গত ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিশপ ভবনে যাজকবর্গের উপস্থিতিতে ফাদার দিলীপ কস্তার স্বরচিত “ যিশুর জন্মদিন : শুভ বড়দিন” বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল বিশপ জের্ভাস রোজারিওসহ বিভিন্ন ধর্মপল্লীতে ও প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকল ফাদার-ডিকন, ব্রাদার ও সিস্টারগণ।
“যিশুর জন্মদিন : শুভ বড়দিন” বইয়ের মোড়ক উন্মোচন বিশপ জের্ভাস রোজারিও অনুষ্ঠানে বলেন- শ্রদ্ধেয় ফাদার দিলীপ এস. কস্তা রাজশাহী কাথলিক ধর্মপ্রদেশের একজন ধর্মযাজক, যিনি বর্তমানে বনপাড়া কাথলিক ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ও ঢাকার বনানীতে অবস্থিত পবিত্র আত্মা উচ্চ সেমিনারীতে মাণ্ডলিক ইতিহাসের একজন অধ্যাপক, ইতিমধ্যেই তার বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় তিনি এখন তাঁর নতুন প্রয়াস “যিশুর জন্মদিন : শুভ বড়দিন” বইটি প্রকাশ করেছেন। আমি তাঁর এই প্রয়াসকে অভিনন্দন জানাই ও তাঁকে এর জন্য ধন্যবাদও জানাই। কারণ তিনি পরিশ্রম করে আমাদের খ্রিস্টবিশ্বাসীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব “বড়দিন” সম্পর্কে বিশদ তথ্য-উপাত্ত নিয়ে এই বইটি প্রকাশ করেছেন। আমার বিশ্বাস বাংলাদেশের সকল খ্রিস্টভক্তদের মধ্যে শুধু নয়, এই বইটি অখ্রিস্টানদের মধ্যেও সমানভাবে সমাদৃত হবে। এই বই পড়ে যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসবের বিভিন্ন খুুঁটি-নাটি বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবে।
লেখক ফা: দিলীপ কস্তা তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, বড়দিনকে ঘিরে অসংখ্য লেখা রয়েছে, তবে বাংলা ভাষায় বড়দিনের পরিপূর্ণ ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট নিয়ে বইয়ের সংখ্যা নিতান্তই কম। বড়দিনকে ঘিরে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার প্রবন্ধ লিখতে চেষ্টা করেছি এবং তা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। অনেক দিন থেকেই বড়দিনের উপর একটি বই রচনার চিন্তা উঁকি দিচ্ছিল। কিছু পত্র-পত্রিকা, বই পুস্তক ও ইন্টারনেট থেকে তথ্য নিয়ে বইটি রচনার জন্য চেষ্টা করেছি। বড়দিনকে নিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য তথ্য বা উপাত্ত রয়েছে, তবে নির্ভূল ও সত্যনিষ্ঠ তথ্যের অভাব রয়েছে বটে। এছাড়া লোককাহিনী ও গল্পকথাও রয়েছে বড়দিনকে ঘিরে। কোন কোন ক্ষেত্রে তথ্যের দ্বিমত ও বিতর্ক রয়েছে। এই বইয়ের মধ্যে বড়দিনের ধারাবাহিক একটি ইতিহাস দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছি। তবে বড়দিন উৎসবের ধারাবাহিকতা বিষয়টি সঠিকভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। কোন কোন ক্ষেত্রে তথ্য ও উপাত্তের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার