সাগর মারিও মারান্ডী
বর্তমান পরিস্থিতিতে একটি শিশুর বেড়ে ওঠার বাধা এবং আত্মহত্যার মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পারিবারিক অশান্তি এবং অসচেতনতা। ইদানিং, এ বিষয় নিয়ে অনেক লেখালেখি হচ্ছে । মিডিয়া ও বিভিন্ন সংস্থা, যুব সমাজের মধ্যে আত্মহত্যা এবং এই প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার খবর যেভাবে তুলে ধরছে সেটা চিন্তার বিষয়। এ কথা মাথায় রেখে অভিভাবকদের শ্রদ্ধা জানিয়ে সন্তানদের বিষয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেওয়ার জন্যই আমার এই লেখা।
বিবাহ হলো এমন একটি মধুর সম্পর্ক যার মাধ্যমে দুটি মনের, দুটি মানুষের, এবং দুটি পরিবারের মধ্যে সুসম্পর্কের মিলন ঘটে। এই বিবাহ সাক্রামেন্ত এর মাধ্যমে নতুন করে সুন্দর একটি পরিবার গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্ক আরো বেশি সুন্দর হয় যখন সে পরিবারে সমঝোতা, সমমর্মিতা, সচেতনতা, এবং ভালোবাসা আবদ্ধ থাকে। এবং সেই পরিবারে আরও বেশি সৌন্দর্য ফুটে ওঠে যখন মায়ের কোল আলো করে একটি শিশুর আগমন ঘটে। আর সেই শিশুটি সঠিক পরিচর্যায় বড় হওয়ার জন্য প্রয়োজন দায়িত্ববান পিতা মাতা। শিশুটি কেমন হবে তা নির্ভর করে পারিবারিক গঠনের উপর ভিত্তি করে। তার ভবিষ্যৎ নির্ভর করে পিতা-মাতা তাকে কেমন গঠন দান করছেন তার উপর। বলা হয় পরিবারই হলো একটি শিশুর জন্য প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমরা দেখতে পাই একটি শিশুর ভবিষ্যৎ নষ্ট হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পারিবারিক ভাঙ্গন বা বিচ্ছেদ এর কারণে। আমরা দেখতে পাই ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সি অনেক কিশোর, কিশোরী আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নিচ্ছে পরিবারিক জীবনে পিতামাতার বিচ্ছেদের কারণে। কেননা, বিচ্ছেদের পর তার থাকার জায়গা হয় না পিতা, মাতার ঘরে। সে সন্তান হয়ে পড়ছে আশ্রয় হীন, নিরুপায় হয়ে তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। অনেকে আবার শিশুশ্রম, কিশোর গ্যাং, চুরি, ছিনতাই এর মতো কাজে জড়িয়ে পড়ছে জীবন সংগ্রামে টিকে থাকার জন্য। পরিবারের অসচেতনতা এবং ভাঙ্গনের কারণই হলো মূল বিষয়। আমি দুটি সত্য ঘটনা আপনাদের মাঝে সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরছি। যে হেতু ঘটনাটি যার সে নাম, ঠিকানা প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক তাই আমি তা প্রকাশ করলাম না। তবে ঘটনাটি এই-
ঘটনা-১ মহন, ইশিতা এবং দুই ছেলে নিয়ে ভালোই চলছিল পরিবারটি, কিন্তু সুখ বেশিদিন টিকলো না সেই সংসারে। মহন প্রতিদিন নেশা করে আসে আর সকলকে মারধর করে । বাড়িতে রান্না করার মতো চালও নাই। ইশিতা অন্যের বাড়ি থেকে চাল ধার করে এনে রান্না করে এভাবে চলে বেশ কিছুদিন কাজ পেলে ইশিতা অন্যের জমিতে কামলার কাজ করতো, সারাদিনে এক বেলা ভাত জুটে পেটে। ইশিতা যা আয় করে তা দিয়ে সংসার চলে। মহন সারাদিন নেশা করে রাতে চালায় অত্যাচার পরিবারের প্রতি তার কোনো চিন্তা নাই স্ত্রী সন্তান কি খেলো না খেলো। এ অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে ইশিতা তার দুই ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যায়। যেহেতু বর্ষার সময় সে কাজ অনেক পাবে তাই ওখানে থেকে যায় তারা, কেটে গেল দুই-তিন মাস আর ফিরলো না স্বামীর ঘরে ইশিতা। পরে মহন শুনে তার স্ত্রী দুই ছেলেকে নিয়ে ইন্ডিয়া চলে গেছে।
ঘটনা এখানেই শেষ নয় ইশিতা আর তাল দুই ছেলে ইন্ডিয়া যাবার পর কেটে গোলো বেশ কয়েক বছর। জানা গেল ইশিতার বড় ছেলে ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে একা ফিরে এসেছে তার বয়স তখন ১৬ কি ১৭ বছর হবে। গ্রামের সব মানুষ অবাক হয়েগেলো কিভাবে সে একা ফিরতে পারলো…! যাই হোক ঘটনায় ফিরে আসি তার মুখে শোনা যায় সে কোন পরিস্থিতিতে ছিল ইন্ডিয়াতে তার কাছে জানা যায় ওখানে গিয়ে তার মা আরও একটি বিয়ে করে এবং যে লোকটিকে বিয়ে করে তারও ছিল তিনটি ছেলে আর ইশিতার দুটি ছেলে মোট পাঁচ জন ছেলে। ইশিতার ছেলে দুটির ভরণ- পোষণ চালানোর অসম্মতি জানায় লোকটি। কোন এক সময় তারা ট্রেনে চড়ে মালদা স্টেশন হয়ে কোন এক জায়গায় যাচ্ছিল, মালদা স্টেশনে ট্রেনটি থেমে যায় এবং ঈশিতা বড় ছেলেকে হাতে বোতল ধরিয়ে দিয়ে এবং ৫০০ টাকা দিয়ে বলে বাবা তুমি পানি আনতে যাও। ট্রেন থেকে নেমে ছেলেটি স্টেশন থেকে কিছু দূর হেঁটে গিয়ে একটি হোটেল থেকে পানি আনতে যায়। পরে সে এসে দেখে ট্রেনটি চলে গেছে, মা এবং ছোট ভাই ও নাই, সে অনেক কান্নাকাটি করে তার মা আর ভাইয়ের জন্য কারণ তারা তাকে ছেড়ে চলে গেছে। ছেলেটি এই আশায় স্টেশনে তিন মাস কাটায় তার মা আসবে আর তাকে নিয়ে যাবে কিন্তু তার মা আর কখনো আসেনি এবং তাকে নিয়ে যায়নি কারণ ইচ্ছা করে তার মা তাকে ওখানে ফেলে রেখে গেছে। পরে সে মালদায় একটি হোটেলে কাজ করে এবং ওখানেই থাকে বেশ কয়েক বছর হোটেল মালিক ওকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে সাহায্য করে। এই ঘটনাটি আমি নিজে ছেলেটির মুখ থেকে শুনে আপনাদের বললাম।
ঘটনা ➤ (২) আগের ঘটনার মতোই আমি এ ঘটনাটিও সংক্ষেপে আপনাদের মাঝে তুলে ধরছি। একটি সুন্দর পরিবার ভেঙে যায় শুধুমাত্র পরক্রিয়া সম্পর্কের জন্য। পরিবারে ছিল শুভ্র-অনিতা আর তাদের একটি মাত্র ছেলে মানিক।পরিবারটি নষ্ট হয় শুধুমাত্র তার অনিতার পরকীয়া সম্পর্কের জন্য। তার অন্য আরেকটি পুরুষের সাথে মেলামেশা ছিলো। অনিতা সে পুরুষের কাছেই পালিয়ে চলে যায় এবং তারা বিয়ে করে। শুভ্র ও আর একটি বিয়ে করে ফেলে। শুভ্র ও অনিতা যে যার মত নতুন সংসার আবার গুছিয়ে নিল কিন্তু তাদের ছেলে মানিক হয়ে গেল আশ্রয়হীন, মা বাবা কারো সংসারে তার আর ঠাই হলো না। সে যখন মার বাড়ি যায় তার মা তাকে বলে আমি তোর দায়িত্ব নিতে পারব না তোর বাবার কাছে যা। বাবার কাছে গেলে বাবা একই কথাই বলে আমি তোর দায়িত্ব নিতে পারব না তোর মার বাড়িতে যা। এই বিষয়টি মানিকের মনে দাগ কাটে এবং ভীষণভাবে সে ভেঙ্গে পড়ে থাকা খাওয়ার তার কোন ঠিকানা নাই। মা বাবা কেউ তাকে থাকার জায়গা দিলো না। এক পর্যায়ে ছেলেটি এই কষ্ট গুলো সহ্য করতে না পারায় বাড়ির পাশে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। আমরা এই দুটি ঘটনা থেকে বুঝতে পারি পরিবার ভাঙ্গন এবং অসচেতনতাই একটি শিশুর বেড়ে ওঠার বাধা এবং আত্যহত্যার মূল কারণ। ঘটনা দুটি সত্য শুধুমাত্র ব্যক্তির নামের জায়গায় অন্য নাম দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক রিপোর্টে জানিয়েছে, প্রতি বছর গড়ে ৭ লাখ ৩ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে। যার মধ্যে ৫৮ শতাংশ আত্মহননকারির বয়স ৫০ বছরের নিচে। এছাড়া গোটা বিশ্বে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সে যাদের মৃত্যু ঘটছে তাদের মধ্যে চতুর্থ স্থান দখল করে আছে আত্মহত্যা। বিশ্বে বাংলাদেশের মতো স্বল্প আয়ের দেশগুলোতে এই হার ৭৭ শতাংশ। তবে সংস্থার মতে ২০ শতাংশ আত্মহত্যার কোনো রিপোর্ট আসে না। এশিয়ায় আত্মহত্যার হার ৬০ শতাংশ। বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরোর মতে ২০২১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশে ১১ হাজার আত্মহত্যা করেছে। বাংলাদেশের আঁচল ফাউন্ডেশন সম্প্রতি এক রিপোর্টে জানিয়েছে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে সারা বাংলাদেশে ৫১৩জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে, যার মধ্যে ২২৭জন স্কুলের, ১৪০জন কলেজের, ৯৮জন বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং ৪৮জন মাদ্রাসার। এসব নিহতের মধ্যে ৬০.২ শতাংশ মেয়ে শিক্ষার্থী এবং ৩৯.৮ শতাংশ ছেলে শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের এই আত্মহননে প্ররোচিত হওয়ার পিছনে প্রধান করণের মধ্যে রয়েছে আবেগ ও অভিমান এবং এই সংখ্যা ১৬৫জন। এই আবেগ-অভিমানে আত্মহত্যার পিছনে প্রধান কারণ হলো তাদের অভিভাবকের অসচেতনতা এবং পরিবার ভাঙ্গন।
উচ্চশিক্ষার আশা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর অনেকে খাপ খাওয়াতে পারে না। তাছাড়া বুলিং, হলের পরিবেশ, যৌন হয়রানি, পেশা নিয়ে দুশ্চিন্তা, আর্থিক সমস্যা এবং মানসিক অস্থিরতার কারণে ৩৯ শতাংশ শিক্ষার্থীর মনে আত্মহননের চিন্তা করেছে। আঁচল ফাউন্ডেশনের জরিপে বলা হয়েছে, ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে হতাশার নানা উপসর্গে ভোগেন এবং আত্মহত্যার চিন্তাও মাথায় আসে। এই সংখ্যা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৩ শতাংশ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০ শতাংশ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬১ শতাংশ। ৩১ শতাংশ জানিয়েছে, তারা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হয়েছে। ৮৬ শতাংশ হয়রানির শিকার হয়েছে সহপাঠি ও জ্যেষ্ঠ সহপাঠিদের হাতে। মানসিক অস্থিরতা ও অবান্ধব পরিবেশের কারণে অনেক শিক্ষার্থী আত্মহননের চিন্তা করেছে।
ঢাকা বিভাগে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার ঘটনা সবচেয়ে বেশি। গত বছর ঢাকা বিভাগে ১৪৮ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। আর সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে- গত বছর আত্মহত্যা করেছে ১২জন শিক্ষার্থী।
➤ পরিবারে সন্তান নষ্ট হয় কেনো..? আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় কেনো..?
১. পরিবারের অসচেতনতা, ভাঙ্গন, বিচ্ছেদ ইত্যাদি।
২. পরিবারের ও সামাজের নষ্ট পরিবেশ এর কারনে।
৩. আর্থিক সমস্যা এবং ধনী সন্তানদের সঙ্গে নিজের তুলনা করে।
৪. পড়াশুনার বেশি চাপ, প্রতিষ্ঠান থেকে এবং পরিবার থেকে।
৫. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহপাঠীদের সাথে ঝামেলা পরিবেশের সাথে খাপ না খাওয়া।
৬. রোমান্টিক বা মেয়ে গঠিত কারণ।
৭. নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ।
৮. রাজনীতিবিদ বা নেতাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে।
৯. অভিভাবকদের কাছে থেকে জিনিস চেয়ে না পাওয়া এবং অভিমান ও আবেগ দ্বার পরিচালিত হয়ে।
১০. আজকের গণমাধ্যম, ফেইসবুক ইত্যাদি এর অপব্যবহার।
১১. সমাজ ব্যবস্থা,নৈতিক শিক্ষার অভাব।
এছাড়াও আরো অনেক কারণ থাকতে পারে।
আজকের দিনে আত্মহত্যার ধরনও বদলে গেছে। কীটনাশক ও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা এখনো শীর্ষে রয়েছে। তবে হাই রাইজ ভবন থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা, গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা, চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাপ দেওয়া, আগ্নেয় অস্ত্র দিয়ে আত্মহত্যার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। সম্প্রতি ফেইসবুকে ভিডিও কলদিয়ে তরুণদের আত্মহত্যার ভাইরাল চিত্র আলোচনায় স্থান করে নিয়েছে শুধু তা নয় এখন ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েও আত্মাহত্যার কথা জানিয়ে আত্মহত্যা করছে। গোটা বিশ্বেই এখন আত্মহত্যা একটি উদ্বিগ্নের বিষয়। বিভিন্ন সংস্থা এই আত্মহত্যা বন্ধ বা কমিয়ে আনার জন্য কাজ
করছে। তাদের মতে, পরিবার হলো সন্তানদের প্রথম ও স্থায়ী ঠিকানা। তারা পরিবারে বেড়ে উঠে এবং বেশি সময় কাটায়। সুতরাং বলা যায়, যে পরিবার যেমন সন্তান হয় তেমন। আজকে নানা কারণে সন্তানরা স্বাধীনভাবে বেড়ে উঠছে। তাদের মধ্যে স্বাধীনচেতা মনোভাব তৈরি হচ্ছে। মিডিয়ার কারণে অল্প বয়সেই বিচার বুদ্ধি করার ক্ষমতা অর্জন করছে। সুতরাং অভিভাবকদের বুঝে শুনে সন্তানদের শাসন করতে হবে। কটু ভাষা, হুমকি-ধমকি, কড়া মেজাজ দিয়ে শাসন করার দিন আর নেই। মনে রাখতে হবে, কড়া বাপের সন্তান সব সময় হয় ত্যাড়া। তাই আদর-যত্ন দিয়ে সন্তানদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। পরিবারে থাকতে হবে সংলাপের পরিবেশ, সহভাগিতার সংস্কৃতি। সন্তান যেনো পরিবারের সবকিছু জানতে পারে। সন্তানদের সঙ্গে পিতা মাতার বন্ধুসুলভ সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। সন্তান যেনো নিজের সমস্যা পিতা মাতার সঙ্গে সহভাগিতা না করে- বিপদগ্রস্ত অন্যের সঙ্গে সহভাগিতা না করে। পরিবারে পিতামাতার মধ্যে অবিশ্বাস, অনৈতিক স্বভাব, নেশাসেবন, মনোমালিন্য, বিচ্ছেদ- সন্তানদের বিপথে টেনে নিতে প্রবুদ্ধ করে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মানসিক স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা সম্পর্কে জ্ঞানদান করতে পারে। সেই সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাসে একবার শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পরীক্ষা করতে পারে। এই বিষয়টি হতে হবে একটি দেশের শিক্ষানীতির অংশবিশেষ। শিক্ষার্থীদের বুঝাতে হবে, আত্মহত্যা মহাপাপ। দেশের প্রভাবশালী মিডিয়া এবং সমাজমাধ্যমগুলো সহায়তামূলক ভূমিকা পালন করতে পারে। বিভিন্ন সিরিয়ালে কোনোভাবেই আত্মহত্যা দেখানো বা এই প্রসঙ্গ আনতে হবে না। মনে রাখতে হবে- আজকের তরুণ সমাজ অনেক কিছু শেখে মিডিয়া থেকে। ক্যাথলিক চার্চ একটি সাংগঠনিক প্রতিষ্ঠান- এবং এই চার্চও তার বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে আত্মহননবিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। মোটকথা, আত্মহত্যা বন্ধের জন্য পরিবার, সমাজ, বিভিন্ন সংস্থা, রাষ্ট্র এবং চার্চকে নিতে হবে সমন্বিত পদক্ষেপ। পাঠকদের প্রতি রইলো শুভেচ্ছা।
আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই শ্রদ্ধেয় ফাদার সুনীল রোজারিও কে তিনি আমাকে সার্বক্ষনিক সাহায্য করেছেন সকল তথ্য দিয়ে পরামর্শ দিয়ে। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানায় আঁচল ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বুরো সকল তথ্য আমি তাদের থেকে সংগ্রহ করেছি।
Please follow and like us: