সৃষ্টি উদযাপনকাল ২০২৪ উপলক্ষে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব ও জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে সুরশুনিপাড়া লোভেরে জুনিয়র হাইস্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে ও রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় ন্যায় ও শান্তি কমিশনের উদ্যোগে রাস্তার দু’পাশে আটশত তালবীজ রোপণ করা হয়।
১০ সেপ্টেম্বর তালবীজ রোপণ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের সভাপতি ফাদার প্রদীপ কস্তা ও রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় ন্যায় ও শান্তি কমিশনের আহ্বায়ক এবং জুনিয়র হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ফাদার সাগর কোড়াইয়া, খ্রিস্টিয়ানদের প্রতিনিধি সিষ্টি টুডু, সুরশুনিপাড়া মসজিদের দুইজন মোয়াজ্জিন ও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।
সভাপতি ফাদার প্রদীপ কস্তা বলেন, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় ন্যায় ও শান্তি কমিশনকে তালবীজ রোপণ অভিযান আয়োজন করাতে ধন্যবাদ জানাই। তালগাছ হচ্ছে বরেন্দ্রভূমির একটি পরিচয় চিহ্ন। ঝড়-বৃষ্টিতে তালগাছ বজ্র শোষণ করে নেয়। কিন্তু বর্তমানে তালগাছের পরিমাণ কমে যাওয়ায় বজ্রপাতে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে। রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় ন্যায় ও শান্তি কমিশনের আহ্বায়ক ফাদার সাগর কোড়াইয়া বলেন, পুণ্যপিতা ফ্রান্সিস প্রতি বছর ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত সৃষ্টি উদযাপনকাল হিসাবে ঘোষণা করেছেন। আর এরই ধারাবাহিকতায় এই তালবীজ রোপণ অভিযান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজকে তালবীজ শুধু রোপণ করলেই আমাদের দায়িত্ব শেষ হয়ে যাবে না, বরং রোপণের পর এর যত্ন নিতে হবে। সবাই যেন উদ্বুদ্ধ হয়ে গাছ রোপণ করেন। গাছ আমাদের বাঁচায় তাই আমাদেরও দায়িত্ব গাছকে বাঁচানো।
সুরশুনিপাড়া মসজিদের মোয়াজ্জিন আলতাফ হোসেন বলেন, এক সময় সুরশুনিপাড়া এলাকা মরুভূমির মতো ছিলো। ফাদার লুইস সুরশুনিপাড়া মিশনের দায়িত্বে এসে অত্র এলাকায় অনেক গাছ রোপণ করেন। সে গাছগুলো এখন অনেক বড় হয়েছে। ব্যক্তি হয়তো পৃথিবীতে থাকবেন না কিন্তু রোপণ করা গাছ কিন্তু জীবিত থেকে অক্সিজেন, ছায়া ও কাঠ প্রদান করে। তাই আমাদের সবাইকে গাছ রোপণ ও যত্ন করতে হবে।
বক্তব্য শেষে ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে রেলী করে দু’টি দলে ভাগ হয়ে রেল লাইন ও রাস্তার দুইপাশে তালের বীজ রোপণ করা হয়।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : পপি হেম্ব্রম (শিক্ষিকা)