রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিশপ তাঁর উপদেষ্টা মণ্ডলির সদস্যদের নিয়ে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে, আগামী ৩১ মে, ২০২০, পঞ্চাশত্তমী পর্বদিন থেকে ধর্মপ্রদেশের সমস্ত ধর্মপল্লীতে রবিবাসরীয় ও সাপ্তাহিক খ্রিস্টিয় উপাসনা শুরু করা যাবে। তবে নিম্নে বর্ণিত বিধি-নিয়মগুলো অব্যশই গুরুত্ব সহকারে পালন করতে হবে।
১। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারকর্তৃক অনুমোদিত স্বাস্থ্য-বিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
২। গির্জাঘরগুলো সব সময় পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও জীবাণু মুক্ত রাখতে হবে।
৩। খ্রিস্ট বিশ্বাসীদের জন্য সাবান দিয়ে হাত পা ধোয়ার ও স্যানিটাইজার দিয়ে হাত-পা জীবাণু মুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে এবং সেই সাথে সবাই পরিস্কার মাস্ক ব্যবহারে বাধ্য থাকবেন।
৪। গির্জাঘরে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে বসতে হবে।
৫। বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের আপাতত গির্জায় না এসে বাড়িতে থেকেই প্রার্থনা করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
৬। খ্রিস্টযাগের আগে-পরে কোনভাবেই সমাবেশ করা যাবে না। সব সময়ই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
৭। কোন ব্যক্তির সঙ্গে করমর্দন করা বা স্পর্শ করা যাবে না।
৮। যাজকগণ খ্রিস্ট বিশ্বাসীদের হাতের তালুতে খ্রিস্টপ্রসাদ প্রদান করবেন।
৯। যাজকগণ নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে অন্যান্য সাক্রামেন্ত প্রদান করবেন।
১০। যাজকগণ সর্বদাই সরকারি স্বাস্থ্য-বিধি নিজেরা মেনে চলবেন এবং খ্রিস্টভক্তদেরও মেনে চলার জন্য উৎসাহিত করবেন।
১১। ধর্মপল্লীর প্রয়োজন অনুসারে রবিবাসীয় খ্রিস্টযাগের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
১২। গির্জাঘরে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
১৩। গির্জাঘরে কোন মতেই জুতা বা স্যান্ডেল পরে প্রবেশ করা যাবে না।
১৪। গির্জায় খ্রিস্টভক্তদের নিয়ে উপাসনা শুরুর ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করতে হবে।
১৫। নিজ নিজ ধর্মপল্লী ও এলাকার অবস্থা অনুসারে আরও কিছু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
১৬। মফঃস্বলের গির্জাগুলোতেও এই সব বিধি-বিধান প্রযোজ্য থাকবে।
১৭। এই সমস্ত বিধি-বিধান বাস্তবায়নে পালকীয় পরিষদের সদস্যগণ খ্রিস্টভক্তদের সহায়তা করবেন।
১৮। যারা গির্জা চত্বরের ভিতরে অবস্থান করছেন আপাতত তাদের দিয়েই বাণী পাঠ, উদ্দেশ্য প্রার্থনা ও অন্যান্য কাজগুলো করানোর জন্য পরামর্শ দেওয়া হল।
১৯। যাজকগণকে উপরোক্ত দিক নির্দেশনাসমূহ পালনে খ্রিস্টভক্তদের অবগত ও প্রস্তুতি দিতে হবে।
খ্রিস্টেতে আপনাদের সেবায়
বিশপ জের্ভাস রোজারিও,
রাজশাহী ক্যাথলিক ধর্মপ্রদেশ, বাংলাদেশ।