গত ৩১ মে ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে, তিনদিনের বিশেষ নভেনা প্রার্থনা, পবিত্র খ্রিস্টযাগ, পাপস্বীকার সংস্কারের মধ্য দিয়ে খ্রীষ্টভক্তগণ আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি গ্রহণের পর উদযাপিত হলো বোর্ণী কাথলিক ধর্মপল্লীর প্রতিপালিকা শক্তিমতি কুমারী মারীয়ার পর্ব। খ্রিস্টযাগে অংশগ্রহণ করে খ্রিস্টভক্তগণ মা মারীয়ার নিকট তাদের আবেদন-নিবেদন ব্যক্ত করেন। নভেনা প্রার্থনার পাশাপাশি খ্রিস্টভক্তগণ ২৯ মে সন্ধ্যায় দলীয়ভাবে নিজ নিজ গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে আলোক শোভাযাত্রা এবং মা মারীয়ার উদ্দেশ্যে বিশেষ জপমালা প্রার্থনা করেন। উল্লেখ্য থাকে যে, মে মাসের দিনগুলোতে গ্রাম্যভিত্তিক রোজারীমালা প্রার্থনা করেন খ্রিস্টভক্তগণ। পরের দিন ৩০ মে সন্ধ্যায় বিভিন্ন গ্রাম থেকে খ্রীষ্টভক্তগণ কুমারী মারীয়ার প্রতিকৃতিসহ শোভাযাত্রা করে ধর্মপল্লীর মা মারীয়ার গ্রটোর সামনে প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করেন। খ্রিস্টভক্তগণ সন্ধ্যায় ধর্মপল্লী প্রাঙ্গণে মোমবাতিসহ শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
পর্বের দিন “বোর্ণী ধর্মপল্লীবাসী চিন্তা-ভাবনা রবে না, শক্তিমতি মায়ের কাছে এসে কর প্রার্থনা” গানের সুরে ছন্দে বোর্ণী ধর্মপল্লীর ঐতিহাসিক মা মারীয়ার প্রতিকৃতি নিয়ে শোভাযাত্রা করা হয়। এতে খ্রিস্টভক্তগণ রোজারীমালা প্রার্থনা ও গানের সুরে ভক্তিসহযোগে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। পর্বীয় খ্রিস্টযাগে পৌরহিত্য করেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ভিকার জেনারেল ফাদার পল গমেজ। এছাড়াও ১০ জন পুরোহিতসহ দুইজন ডিকন খ্রিস্টযাগে উপস্থিত ছিলেন। ভিকার জেনারেল ফাদার পল গমেজ তাঁর উপদেশে মা মারীয়ার প্রতি ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সমাজিক ও মণ্ডলীর ভক্তি বাড়াতে সবাইকে উৎসাহিত করেন।
খ্রিস্টযাগের পর পরই ধর্মপল্লীর গ্রামগুলোর অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ জারিগানের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। জারিগানে খ্রিস্টভক্তগণ মা মারীয়ার মঙ্গলময়তা, আশীর্বাদ ও মহত্ত¥তা তুলে ধরেন। পরিশেষে জারিগানে অংশগ্রহণকারী গ্রামগুলোকে পুরস্কার প্রদানের মধ্য দিয়ে পর্বদিনের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

Please follow and like us: