জেরম অজয় মুর্মু
জীবনের পথে চলতে গিয়ে আমরা অনেক পরিস্থিতির মুখোমুখি হই, কখনো পথ হারাই, কখনো আশাহত হই , কখনো ঘুরে দাঁড়াই আবারো পথ চলা শুরু করি । এমনই কিছু প্রতীক ও আদর্শ রয়েছে, যা আমাদের নতুন করে পথ চলার অনুপ্রেরণা দেয়। তেমনই এক প্রতীক বিশ্ব যুব ক্রুশ, যা কেবলমাত্র একটি ধর্মীয় নিদর্শন নয় কিন্তু এটি আত্মশুদ্ধি, দায়িত্ববোধ এবং মানবতার প্রতি অবিচল ভালোবাসারও প্রতীক।
যুব ক্রুশ স্পর্শ করার মুহূর্তটি ছিল আমার জন্য এক গভীর আত্মোপলব্ধির সময়। যেন সব অস্থিরতা থেমে গিয়ে হৃদয়ের গভীরে নেমে এলো এক অনন্ত নীরবতা। আমি অনুভব করলাম এই ব্যস্ত পৃথিবীতে ঈশ্বরকে ভুলতে বসেছি । এই ক্রুশ কেবল একটি বস্তু নয় বরং আমার আত্মার শক্তিরই প্রতিফলন। জীবনের প্রকৃত সৌন্দর্য আত্মশুদ্ধিতে নিহিত। বাহ্যিক সাফল্যের পেছনে ছুটে চলা নয় বরং আত্মার পরিশুদ্ধতাই আমার প্রকৃত চাওয়া হয়ে উঠা উচিত ।
প্রার্থনার শক্তি অপরিসীম । আমরা যখন সত্যিকারের বিশ্বাস ও বিনম্রতা নিয়ে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তখন তিনি আমাদের সঠিক পথ দেখান। যুব ক্রুশ পাওয়া অর্থ শুধু আশির্বাদ প্রাপ্ত হওয়া নয় বরং এটি এক বিশাল দায়িত্বও বয়ে আনে। ক্রুশ আমাকে শিখিয়েছে- সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকা উচিত। জীবনে যতই কঠিন পরিস্থিতিই আসুক না কেন, আমাদের উচিত ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো, অসহায় ও দুঃখীদের পাশে দাঁড়ানো, তাদের সাহায্য করা এবং মানবতার কল্যাণে নিয়োজিত হওয়া ।
বিশ্ব যুব ক্রুশ: আলোর পথের দিশারি। যুব ক্রুশ আমার জন্য বিশ্বাসের মশাল। যা আমাকে প্রতিনিয়ত মনে করিয়ে দেয় যে, আমি একা নই; ঈশ্বর সর্বদা আমার পাশে আছেন। সত্য, বিশ্বাস, ভালোবাসা ও করুণা এই চারটি গুণ আমার জীবনের মূল ভিত্তি হওয়া উচিত।
বিশ্ব যুব ক্রুশ আমার জীবনে এক নতুন আলো এনেছে। এটি আমাকে আত্মবিশ্বাসের পুনর্গঠন , মানসিক স্থিরতা ও মনুষ্যত্বের স্বরূপ বোঝাতে সাহায্য করেছে। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, আমি এই ক্রুশের মর্যাদা রক্ষা করব, মানবতার সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করব এবং সত্য, ন্যায় ও ভালোবাসার পথে চলব। এটি শুধু একটি মুহূর্তের অনুভূতি নয় বরং এটি আমার সারা জীবনের পথ প্রদর্শক হয়ে থাকবে।