গত ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রোজ রবিবার লূর্দের রাণী মারীয়া ধর্মপল্লীতে অনুুষ্ঠিত হলো পালকীয় কর্মশালার সেমিনার ২০২৪। পালকীয় কর্মশালার মূলসুর হলো “মিলন সাধনা: অন্তর্ভুক্তি ও সংহতি”। এতে ধর্মপল্লীর বিভিন্ন গ্রামের খ্রিস্টভক্ত ও ধর্মপল্লীতে সেবাদানরত ফাদার-সিস্টারগণ এবং ব্রাদার অংশগ্রহণ করেন। মোট অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল ৮৮ জন।
পালকীয় কর্মশালায় শ্রদ্ধেয় ফাদার পিউস গমেজ প্রার্থনার মধ্য দিয়ে কর্মশালা উদ্বোধন হয়। শুভেচ্ছা বক্তব্যে পাল-পুরোহিত ফাদার দিলীপ এস.কস্তা সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে কর্মশালায় সকলকে সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। মূলসুরের উপর সহভাগিতা করেন শ্রদ্ধেয় ফাদার জন মিন্টু রায়। তিনি তাঁর সহভাগিতায় বলেন, “সিনোডাল মণ্ডলী ‘মিলনধর্মী মণ্ডলী’-একসাথে পথ চলা: মিলন, অংশগ্রহণ ও প্রেরণ। মিলনধর্মী মণ্ডলীতে আমাদের সবার দায়িত্ব রয়েছে, মণ্ডলীর জন্য এক হয়ে একসাথে কাজ করা। তিনি আরো বলেন, “আমরা আমাদের পালকীয় কার্যক্রম দিয়ে প্রতিনিয়ত মণ্ডলীতে সেবা কাজ করে যাচ্ছি”।
শ্রদ্ধেয় ফাদার দিলীপ এস. কস্তা তার বক্তব্যে আরো বলেন, “খ্রিস্টযাগ থেকেই শুরু হয় খ্রিস্টমণ্ডলী। খ্রিস্টযাগে যোগদান করা একজন খ্রিস্টভক্তের কর্তব্য। ধর্মশিক্ষা আমাদের প্রত্যেকের জন্য বড় আর্শীবাদ। সকল সাক্রামেন্ত খ্রিস্টযাগের সাথে জড়িত এবং সাক্রামেন্ত হলো ঈশ্বরের উপস্থিতি। তিনি আরো বলেন, “ মণ্ডলী হলো সাক্রামেন্ত আর সাক্রামেন্ত হলো চিহ্ন। মণ্ডলীর প্রাণকেন্দ্র হল খ্রিস্টযাগ আর খ্রিস্টযাগে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করা খ্রিস্টান হিসেবে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য । আমরা সকলে সহযাত্রী বা সিনোডাল মণ্ডলীতে অবস্থান অনুসারে সকলেই সেবাকর্মী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত।
পালকীয় কর্মশালার শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পাপ স্বীকার সংস্কার প্রদান করা হয়। শেষে পাল-পুরোহিত সকলকে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। পরিশেষে দুপুরের আহার খাওয়ার পর ও শেষ প্রার্থনার মধ্য দিয়ে পালকীয় কর্মশালার সমাপ্তি হয়।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : শিবলাল মার্ডী