“পুণ্য উপাসনা হচ্ছে সর্বোচ্চ শিখর যেখান থেকে ঝর্ণাধারার মতো স্বর্গীয় পিতা ঈশ্বর আমাদের উপর তাঁর শত অনুগ্রহ ঢেলে দিয়ে আমাদের ধন্য করেন”- বলেন মথুরাপুর ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত শ্রদ্ধেয় ফাদার শিশির নাতালে গ্রেগরী। গত ২৩ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মথুরাপুর ধর্মপল্লীতে আয়োজিত পুণ্য উপাসনা বিষয়ক সারা দিন ব্যাপী এক সেমিনারে। সেমিনারের মূলসুর ছিল: ‘অংশগ্রহণকারী মণ্ডলীতে পুণ্য উপাসনায় সক্রিয় অংশগ্রহণ’। এতে অংশগ্রহণ করেন সর্বমোট ৫৫ জন খ্রিস্টভক্ত।
উদ্বোধন প্রার্থনা ও নৃত্যের মধ্য দিয়ে সেমিনার শুরু হয়। শুভেচ্ছা বক্তব্যে পাল-পুরোহিত মহোদয় অংশগ্রহণকারী সকলকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন এবং সেমিনারের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সম্পর্কে সকলকে অবগত করেন। মূলসুরের উপর বক্তব্য প্রদান করেন সহকারী পাল-পুরোহিত শ্রদ্ধেয় ফাদার উত্তম রোজারিও। তিনি অংশগ্রহণকারী মণ্ডলী গঠনে পুণ্য উপাসনায় সক্রিয় অংশগ্রহণের নানা দিক ও বিষয়সমূহ উপস্থাপন করেন এবং বাংলাদেশ কাথলিক মণ্ডলীর জন্য উপাসনা অনুষ্ঠানের নীতিমালা সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোকপাত করেন।
‘পুণ্য উপাসনায় সক্রিয় অংশগ্রহণে বাণীপাঠক ও বেদীসেবকদের ভূমিকা ও গুরুত্ব’ সম্পর্কে বক্তব্য প্রদান করেন শ্রদ্ধেয় ফাদার সুরেশ পিউরীফিকেশন। ধর্মপল্লীর উপাসনায় খ্রিস্টভক্তগণের অংশগ্রহণ বাড়াতে তাদের মধ্য থেকে উপযুক্ত কয়েকজনকে বাছাই করে বাণীপাঠক ও বেদীসেবক পদে তাদের অধিষ্ঠিত করার উপায় সম্পর্কে তিনি তার বক্তব্যে জোর দেন।
মুক্তালোচনায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কয়েকজন পুণ্য উপাসনায় সক্রিয় অংশগ্রহণ সম্পর্কে নিজেদের মতামত, পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা উত্থাপন করেন। এছাড়া কয়েকজন অংশগ্রহণকারী উপাসনা সংক্রান্ত নানা বিষয়ে প্রশ্ন করলে ফাদারগণ তাদের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন।
পরিশেষে, পাল-পুরোহিত সমাপনী বক্তব্যে সকলকে ধন্যবাদ প্রদান করেন। মধ্যাহ্ন ভোজের মাধ্যমে সেমিনারের কার্যক্রম সমাপ্ত হয়।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : দিগন্ত গমেজ