস্টযাগ। খ্রিস্টযাগে প্রধান পৌরোহিত্য করেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ জের্ভাস রোজারিও এবং সহার্পিত খ্রিস্টযাগে অংশ নেন ভিকার জেনারেল ফাদার ফাবিয়ান মারান্ডী, চ্যান্সেলর ফাদার প্রেমু রোজারিওসহ ১৫ জন ফাদার ও ২জন ডিকন। এছাড়াও বিভিন্ন সম্প্রাদয়ের সিস্টার ১৫ জন সিস্টার, এবং সেমিনারিয়ানসহ প্রায় ২০০০ খ্রিষ্টভক্ত উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য তীর্থের পূর্বে প্রস্তুতিস্বরূপ নয়দিনের নভেনা প্রার্থনা ও খ্রিস্টযাগ অনুষ্ঠিত হয়। খ্রিস্টযাগের শুরুতে সাধু আন্তনীর বিভিন্ন গুণাবলী পাঠ ও প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়।
বিশপ মহোদয় তার উপদেশ বানীতে বলেন, ” হারানো দ্রব্য ফিরে পাওয়ার জন্য সাধু আন্তনী অনেক জনপ্রিয়। একবার বনানী সেমিনারিতে থাকাকালীন সময়ে খেলতে গিয়ে আমার ঘড়ি কোথায় রেখেছি তা মনে করতে পারছিলাম না। অনেক খোজাখুজি করে না পেয়ে সাধু আন্তনীর কাছে প্রার্থনা করলাম এবং ঘড়িটি ফিরে পেয়েছি। এটা সাধু আন্তনীর একটা অলৌকিক কাজ বলা যায়। বিশ্বের অনেক মানুষ এ বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন তবে বর্তমান সময়ে আমাদের হারানো বিশ্বাস ও ভক্তি ফিরে পাওয়ার জন্য সাধু আন্তনীর মধ্যস্থতায় প্রার্থনা করতে হবে। ঈশ্বরের সাথে সুন্দর সম্পর্ক ফিরে পাওয়ার জন্য সাধু আন্তনীর কাছে প্রার্থনা করতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, আমাদের পরিবার থেকে হারিয়ে যাওয়া প্রার্থনা অর্থাৎ রোজারিমালা প্রার্থনা যা ক্যাথলিকদের একটি সুন্দর ঐতিহ্য ছিল; তা দিন দিন বিলুপ্তির পথে যাচ্ছে। তাই সেই ঐতিহ্য রক্ষার জন্য আসুন সাধু আন্তনীর মধ্যস্থতা কামনা করি।
খ্রিস্টযাগের শেষে পালপুরোহিত ফাদার সুব্রত পিউরিফিকেশন বলেন, ” সকলকে তীর্থের শুভেচ্ছা জানাই। পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ মহোদয় ও অন্যান্য ফাদারগণকে ধন্যবাদ জানাই। এছাড়াও এ তীর্থোৎসবকে সাফল্যমন্ডিত করতে যারা বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছেন তাদের সকলকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। “
পরিশেষে সকলের মাঝে আশীর্বাদিত বিস্কুট বিতরণ ও দুপুরের আহারের মধ্য দিয়ে তীর্থোৎসবের সমাপ্তি ঘটে।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : ডানিয়েল লর্ড রোজারিও
Please follow and like us: