গত ১৩ জুন ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে, দীর্ঘ নয়দিন ব্যাপী সাধু আন্তনী’র জীবনী সহভাগিতা ও বিভিন্ন
বিষয়ের উপর ভিত্তি করে নভেনা ও খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করার মধ্যদিয়ে মহিপাড়া ধর্মপল্লীতে গভীর শ্রদ্ধা
ও ভক্তিসহকারে ধর্মপল্লীর প্রতিপালক সাধু আন্তনীর পর্ব এবং তীর্থ উৎসব পালিত হয়েছে। তীর্থের
পূর্বে বিভিন্ন ফাদারগণ নভেনা পরিচালনা, সহভাগিতা ও খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন। অন্যদিকে
তীর্থের আগের দিন সন্ধ্যায় নভেনার পর শুরু হয় পবিএ ক্রুশের পথ, সাধু আন্তনীকে নিয়ে আলোক
শোভাযাত্রা করে মহিপাড়া গ্রাম প্রদক্ষিন করা হয়। তীর্থের দিন বিভিন্ন ধর্মপল্লী থেকে প্রায়
সারে চার হাজার খ্রিস্টভক্ত উপস্থিত ছিলেন। এই তীর্থের খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন রাজশাহী
ধর্মপ্রদেশের বিশপ জের্ভাস রোজারিও এবং তার সঙ্গে সহার্পিত মোট ২১ জন যাজক উপস্থিত
ছিলেন। বিশপ তাঁর উপদেশ বাণীতে বলেন, আজ আমরা এখানে সমেবেত হয়েছি সাধু আন্তনী’র
প্রতি আমাদের হৃদয়ের গভীর শ্রদ্ধা, ভক্তি ও ভালবাসা জানাতে। সাধু আন্তনীর আধ্যাত্মিক, মানবিক
জীবনকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, আমরা কোন কিছু হারালে সাধু আন্তনীর মধ্যস্থতায়
প্রার্থনা করি যেন হারানো জিনিসটা খুঁজে পাই। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে যে, পাওয়ার
মধ্যে আমরা যেন বেশি আনন্দ না পাই, বরং দেওয়ার মধ্যেই যেন আমরা আমাদের আনন্দ খুঁজে পাই,
কারণ পাওয়ার আনন্দটা হচ্ছে জাগতিক এবং ক্ষনস্থায়ী আর দেওয়ার আনন্দটা হচ্ছে আধ্যাত্নিক এবং
চিরস্থায়ী। সাধু আন্তনী আমাদের প্রত্যেকে আহ্বান করেন আমরা যেন ভালো, আর্দশ খ্রিস্টভক্ত হয়ে
উঠি এবং আমরা যেন মন্ডলীকে ভালোবাসতে পারি। খ্রিস্টযাগের পর বিশপ মহোদয় তীর্থের বিস্কুট
আশির্বাদ করেন যা প্রসাদরূপে সকলে নিয়ে বাড়ী ফিরে যান। অতঃপর পাল-পুরোহিত ফাদার
বার্ণাড রোজারিও সকলের সুন্দর সহযোগিতার মধ্যদিয়ে তীর্থ অনুষ্ঠান সর্ম্পন করার জন্য ধন্যবাদ
ও কৃতজ্ঞতা জানান।
মহিপাড়া ধর্মপল্লীতে সাধু আন্তনীর তীর্থ উৎসব
Please follow and like us: