গত ১০-১১ নভেম্বর, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের খ্রিস্টজ্যোতি পালকীয় সেবাকেন্দ্রে আয়োজন করা উরাঁও সম্মেলন ২০১৯। সম্মেলনের মূলতঃ “উরাওঁ কৃষ্টি ও সংস্কৃতি চর্চা, রক্ষা ও সংরক্ষণ এবং সমাজ উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা করা হয় । রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের আওতাভুক্ত ১৬টি ধর্মপল্লী হতে মোট ৬২জন উরাঁও সমাজনেতা/নেত্রী উক্ত সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ জের্ভাস রোজারিও। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমাদের প্রত্যেকেরই দায়িত্ব রয়েছে স্ব স্ব কৃষ্টি-সংস্কৃতির প্রতি মর্যাদা দেখানো, চর্চা করা, লালন ও পালন করা। তিনি আরো বলেন, আদি কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে গুরুত্ব দিয়ে বর্তমান প্রেক্ষাপটে তা মানিয়ে নিতে হবে, তাহলে তা টিকে থাকবে তা না হলো তা হারিয়ে যাবে।
উক্ত সেমিনারে উরাওঁদের সামাজিক কাঠামো: বর্তমান অবস্থা ও কার্যকর করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ উরাঁও সমাজনেতা/নেত্রী হিসেবে সমাজ উন্নয়নের লক্ষ্যে করণীয় দিক সম্পর্কে আলোকপাত করেন মি. লুকাশ কিসপট্টা, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও উরাওঁ গবেষক, দিনাজপুর। তিনি উরাঁওদের সামাজিক কাঠামো অনুযায়ী সমাজ ব্যবস্থা জোরদারকণ ও চর্চা করার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে কমিটি গঠন ও কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য তিনি গুরুত্বারোপ করেন। অপরদিকে ফাদার কেরুবিম বাক্লা, দিনাজপুর ধর্মপ্রদেশ উরাঁওদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি: চর্চা ও অনুশীলন এবং রক্ষা ও সংরক্ষণে করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করতে গিয়ে উরাওঁ জাতিগোষ্ঠী বিভিন্ন কৃষ্টি-সংস্কৃতির মধ্যে যে ভাল মূল্যবোধ রয়েছে তা চর্চা করার জন্য আহ্বান জানান। তিনি বলেন নিজের জীবনে, পরিবারে এবং এলাকায় এগুলোর ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য আমাদের প্রত্যেকেরই দায়িত্ব। এছাড়াও, বর্তমান বাস্তবতায় কৃষ্টি ও সংস্কৃতি চর্চা এবং অভিযোজন কৌশল/সমন্বয় করার বিষয়ে সহভাগিতা করেন ফাদার ইম্মানুয়ে কানন রোজারিও। তিনি বলেন যে, বর্তমান বাস্তবতায় এবং যুগের চাহিদার সাথে কৃষ্টি-সংস্কৃতি মানিয়ে চর্চা ও অনুশীলন করতে হবে অন্যথায় তা হারিয়ে যাবে। সেমিনার বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা করেন ফাদার উইলিয়াম মুরমু।
রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় পর্যায়ে পালিত হলো ওরাঁও সম্মেলন ২০১৯
Please follow and like us: