গত ৩১ মে ২০২১ খ্রিস্টাব্দ, রোজ সোমবার, করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে বোর্ণী মারীয়াবাদ ধর্মপল্লীর প্রতিপালিকা শক্তিমতি কুমারী মারীয়ার মহাপর্ব অত্যন্ত ভক্তিপূর্ণ ও আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে উদ্যাপন করা হয়। পর্বীয় খ্রিস্টযাগে প্রধান পৌরহিত্য করেন মথুরাপুর ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার দিলীপ এস কস্তা। এই সহাপর্ণ খ্রিস্টযাগের আধ্যাত্মিক মিলনমেলায় ডিকনসহ ৯ জন পুরোহিত ও ধর্মপল্লীর সিস্টারগণসহ প্রায় ৬০০ জন মারীয়াভক্তের সমাগম ঘটেছিল। সবাই করোনামুক্ত পৃথিবীর জন্য শক্তিমতি কুমারী মারীয়ার মধ্যস্থায় পিতা ঈশ^রের কাছে অনুগ্রহ ও আর্শীবাদ চেয়ে প্রার্থনা করেছেন। পর্বীয় আধ্যাত্মিক প্রস্তুতিস্বরূপ ৯ দিন ধরে, প্রতিদিন সকালে খ্রিস্টযাগের আগে রোজারিমালা প্রার্থনা এবং খ্রিষ্টযাগের শেষে নভেনা প্রার্থনা করা হয়। পর্বের দিন প্রতিটি ব্লক থেকে দলে দলে রোজারি মালা প্রার্থনা করে মারীয়া গ্রুটোর কাছে রাখা বড় মূর্তির সামনে উপস্থিত হন এবং পরে মা মারীয়ার মূর্তি নিয়ে শোভাযাত্রা করে গির্জায় প্রবেশ করেন। ফাদার দিলীপ এস কস্তা তার খ্রিস্টযাগের উপদেশে বলেন, ‘বিশ^াসের যাত্রা পথে মা মারীয়া নিত্যই আমাদের সহযাত্রী, সহযোগী ও রক্ষাকারিণী। তিনি তাঁর স্নেহডোরে আগলে রাখেন প্রত্যেকটি সন্তানকে।
নিত্যদিনের আধ্যাত্মিক সাধনায় মারীয়া হয়ে উঠুন জীবন সঙ্গী, শুদ্ধ রাণী, প্রেরণাদায়ী। শেষে শুধু বলতে চাই যে, কাথলিক মণ্ডলি যেখানে বিদ্যমান, সেখানে মা মারীয়া বিদ্যমান এবং মা মারীয়া যেখানে বিদ্যমান, কাথলিক মণ্ডলিও সেখানে বিদ্যমান। মা মারীয়া ছাড়া কাথলিক মণ্ডলির পূর্ণতা নেই। জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতে, নিরাশায়-হতাশায়, শোকে দুঃখে মা মারীয়ার স্নেহধারা, প্রসাদ-কৃপা-আর্শীবাদ সবার উপর নেমে আসুক।’ খ্রিস্টযাগের শেষ প্রার্থনার পর পর্বীয় বিস্কুট আশীর্বাদ করা হয় ও তা ভক্তজনগণের মধ্যে বিতরণ করা হয়। খ্রিস্টযাগের শেষে পাল-পুরোহিত ফাদার সুশান্ত ডি কস্তা, পবিত্র খ্রিস্টযাগে উপস্থিত সকলকে এবং পর্বদিনকে সুন্দর ও সার্থকভাবে উদ্যাপন করার জন্য যারা সহযোগিতা দান করেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার