গত ২২ নভেম্বর ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে, ভবানীপুর সাধু ফ্রান্সিস জেভিয়ারের ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো ডিকন সুরেশ জন বস্কো পিউরীফিকেশনে’র যাজকীয় অভিষেক অনুষ্ঠান। এই অভিষেক অনুষ্ঠানকে ঘিরে ২১ নভেম্বর ধর্মপল্লীতে ডিকনের সার্বিক মঙ্গল কামনায় অনুষ্ঠিত হয় পবিত্র সাক্রামেন্তীয় আরাধনা ও মঙ্গলানুষ্ঠান। পরের দিন ২২ নভেম্বর সকাল ৯:৩০ মিনিটে নৃত্যযোগে শোভাযাত্রা সহকারে যাজকীয় অভিষেক খ্রিস্টযাগ শুরু হয়। এতে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিশপসহ ৪৯ জন যাজক, ব্রাদার ও উল্লেখযোগ্য ব্রতধারিণী অংশগ্রহণ করেন। বিশপ জের্ভাস রোজারিও খ্রিস্টযাগের উপদেশ বলেন, যাজকীয় অভিষেক ও দায়িত্ব গ্রহণ হচ্ছে ঈশ্বরের একটি আহ্বান। এই পবিত্র আহ্বানে আমাদের বিশ্বস্থ থাকতে হবে। তিনি বিশেষভাবে কৌমার্য, বাধ্যতা ও দরিদ্রতা- এই তিনটি ব্রতের উপর গুরুত্ব দেন এবং সকলকে আহ্বান করেন যাজকদের জন্য প্রার্থনা করতে। খ্রিস্টভক্তদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, যাজক একজন মানুষ; তার ভুল হতেই পারে, তার দূর্বলতা থাকতেই পারে কিন্তু ভক্তজনগণ হিসাবে আপনাদের দায়িত্ব হচ্ছে যাজকের জন্য প্রতিনিয়ত প্রার্থনা করা যেন তাঁরা পবিত্র থেকে তাদের যাজকীয় সেবা দায়িত্ব বিশ্বস্থতার সহিত পালন করতে পারে। যাজকীয় অভিষেক খ্রিস্টযাগের পরপরই নব অভিষিক্ত যাজককে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। সম্বর্ধনায় নব অভিষিক্ত যাজক সুরেশ জন বস্কো পিউরীফিকেশ বলেন, প্রথমেই আমি কৃতজ্ঞতা ভরা অন্তরে পরম করুণাময় ঈশ^রের ধন্যবাদ ও প্রশংসা করি কারণ তাঁর অসীম ভালবাসায়, আশির্বাদ, দয়া ও অনুগ্রহে আমি প্রভুর বেদীমূলে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নিবেদন করতে পেরেছি তাই আপনারা আমার জন্য প্রার্থনা করবেন যেন আমার যাজকীয় সেবা দায়িত্ব আমি বিশ্বস্থতার সাথে পালন করতে পারি। আজকের এই দিনে বন্ধুযীশুর কাছে আমার একটিই প্রার্থনা “তোমার ক্রুশ বহন করে আমি যেন আজীবন মানব প্রেমের উদাহরণ হয়ে উঠতে পারি, তোমার মঙ্গলময়তা অন্যের কাছে প্রচার করতে পারি এবং তোমার মঙ্গল ইচ্ছার প্রতি বিশ্বস্থ থাকতে পারি”। এই যাজকীয় অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রায় এক হাজার আটশত খ্রিস্টভক্ত উপস্থিত ছিল।
অভিষিক্ত তুমি চিরকালীন যাজক: ভবানীপুর ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো যাজকাভিষেক
Please follow and like us: