গত ২৯ জুন ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের খ্রিস্টিয় ঐক্য ও আন্তঃধর্মীয় সংলাপ কমিশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো সম্প্রীতি দিবস- ২০১৯ খ্রি. এই উপল্লক্ষে রাজশাহী অঞ্চল-এর ফাদার এফ চেসকাতো সম্মেলন কক্ষে “শান্তি স্থাপনে সুস্থ নেতৃত্ব” মূল প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে মত বিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলার জেলা প্রশাসক জনাব মো. হামিদুল হক এবং সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় খ্রিস্টিয় ঐক্য ও আন্তঃধর্মীয় সংলাপ কমিশনের সভাপতি পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ জের্ভাস রোজারিও, এসটিডি, ডিডি। শুরুতেই পবিত্র গ্রন্থ থেকে পাঠ করেন মো. ফরিদুল ইসলাম, মান্যবর দীলিপ কুমার মৈত্র ও সিস্টার জ্যোতি সরকার, সিআইসি। অতঃপর ইসলাম, সনাতন, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্ট ধর্মের নামে চারটি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। এর পরেই রাজশাহী সংলাপ কমিশনের আহবায়ক শুভেচ্ছা বক্তব্য রখেন এবং বাইবেল ভিত্তিক সম্প্রীতি দিবসের তাৎপর্য তুল ধরেন। মুলভাব কেন্দ্রিক বক্তব্য রাখেন কারিতাস রাজশাহী’র আঞ্চলিক পরিচালক মি. সুক্লেশ জর্জ কস্তা ও মি. লিটন মণ্ডল, ম্যানেজার রাজশাহী এপিসি, ওয়াল্ড ভিশন, বাংলাদেশ। বক্তব্যে সুস্থ নেতৃত্বের প্রয়োজন উল্লেখ করে উদাহারণ স্বরুপ নেলসন মেন্ডেলা, মাটিন লুথার কিং ও মহাত্মা গান্ধীর নাম উল্লেখ করা হয় এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে নেতৃত্ব গঠনের প্রয়োজন তুলে ধরা হয়। এর পরেই ইসলাম, সনাতন ও খ্রিস্টধর্মের আলোকে “শান্তি স্থাপনে সুস্থ নেতৃত্ব” এর উপর আপন আপন পবিত্র গ্রন্থ ভিত্তিক সহভাগিতা করেন প্রভাষক আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; অগ্রণী ব্যাংক, রাজশাহী’র উপ মহা-ব্যবস্থাপক মান্যবর দিলীপ কুমার মৈত্র ও চার্চ অব বাংলাদেশ, রাজশাহী’র অঞ্চল পালক রেভারেন্ড বিলিয়ম সরদার। প্রধান অতিথি রাজশাহী’র জেলা প্রশাসক জনাব মো. হামিদুল হক সম্প্রীতি দিবস পালনের এমন উদ্যোগ-এর ভূয়শী প্রশংসা করেন এবং আয়োজক কমিটিকে সাধুবাদ জানান। শান্তি ও সম্প্রীতির লক্ষ্যে যে-কোন কর্মসূচীতে উপস্থিত থাকার আশ্বাস দেন মাননীয় জেলা প্রশাসক। বর্তমান গোটা বিশ্বে, বাংলাদেশে শান্তি-সম্প্রীতি যে ভীষন প্রয়োজন তা-ও উল্লেখ করেন এবং নবাগত জেলা প্রশাসক হিসাবে এই ক্ষেত্রে সকল প্রকার সহযোযোগিতা দান করার প্রতিশ্রুতি দেন। সভাপতি’র বক্তব্যে ধর্মপ্রদেশীয় সংলাপ কমিশনের এবং উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতি রাজশাহী’র ধর্মপাল পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ জের্ভাস রোজারিও শান্তি-নস্প্রীতির লক্ষ্যে সুস্থ নেতৃত্বের প্রয়োজন উল্লেখ ক’রে বাংলাদেশের বাহ্যিক কাঠামোর উন্নতি’র সাথে সাথে জনগণের, বিশেষভাবে যুবসমাজের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক উন্নয়নের প্রয়োজনের কথা গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেন এবং এই ক্ষেত্রে সরকারের বাস্তবধর্মী উদ্যোগ প্রত্যাশা করেন। বিশপ মহোদয় প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, আলোচকবর্গ এবং উপস্থিত সকল পর্যায়ের প্রায় ৮৫ জন অংশগ্রহণকারীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন । অনুষ্ঠানটির আয়োজন ও ব্যবস্থাপনায় ছিল রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় খ্রিস্টিয় ঐক্য ও আন্তঃধর্মীয় সংলাপ কমিশন এবং সহযোগিতায় ছিল কারিতাস রাজশাহী অঞ্চল ও রাজশাহী এপিসি, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ।

Please follow and like us: