প্রবীণগণ পরিবার ও সমাজের আশির্বাদ’ মূলভাবের ওপর সুরশুনিপাড়া ধর্মপল্লীতে প্রবীণ দিবস উদযাপন করা হয়। সেমিনারের উদ্বোধনী বক্তব্যে পাল-পুরোহিত ফাদার প্রদীপ কস্তা বলেন, ‘প্রবীণগণ পরিবার ও সমাজে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। তবে আমরা ভুলে যাই, তারাই হচ্ছেন সবচেয়ে বেশি জ্ঞানী ও প্রজ্ঞাবান। প্রবীণদের নিকট থেকে আমরা প্রজ্ঞা ও পরামর্শ নিতে পারি’।
গত ৫ জুলাই প্রবীণ দিবসে ধর্মপল্লীর বিভিন্ন গ্রাম থেকে ৬৩ জন প্রবীণ অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন সহকারী পাল-পুরোহিত ফাদার সাগর কোড়াইয়া, ফাদার পল পিটার কস্তা, সিস্টার লুসি কস্তা এবং ডিকন ব্লেইজ সুমিত কস্তা। সেমিনারের শুরুতেই অংশগ্রহণকারী প্রবীণগণ তাদের পরিচয় পর্বে র সময় দাম্পত্য জীবনের বয়স উল্লেখ করেন।
মূলভাবের ওপর সহভাগিতায় ফাদার পল পিটার কস্তা বলেন, প্রবীণগণ সন্তানদেরকে বড় করেছেন ঠিকই তবে অধিকাংশ পরিবারেই বয়োবৃদ্ধরা বঞ্চনার শিকার। তবে মণ্ডলি প্রবীণদের বিষয়ে ভাবেন। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, আমরা প্রত্যেকেই একদিন প্রবীণ হবো’।
অংশগ্রহণকারী আন্তনী সরেন বলেন, প্রবীণদের নিয়ে কেউ কখনো ভাবে না। মিশন কর্তৃপক্ষ আমাদের বিষয়ে ভেবেছেন এবং আমাদের দুঃখ-কষ্টের কথা শুনেছেন বিধায় ধন্যবাদ জানাই।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : ক্যারোলিনা মুর্মু