বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ একটি সংকটময় মুর্হুত অতিবাহিত করছে। গত ৩ দিনে আকস্মিক বন্যায় ফেনীসহ ১২ জেলার অনেক এলাকা এখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। কয়েকটি জেলায় পানি কমলেও এখনো বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয় নি। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। বর্তমান সময়ে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বিরাজ করছে ফেনী জেলায়। শহরের ৬ টি উপজেলাই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ ও মুঠোফোনের নেটওয়ার্ক না থাকায় জেলার কয়েকটি গ্রামের মানুষের অবস্থার খবর পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা যায় সংবাদ মাধ্যমে।
উজানের ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা ঢল ও কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণে সরকারি হিসেবে দেশের ১১ টি জেলা বন্যা কবলিত। এগুলো হলো ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালি, লক্ষীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ। এর বাইরে বন্যা কবলিত রাঙ্গামাটি জেলার পানি কমতে শুরু করেছে। এসব জেলায় প্রায় ৯ লক্ষ পরিবার পানি বন্দী।
এমতাবস্থায়, বাংলাদেশ কাথলিক মণ্ডলীর রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিশপ জের্ভাস রোজারিও এক হোয়াটস্ আপ বার্তায় ধর্মপ্রদেশে কর্মরত সকল পুরোহিত ও খ্রিস্টভক্তদেরকে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর এক জোরালো আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আপনারা ইতিমধ্যেই জানেন যে, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং বাংলাদেশে অবিরাম বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল একটি নজিরবিহীন জলাবদ্ধতায় খুব খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা খ্রিস্টান হিসেবে আমাদের দুস্থ ভাই ও বোনদের জন্য সমবেদনা প্রকাশ করি, যারা ঘরসহ সবকিছু হারিয়েছে।
এই সময়ের মুখোমুখি হয়ে তিনি আমাদের সকলের প্রতি এই প্রশ্ন রাখেন যে, এই সংকটময় মুহূর্তে আমরা কি তাদের সাহায্য করতে পারি না? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি নিজেই আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে বলেন, অনুগ্রহ করে যতটা সম্ভব অর্থ এবং ত্রাণ সামগ্রী সংগ্রহ করার চেষ্টা করি, যাতে আমরা সেগুলি সিলেট ও চট্টগ্রাম ডায়োসিসে পাঠাতে পারি। দয়া করে আমাদের ধর্মপল্লীগুলোর স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের, ডিসপেন্সারী তহবিল, ক্রেডিট ইউনিয়ন ও খ্রিস্টভক্তদের ব্যক্তিগত অনুদান সংগ্রহ করে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াই। আসুন, বাংলাদেশের এই কঠিনতম অবস্থায় আমরা প্রত্যেকেই আমাদের নিজ নিজ সাধ্য অনুযায়ী বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াই এবং আমরা সকলে যে একই সৃষ্টিকর্তার সন্তান তার সাক্ষ্য দান করি আমাদের ভালোবাসা ও উদার মনোভাব প্রকাশের মধ্যদিয়ে।
বরেন্দ্রদূত নিজস্ব রিপোর্টার