মণ্ডলীতে খ্রিস্টভক্তদের অংশগ্রহণে বেদীসেবক ও বাণীপাঠক দায়িত্ব বিষয়টি নতুন নয়। তবে বাংলাদেশ মণ্ডলীর জন্য একটি নতুন ধারণা। রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের কয়েকটি ধর্মপল্লী ইতিমধ্যে এই দায়িত্ব দুটিতে আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে জনগণকে নিযুক্ত করেছেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় উপাসনা কমিশনের আহ্বায়ক ফাদার সুরেশ পিউরীফিকেশন। ৭ সেপ্টেম্বর সুরশুনিপাড়া ধর্মপল্লীতে বেদীসেবক ও বাণীপাঠক বিষয়ক সেমিনারে তিনি বলেন, সুরশুনিপাড়া ধর্মপল্লী এই উদ্যোগ গ্রহণ করায় খ্রিস্টযাগ ও অন্যান্য উপাসনা অনুষ্ঠানে খ্রিস্টভক্তদের অংশগ্রহণ আরো বাড়বে। তবে এই দায়িত্ব দুটি তাদেরই প্রদান করা উচিত যারা খ্রিস্টীয় আধ্যাত্মিকতা, মূল্যবোধ ও নৈতিকভাবে দৃঢ়।

বেদীসেবক ও বাণীপাঠক সেমিনার সুরশুনিপাড়া ধর্মপল্লীর বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত কাটেখিস্ট মাস্টার এবং নির্দিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তির উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে অংশগ্রহণকারী বেনেডিক্ট মুর্মু বলেন, আমরা এতদিন জানতাম বেদীসেবকের দায়িত্ব শুধুমাত্র শিশুরাই পালন করে। কিন্তু আজ অনেকেই জানতে পারলাম এই দায়িত্ব মূলত বয়সে পরিপক্কদের দায়িত্ব। সুরশুনিপাড়া ধর্মপল্লীতে বেদীসেবক ও বাণীপাঠক দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে জনগণকে প্রদান করলে জনগণ খ্রিস্টযাগে তাদের দায়িত্ব সমন্ধে আরো ভালোভাবে জানতে পারবে। জনগণ বুঝতে পারবে যে, খ্রিস্টযাগে পুরোহিতের পাশাপাশি জনগণেরও সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য এই দায়িত্ব গুরুত্বপূর্ণ।

বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : ক্যারোলিনা মুর্মু

Please follow and like us: