গত ৩১ শে অক্টোবর জপামালা রাণীর মাসের সমাপণী উপলক্ষে মুশরইল সাধু পিতরের ধর্মপল্লীতে বিশেষ প্রার্থনানুষ্ঠান ও খ্রিস্টযাগ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন বিকাল ৪.০০ টায় বিভিন্ন গ্রাম থেকে খ্রিস্টভক্তগণ একত্রিত হয়ে নিজেদের পরিবারের মা মারীয়ার মূর্তি নিয়ে জপমালা প্রার্থনা সহযোগে ধর্মপল্লীতে আসেন। মা মারীয়ার প্রতি ভক্তি প্রদর্শনার্থে বিশেষ খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন শ্রদ্ধেয় ফাদার সুনীল ডানিয়েল রোজারিও এবং তাকে সহায়তা করেন ধর্মপল্লীর পাল- পুরোহিত ও সেমিনারীর ফাদারদ্বয়। খ্রিস্টযাগের শুরুতে কুমারী মারীয়ার প্রতিকৃতিতে ধূপারতি,মাল্যদান এবং প্রতি পরিবার থেকে আনা মা মারিয়ার মূর্তি আর্শীবাদ করা হয়।
খ্রিস্টযাগের উপদেশ বাণীতে শ্রদ্ধেয় ফাদার সুনীল রোজারিও বলেন , “ ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই সেপ্টম্বর ডাবলিন শহরে ফ্রাংক ডুফ নামে এক ভদ্রলোক মারিয়া সংঘ স্থাপন করেন। বিশ্ব কাথলিক মণ্ডলিতে এটি বর্তমানে সবচেয়ে বড় সংগঠন। মা মারিয়াকে বলা হয় ঈশ্বর জননী, মানবতার মা, সার্বজনীন মা এছাড়াও আরো বিভিন্ন নামে অভিহিত করা হয়। মা মারিয়ার কয়েকটি বিশেষ গুণ হলো – নম্রতা, বাধ্যতা, অনঢ় বিশ্বাস ও সহভাগিতা। অষ্টাদশ শতাব্দীতে জেজুইট যাজকগণ মা-মারিয়ার প্রতি ভক্তি প্রদর্শনের জন্য মে বেদী স্থাপন করেন। উনবিংশ শতাব্দী থেকে পোপগণ মা মারীয়ার প্রতি ভক্তি নিবেদেনের জন্য ভক্ত মণ্ডলিকে উৎসাহিত করেন । সে থেকে কাথলিক মণ্ডলিতে মারিয়ার প্রতি ভক্তি , রোজারিমালা ঐতিহ্য হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। তাই লক্ষ্য করলে দেখা যায় পৃথিবীতে যত গির্জাঘর নির্মিত হয়েছে তার ৬০ ভাগ মা- মারিয়ার নামে উৎসর্গীকৃত। আসুন আমাদের অন্তর মন্দিরটা উৎসর্গ করি মা-মারিয়ার কাছে- তিনি যেন আমাদেরকে তার সন্তান হিসেবে রক্ষা করার দায়িত্ব নেন।”
খ্রিস্টযাগের শেষে পাল-পুরোহিত ফাদার প্রশান্ত সকলকে স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানেিয় বলেন,“ আজ অত্যন্ত আনন্দের সাথে আমরা জপমালা রাণী মা-মারিয়ার মাসের সমাপনী খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেছি। শ্রদ্ধেয় ফাদার সুনীল রোজারিও তার অর্থপূর্ণ বাণী সহভাগিতার মাধ্যমে আমাদের আলোকিত করেছেন তাই তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।”
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : ডানিয়েল লর্ড রোজারিও