আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে রাজশাহীর মহিষবাথানস্থ আশাদান কেন্দ্রে  কলকাতার সাধ্বী মাদার তেরেজার পর্ব  পালিত হয়। ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬.৩০ মিনিটে মাদার তেরেসার পর্বদিন উপলক্ষে খ্রিস্টযাগ অনুষ্ঠিত হয়। পর্বীয় খ্রিস্টযাগে পৌরোহিত্য করেন ক্যাথিড্রাল ধর্মপল্লীর সহকারী পাল-পুরোহিত ফাদার লিটন ডমিনিক কস্তা।

উপদেশে ফাদার কস্তা বলেন, মাদার তেরেসা হচ্ছেন ভালবাসার এক ঐশ নিদর্শন। যিশু খ্রিস্ট যেমন মানুষকে ভালবেসেছেন তেমনি তিনি জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সবাইকে ভালবেসেছেন। যিশুর মত তিনি দীন-দরিদ্র অবহেলিত মানুষকে বুকে টেনে নিয়েছেন, আপন করে নিয়েছেন, ভালবেসেছেন। মানুষের প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালবাসা তাঁকে স্মরণীয় ও বরণীয় করেছে।

তিনি আরো বলেন, মাদার তেরেসার অন্যতম হাতিয়ার ছিল প্রার্থনা। তিনি অত্যন্ত ধৈর্য্য সহকারে প্রার্থনা করতেন। প্রার্থনার শক্তিতেই তিনি সেবাকাজের জন্য বিভিন্ন ধরণের সহায়তা পেতেন। তিনি অত্যন্ত সহজ সরল ও অনাড়ম্বরহীন জীবন যাপন করতেন।থাকতেন দুই তলার ছোট একটি কক্ষে। আমরাও যদি মাদারের গুণাবলি অনুসরণ করতে পারি তাহলে ঈশ্বরের আশির্বাদ ধন্য হতে পারি।

পর্বীয় খ্রিস্টযাগে আশাদান কেন্দ্রের সিস্টারগণ, সেবাদানকারী সেবাকর্মীগণসহ সেবাগ্রহণকারী রোগীরাসহ খ্রিস্টান কলেজ হোস্টেলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা এবং কিছু সংখ্যক খ্রিস্টবিশ্বাসীগণ অংশগ্রহণ করেন। খ্রিস্টযাগ শেষে ফাদার কস্তা ধর্মপ্রদেশের বিশপ, ধর্মপল্লীর ফাদার সিস্টারগণ এবং খ্রিস্টভক্তদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। পর্বদিনের অনুভুতি ব্যক্ত করেন ধর্মপ্রদেশের কৃতি সন্তান ভারতের কলকাতায় সেবাদানকারী মিশনারীজ অব চ্যারিটি সম্প্রদায়ের ব্রাদার বনিল বেসরা এমসি। তিনি বলেন, আমিও এই আশাদান কেন্দ্রে চিকিৎসা গ্রহণকারী হিসেবে ছিলাম। আর সেই সময় সিস্টারদের মাধ্যমে প্রভুর আহবান অনুভব করি এবং মিশনারীজ অব চ্যারিটি সম্প্রদায়ে যোগ দিই। আমরাও সিস্টারদের মত রোগীদের নিয়ে কাজ করি। আমাদের হাউজেও অনেক রোগী সেবাগ্রহণ করেছেন। সর্বোপরি আমি সব কিছুর জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : মাইকেল টুডু 

Please follow and like us: