মূলভাবঃ বেতার হলো সংলাপ, সহনশীলতা ও শান্তির পালক।

বরেন্দ্রদূত অনলাইন পত্রিকার সস্মানিত পাঠকদের প্রতি রইলো প্রীতি ও শুভেচ্ছা। এই পত্রিকার আরো একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান হলো অনলাইন রেডিও জ্যোতি। রেডিও জ্যোতি রাজশাহী ডাইয়োসিসের একটি প্রতিষ্ঠান। সারা বিশ্বের যার রয়েছে লক্ষাধিক শ্রোতা। এই রেডিও জ্যোতি এখন থেকে তিন বছর আগে, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ৩ জুন বাংলাদেশের বগুড়া সিটি থেকে তার যাত্রা শুরু করেছিলো। আর ফিতা কেটেছিলেন, বিশপ জের্ভাস রোজারিও। বিশপ, রেডিও জ্যোতির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি। বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে বিশপ যে বাণী সম্প্রচার করেছেন তা বরেন্দ্রদূত পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

দেশ বিদেশের শ্রোতা ভাই ও বোনেরা। রেডিও জ্যোতির তৃতীয় বছরের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে সবার প্রতি রইলো আমার প্রীতি ও শুভেচ্ছা।
প্রতি বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় বিশ্ব বেতার দিবস। যথা রীতি এবার ও বিশ্বের সর্বত্র পালিত হলো বিশ্ব বেতার দিবস। আর এবারের বিষয় ছিলো, সংলাপ, সহনশীলতা ও শান্তি। এমন একটি সুন্দর বিষয় বেছে নেবার জন্য জাতি সংঘের ইউনেস্কো সভাকে অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে হয়।
অস্ত্র, যুদ্ধ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দিয়ে কোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। এক মাত্র সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমেই তা সম্ভব। অনেকেই একমত হবেন যে, সাম্প্রতিক দিন গুলোতে মানুষের মধ্যে সহনশীলতার অভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেনো এমনটি হচ্ছে ? প্রাণি জগতে মানুষ উত্তম সৃষ্টি। তাই মানুষকেই প্রমাণ করতে হবে অন্যের প্রতি সম্মান দেখানো, অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং অন্যজনকে নিজের মতো করে ভালোবাসার। কারণ বিশ্বের সব মানুষের সৃষ্টি কর্তা এক ও অভিন্ন। তাই বলা যায়, আজকের এই হানাহানির বিশ্বে, শান্তির জন্য মানুষের ক্রন্দন মানুষকেই ব্যথিত করে তুলছে এবং সর্ব ধর্ম ও সর্ব জাতির মধ্যে সম্প্রীতি ধ্বংস করছে। মনে রাখতে হবে, অস্ত্র প্রতিযোগীতা, যুদ্ধ, হানাহানি সভ্যতার কোনো অংশ নয়।
রেডিও জ্যোতি তার যাত্রার শুরু থেকেই শান্তির কথা বলে আসছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, শ্রোতারা এই বিষয়ে সচেতন। আমি আপনাদের অনুরোধ করবো- আপনারা বিশ্ব শান্তির জন্য এগিয়ে আসুন, বিশ্ব শান্তির কথা বলুন। বিশ্বে শান্তি স্থাপিত হলে নিজের মধ্যেও স্থাপিত হবে শান্তি।
রেডিও জ্যোতির বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে সবার প্রতি রইলো আমার শুভেচ্ছা ও আর্শীবাদ।
বি.দ্র. রেডিও জ্যোতির ওয়েভ ঠিকানা হলো www.radiojyotibd.com

Please follow and like us: