ফাদার সাগর কোড়াইয়া
বোর্ণী ধর্মপল্লী বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নে অবস্থিত। ইতিহাস থেকে জানা যায়, এলাকাটি অত্যন্ত প্রাচীন। এক সময় এলাকার সর্বত্র ছিলো হিন্দুদের বসবাস। তবে সময়ের পরাক্রমে হিন্দুদের সংখ্যা কমে এসেছে। একশত বছর পূর্বেও অত্র এলাকার জনগণ খ্রিস্টানদের নাম শুধু শুনেছে তবে কখনো দেখেনি। বোর্ণী মিশনের সাথে জোনাইল বাজার ও বড়াল নদ ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। বড়াল নদের অববাহিকায় গড়ে উঠেছে অত্র এলাকার খ্রিস্টানদের আধ্যাত্মিক কেন্দ্র। মিশনারী ফাদারদের সহায়তায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জোনাইল বাজার পূর্বে যেমন জৌলুসপূর্ণ ছিলো এখনো ঠিক তেমনই আছে। কিন্তু পদ্মা থেকে উৎপত্তি হওয়া এবং বড়াইগ্রাম উপজেলার বুক বেয়ে বয়ে চলা বড়াল নদের অবস্থা আগের মতো নেই। উন্মত্ত বড়াল আজ মৃতপ্রায়। কিন্তু বোর্ণী ধর্মপল্লী বিগত শতবর্ষে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে।
বড়াইগ্রাম বাংলাদেশের নাটোর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। চলনবিল অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ থানা হচ্ছে এই বড়াইগ্রাম। ‘বড়াইগ্রামের প্রাচীন নাম বুড়ীগাঁও। বড়াইগ্রাম উপজেলা এলাকাটি বড়াল, নন্দকুজা, খলিশাডাঙ্গা, চিকনাই, মির্জা মাহমুদ নদীর প্লাবনভূমি ছিলো। বিখ্যাত কুরুলিয়া, সাঁতৈল বিল ও চিনাডাঙ্গার বিল এই থানার অংশ বিশেষ। বড়াইগ্রামের ইতিহাস বেশ প্রাচীন। হিন্দু রাজত্বকালে রাজা এবং গণ্যমান্য ও ধনী লোকেরা ব্রাহ্মণদের ভূমি দান করতেন। তাদের এ দানগুলো দানপত্রের মাধ্যমে তৈরি করে দেয়া হতো। এই দানপত্রগুলো সাধারণত লেখা হতো তামার পাতের উপর। অক্ষরগুলো খোদাই করা থাকতো। এগুলো ছিলো এক ধরণের দলিল। এখানে রাজার চিহ্নসহ সন তারিখ উল্লেখ থাকতো। তামার পাতে লেখা হতো বলে এই দলিলকে বলা হয় তাম্রশাসন। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এ জাতীয় তাম্রশাসন একাধিক পাওয়া গিয়েছে। এরূপ একটি তাম্রশাসন পাওয়া গিয়েছে বড়াইগ্রাম উপজেলাধীন নগর ইউনিয়নের ধানাইদহ নামক স্থানে। এটির সময়কাল ৪৩২ থেকে ৪৩৩ খ্রিস্টাব্দ। গুপ্ত সম্রাট কুমার গুপ্তের আমলের এই তাম্রশাসন’। এ থেকে ধারণা করা যায় যে, বড়াইগ্রাম উপজেলা সময়ের হিসাবে বেশ প্রাচীন একটি এলাকা।
বড়াইগ্রাম উপজেলার আয়তন ২৯৯.৬১ বর্গ কিলোমিটার। এ উপজেলার উত্তরে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা ও নাটোর সদর উপজেলা, দক্ষিণে পাবনা জেলার আটঘরিয়া এবং ঈশ্বরদী উপজেলা, পূর্বে পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলা এবং পশ্চিমে নাটোরের লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলা অবস্থিত। বড়াইগ্রাম থানা সৃষ্টি হয় ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে। বড়াইগ্রাম উপজেলার নামকরণ সমন্ধে নির্দিষ্ট কিছু জানা যায় না। এ উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে বড়াল নদের দুটি শাখা। উপজেলার অধিকাংশ গ্রামই বড়াল নদের দুই ধারে অবস্থিত সে কারণে একে বড়ালগ্রাম বলা হত। কালক্রমে বড়াল নদ থেকেই বড়াইগ্রাম নামকরণ হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এক কালের খালে ভরা জঙ্গলবৃত্ত স্থানটুকুই বর্তমানে বড়াইগ্রাম নামে পরিচিত।
এক সময় বড়াইগ্রামের জোনাইল ও বনপাড়া এলাকা ছিলো বনজঙ্গলে ভরপুর। হিংস্র জীবজন্তুর ভয়ে লোকজন দিনের বেলাই চলাফেরা করতে ভয় পেতো। বড়াইগ্রাম উপজেলা থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব কোণে জোনাইল এলাকার অবস্থান। “জোনাইল নাটোর জেলার অন্তর্ভুক্ত প্রাচীন একটি জনপদ। জোনাইল বাজারটি বৃহত্তর রাজশাহী জেলার মধ্যে অন্যতম একটি প্রধান নৌবন্দর ছিল। অনেক ব্যবসায়ী মানুষ জোনাইল বাজারে বসবাস করতো। জোনাইলের নৌবন্দরটির নাম ছিল নাগরকান্দি। জোনাইলের নৌবন্দরটির অবস্থান ছিল ব্রীজের নিকটে। বড়ালের উত্তরপাড়ের অংশটি নাগরকান্দি নৌবন্দর নামে পরিচিত ছিল। বৃটিশ আমলে বড়ালের উত্তরপাড়ে জোনাইল বাজারে একটি পতিতা পল্লী ছিল। পাকিস্থান আমলের শেষের দিকে পল্লীটি উঠে গেছে।
বর্তমানে জোনাইল বাজার অত্র এলাকায় বেশ বড় একটি ব্যবসা কেন্দ্র ও বাজার হিসেবে পরিচিত। প্রতিনিয়ত জোনাইল বাজার তার অবস্থার পরিবর্তন করে আরো ভালো অবস্থানে রূপান্তরিত হচ্ছে। বড়াইগ্রাম থেকে অন্তত ১২ কিলোমিটার পশ্চিমে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের উভয় পার্শ্বে বনপাড়ার অবস্থান। গত শতাব্দীর ষাটের দশকের শুরুতে ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে যখন থানা পর্যায়ে প্রশাসনিক ইউনিট প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে সে সময়ে অফিস আদালত বড়াইগ্রামে স্থাপিত না হয়ে প্রশাসনিক দপ্তরগুলো বনপাড়াতেই স্থাপিত হয়েছে।
বড়াল নদ বড়াইগ্রাম ও চাটমোহর উপজেলার ভাওয়াল খ্রিস্টান জনপদের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। বড়াইগ্রাম ও চাটমোহর উপজেলার বড়াইগ্রামের বনপাড়া-জোনাইলের মাঝখান এবং চাটমোহর উপজেলার পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে বড়াল নদ; যা এই এলাকা দুটিকে সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলায় ভরপুর করে তুলেছে। বড়ালের প্রাচীন নাম বড়হর। স্থানীয় নাম বড়াল। বড়হর অর্থে বোঝানো হচ্ছে বড় হাওর বা পদ্মার বড় নদী। বড়াল পদ্মা-যমুনার সংযোগকারী নদী ছিল। এছাড়া বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জলাভূমি চলনবিলের পানি প্রবাহের প্রধান সংযোগ নদ হচ্ছে বড়াল।
আমরা বড়ালকে নদী হিসেবে জেনে অভ্যস্ত। কিন্তু বড়াল হচ্ছে একটি নদ। আর নদ বা নদী পৃথকীকরণের জন্য কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। এতদিন স্ত্রী নামে যে প্রবাহগুলো দেখেছি সেগুলোকে নদী হিসেবে আখ্যায়িত করেছি। আবার পুরুষ নামে যে প্রবাহ সেগুলোকে নদ হিসেবে ডাকা হতো। কিন্তু উভয়ের কোনটাই সঠিক পদ্ধতি নয়। আসল পদ্ধতিটি হচ্ছে যদি কোন প্রবাহের নামের শেষে আকার, একার, ওকার এবং ঔকার থাকে তাহলে সে প্রবাহগুলো নদী নামে পরিচিত হবে। যেমন- যমুনা, মেঘনা, পদ্মা। আর যদি কোন প্রবাহের নামের শেষে আকার, একার, ওকার, এবং ঔকার না থাকে কিন্তু হ্রস্ব-উ-কার থাকে বা হ্রস্ব-উ-কার নাও থাকে তাহলে তা অবশ্যই নদ হবে। যেমন- সিন্ধু নদ, নীল নদ, কপোতাক্ষ নদ। সুতরাং আমাদের চিরচেনা এই বড়ালটিও নিঃসন্দেহে একটি নদ হিসেবে পরিচিত হওয়ার কথা। কিন্তু যেহেতু নদী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে তাই বড়াল নদী হিসেবে সর্বজন স্বীকৃত। যদি পদ্মাকে বলি রাজশাহীর হৃৎপিণ্ড তাহলে বড়াল হচ্ছে হৃদস্পন্দন।
পদ্মার যে স্থান থেকে বড়ালের উৎপত্তি সে স্থানটি রাজশাহীর গোপালপুর নামক গ্রাম। তাই বড়াল পশ্চিম থেকে উৎপত্তি হয়ে পূর্বগামী। পদ্মা সেখানে প্রায় দুই কিলোমিটার প্রশস্থ। বড়াল বৃটিশ ভারতের অন্যতম প্রধান এবং প্রাচীন পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র “সারদাহ” নামক স্থানের দক্ষিণ দিক দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এরপর বড়াল সাপের ন্যায় বিভিন্ন দিকে ধাপিত হয়ে চলছে। ফলে সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন জনপদ। এছাড়াও বড়ালের বিভিন্ন শাখা নদ-নদী ও খালের সৃষ্টি হয়েছে। যেমন- মুসাখাঁন নদ, নন্দকুজা নদী প্রবাহমান কিন্তু অপর দুটি গাইনগড় ও পচা বড়াল মৃত। বড়াল নদী বড়াইগ্রামের বনপাড়ার ওয়ালিয়া বাজার থেকে তিন কিলোমিটার উত্তরে প্রবাহিত হয়ে পূর্বপার্শে চণ্ডীপুর, ভবানীপুর ফার্ম ও বাহিমালি গ্রামের আংশিক রেখে আরো উত্তরে অতিবাহিত হয়েছে। আড়াই কিলোমিটার এগিয়ে বড়ালের পূর্বে হারোয়া এবং পশ্চিমে শ্রীখণ্ডী গ্রাম। হাড়োয়ার ৩০০ বছরের পুরনো মহাশ্মশানটি বড়ালের পূর্ব পাড়ে অবস্থিত। এই শ্মশানে এক সময় সতীদাহ করা হতো বলে জানা যায়।
বড়ালের পূর্ব পাশে বনপাড়া-দয়ারামপুর সড়কটি যে স্থানে অবস্থিত এক সময় নদের তীর সেখানে ছিল। পঞ্চাশের দশকের শেষের দিকে পদ্মা থেকে আগত মালবাহী নৌকা বড়ালের এই পথ দিয়ে ঢাকা, টাঙ্গাইল, বগুড়া, চাঁদপুরে যাতায়াত করতো। এরপর বড়াল দেড় কিলোমিটার পথ উত্তরমুখী হয়ে কাটাশকুল নামক গ্রামে এসে পূর্বমুখী হয়ে কালিকাপুর ও মিশনস্কুলের উত্তরপাশ ঘেঁষে শেষে বনপাড়া বাজার ও মহাসড়কের ব্রীজের নিচ দিয়ে সোজা পূর্বমুখী হয়ে পুনরায় উত্তরমুখী হয়েছে। বড়াল নানা পথ অতিক্রম করে মৌখাড়া, আগ্রান, পারকোল হয়ে উত্তরদিকে এগিয়ে পূর্বদিকে বাঁক নিয়ে বড়াইগ্রাম থানা দপ্তর অতিক্রম করে লক্ষীকোল বাজারের উত্তর পূর্ব পাশে প্রবেশ করেছে। এরপর বড়াল পূর্বমুখী হয়ে রয়না অতিক্রম করে বিভিন্ন পথে জোনাইলের দিকে ধাপিত হয়েছে। আজ এ স্থানটি মৃতপ্রায়। ২০ বছর পূর্বেও রয়নার মোড় থেকে নৌ পথে চাটমোহর পর্যন্ত নৌকা চলাচল করতো।
বাগডোব ব্রীজ পেরিয়ে বড়াল পূর্বদিকে ধাপিত হয়েছে। এর উত্তরদিকে আদগ্রাম এবং দক্ষিণ দিকে পিঙ্গইল, কুমারখালি। বড়ালের দু’পাশে পানের বরজ এবং অন্যান্য ফসলের ক্ষেত ও ফলের বাগান এলাকাটিকে আরো সৌন্দর্যমণ্ডিত করে তুলেছে। বড়ালের উভয় পাশ দেখলে মনে হয় কোন এক সময় এদিকে প্রচুর জঙ্গল ছিলো। যার ছোঁয়া আজও কিছুটা রয়ে গেছে। উত্তরপাড়ে আদগ্রামে রয়েছে একটি শ্মশানঘাট। এরপর এখান থেকে আরও দুই কিলোমিটার অতিক্রম করার পর জোনাইল বাজার এবং দক্ষিণ পাশে পারবোর্ণী গ্রাম। বর্তমানে জোনাইল বাজার অত্র এলাকায় বেশ বড় একটি ব্যবসাকেন্দ্র ও বাজার হিসেবে পরিচিত। প্রতিনিয়ত জোনাইল বাজার তার অবস্থার পরিবর্তন করে আরো ভালো অবস্থানে রূপান্তরিত হচ্ছে। জোনাইলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বড়ালের বুকে পারাপারের দুটি ব্রীজই মিশন কর্তৃপক্ষের সহায়তায় তৈরী করা হয়েছে।
জোনাইল বাজার অতিক্রম করে বড়াল সোজা পূর্বদিকে বেশ প্রশস্ত আকার নিয়ে ধাপিত হয়ে বোর্ণী মিশন গেটের সামনে দিয়ে সোন্দভা তারপর হরিপুরে গিয়ে পৌচ্ছেছে। হরিপুর বাজারটি অত্যন্ত প্রাচীন। হরিপুরের দক্ষিণে বিস্তৃত জলাভূমি বিলকুরুলিয়া। হরিপুরের চৌধুরী জমিদার বংশ বিভিন্ন কারণে এই অঞ্চলে খ্যাতির শীর্ষে ছিলেন। সাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরী এই বংশেরই সন্তান। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাস্তি জামাতা ছিলেন তিনি। তাই এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায়, বড়াল নদ ধরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কুষ্টিয়া থেকে নওগাঁর পতিসর হয়ে শাহজাদপুর আসা যাওয়া করতেন। হরিপুরের বেইলী ব্রীজ অতিক্রম করে বড়াল বিভিন্ন জনপদ অতিক্রম করে চাটমোহরের সবজী ও মাছের হাটের পূর্ব দিক দিয়ে পুরাতন জনপদ বোথরের দিকে চলে গিয়েছে। বড়ালের উত্তরে প্রায় ২০০ গজ দূরে দুটি প্রাচীন বটগাছে আচ্ছাদিত বোথর মঠ। প্রতি বছর চৈত্র-সংক্রান্তিতে এখানে চড়ক পূজা হয়ে থাকে।
বনপাড়া, জোনাইল ও চাটমোহর হচ্ছে বড়াল তীরবর্তী সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাচীন ঐতিহাসিক ও বাণিজ্যিক বন্দর এলাকা। এক সময় এই এলাকার ব্যবসায়ীরা বড় বড় নৌকা বোঝাই মাল নিয়ে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যাতায়াত করতো। ভাওয়ালের শীতলক্ষ্যার মোহনা ছেড়ে বড়ালের এই বিশাল মোহনা পাড়ের মথুরাপুর, বোর্ণী ও বনপাড়াতে ভাওয়ালের খ্রিস্টানগণ বসতি গড়ে তুলেছিলেন। অত্র এলাকার খ্রিস্টানদের শিশু ও কৈশোরকালীন স্মৃতি বড়াল নদের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। বড়াল নদের বুক ঘেঁষে বড়াইগ্রামের জোনাইল-বনপাড়া, মানগাছা, গোপালপুর, ভবানীপুর এবং চাটমোহরের মথুরাপুর, হরিপুর ইউনিয়নের কাতুলী, ফৈলজানা ইউনিয়ন ও ফৈলজানা মিশনের অধিন্যস্ত গ্রাম চাচকিয়াতে ধীরে ধীরে ভাওয়াল অঞ্চল থেকে অভিবাসী হয়ে আসা বাঙ্গালী খ্রিস্টানদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। তবে দুঃখের বিষয় বড়াল নদের আগের রূপ আর নেই। মানুষের অসচেতনতা ও অপরিনামদর্শী কর্মকাণ্ডের ফলে ঐতিহাসিক এই নদ মারা যাচ্ছে। কয়েক বছর পর বড়াল নদের আর কোন অস্তিত্বই থাকবে না। বৃদ্ধার বলিরেখার মতো বড়াল এখন অতীত যৌবনের স্মৃতি বহন করছে শুধু।
(চলমান)