রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিশপের পালকীয় পত্র ‘মিলন সাধনায়: অন্তর্ভুক্তি ও সংহতি’ এর আলোকে ধর্মপল্লীকে গড়ে তুলতে হবে বলে পাল-পুরোহিত ফাদার প্রদীপ কস্তা অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘মিলন সাধনা আমাদের চলমান একটি প্রক্রিয়া। আর মণ্ডলীতে সবাই অন্তর্ভুক্ত হতে আহুত। ধর্মপল্লীকে সংহতিপূর্ণ করতে চাইলে সবাইকে এগিয়ে এসে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সকলে যেন একে অপরের পাশে থাকে এবং সাহায্য করে। পরিবর্তন আমাদেরকে নিজেদের থেকে শুরু করতে হবে।’ ২৩ আগস্ট ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে সুরশুনিপাড়া ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিতব্য পালকীয় সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।

পালকীয় সম্মেলন বিভিন্ন গ্রাম হতে গ্রাম প্রধান, কাটেখিস্ট, পালকীয় পরিষদের সদস্য, যুব প্রতিনিধি, মহিলা প্রতিনিধিসহ মোট ১৭০ জন অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সহকারী পাল-পুরোহিত ফাদার সাগর কোড়াইয়া, বিশপের পালকীয় পত্রের আলোকে বক্তব্যদানকারী ফাদার প্রেমু রোজারিও, ফাদার সুশান্ত কস্তা, ডিকন ব্লেইজ সুমিত কস্তা, পালকীয় পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সৃষ্টি টুডু, সেক্রেটারী বেঞ্জামিন টুডু এবং তিনজন সিস্টার।

বিশপীয় পালকীয় পত্রের ওপর সহভাগিতা করেন ফাদার প্রেমু রোজারিও। তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিবার, সমাজ, গ্রাম ও ধর্মপল্লী কি অবস্থায় রয়েছে তা খতিয়ে দেখা দরকার। আমরা কি পারিবারিক ও সামাজিকভাবে একত্রে আছি? আমরা দীক্ষার মধ্য দিয়ে প্রচারের দায়িত্ব লাভ করেছি। তবে সে দায়িত্ব যথাযথ পালন করছি কিনা তা দেখা প্রয়োজন।’

ফাদার সুশান্ত কস্তা বলেন, ‘শুধু মিলন হলে হবে না, মিলনের সাথে সকলের অংশগ্রহণ ও সংহতি প্রকাশ করতে হবে। আমাদের জীবনাচরণ দেখে অন্যরা যেন প্রভাবিত হন।’

ফাদার সাগর কোড়াইয়া সমাপনী বক্তব্যে বলেন, ‘পরিবারে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত শিশুরা। আমরা যেন তাদের প্রতি যত্নশীল হই।’

অংশগ্রহণকারী রমনী বেসরা বলেন, ‘রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিশপের পালকীয় পত্রটি বর্তমান সময়ের জন্য যুগোপযোগী। এই পত্রের আলোকে আমাদের পরিবার ও সমাজকে গড়ে তোলা দরকার। আমরা যিশুর শিক্ষানুযায়ী পথ চলতে চাই। আর তাই যিশুর পথ অনুসরণ করা দরকার।

বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার: জেরম মুর্মু

Please follow and like us: