গত ৫ সেপ্টেম্বর রোজ বৃহস্পতিবার মুন্ডুমালা ধর্মপল্লীর কাজিপাড়া গির্জার প্রতিপালিকা সাধ্বী মাদার তেরেজার পর্ব পালন করা হয়। সারাদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুরুতে ছিল অতিথিবৃন্দকে সান্তালী কৃষ্টিতে বরণ ও খ্রিস্টযাগ। পর্বীয় মহাখ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন মুশরইল সাধু পিতর সেমিনারির পরিচালক শ্রদ্ধেয় ফাদার বিশ্বনাথ ফাউস্তিনো মারান্ডী এবং তাকে সহায়তা করেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ভিকার জেনারেল শ্রদ্ধেয় ফাদার ফাবিয়ান মারান্ডী, মুন্ডুমালা ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার বার্নাড টুডু, ফাদার দানিয়েল রোজারিও ও ফাদার অনিল মারান্ডী। পর্বীয় খ্রিস্টযাগে মাদার তেরেজা সম্প্রদায়ের সিস্টার,সেমিনারীয়ানসহ প্রায় ৩০০ জন খ্রিস্টভক্ত উপস্থিত ছিলেন।
খ্রিস্টযাগের পূর্বে মাদার তেরেসা সম্প্রাদায়ের সিস্টারদের শুভেচ্ছা জানানো হয়। সিস্টার প্রমিলা বলেন, আজ মাদারের মৃত্যুবার্ষিকী। মাদার আমাদের প্রত্যেককে স্বর্গ থেকে আশির্বাদ করছেন আজকে আমরা তার মধ্যস্থতায় প্রার্থনা করব।
খ্রিস্টযাগে উপদেশ বাণীতে ফাদার দানিয়েল রোজারিও বলেন, আজ মাদার তেরেসার শুভ পর্বদিন সবাইকে পর্বীয় শুভেচ্ছা। মাদার তেরেসা যখন বাংলাদেশে এসেছিলেন তখন আমি ব্যক্তিগত ভাবে তার সাথে সাক্ষাৎ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। তিনি ছিলেন অনেক নম্র একজন মানুষ। অনেক মানুষের সেবা করে তিনি ধন্য হয়েছেন। আমাদেরকেও সাধ্বী মাদার তেরেসার আদর্শ নিয়ে জীবন যাপন করা উচিত।
খ্রিস্টযাগের শেষে পাল-পুরোহিত ফাদার বার্ণাড টুডু বলেন, মাদার তেরেসা তার জীবনের বড় বড় অর্জন দরিদ্রদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছিলেন। সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নিয়েও দরিদ্রদের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। আমরা কি পারি না অন্যদের দুঃখে সাহায্য সহযোগিতা করতে? আমরাও পারি।
ফাদার ফাবিয়ান মারান্ডী বলেন, সবাইকে পর্বীয় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ফাদার বিশ্বনাথ এই গির্জাঘর করতে অনেক পরিশ্রম করেছেন তাই আপনাদেরও প্রতি রবিবার গির্জায় আসতে হবে।
খ্রিস্টযাগের পরে সকলের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতর করা হয়।
পরিশেষে ফাদার বিশ্বনাথ মারান্ডী সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদের পড়াশোনা করতে হবে। প্রতি রবিবার সবাইকে গির্জায় অংশগ্রহণ করতে হবে। আপনাদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। সকল সেমিনারিয়ানদের জন্য প্রার্থনা করবেন।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : লর্ড রোজারিও