গত ২০ আগষ্ট ২০২১ খ্রিস্টাব্দ, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের অন্তর্গত কাটাডাঙ্গা ধর্মপল্লীতে রোজারি মিনিস্ট্রি টিম, রাজশাহী কর্তৃক আয়োজিত পরিবারে রোজারিমালা প্রার্থনা বিষয়ক একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। উক্ত সেমিনারের মূলভাব ছিল “মা মারীয়ার প্রতি আমাদের ভক্তি ও প্রতিদিন পরিবারে রোজারি মালা প্রার্থনা”। এই সেমিনারে রোজারি মিনিস্ট্রি টিম, রাজশাহী এর সদস্য শ্রদ্ধেয় ফাদার সুজন কর্ণেলিউস গমেজ, সিস্টার রুমা রোজারিও এবং ধর্মপল্লীর ফাদার-সিস্টার সহ ২০০ জন খ্রিস্টভক্ত অংশগ্রহণ করেন। সকাল ১০ টায় প্রার্থনার মধ্য দিয়ে সেমিনার শুরু করা হয় ।
সেমিনারের শুরুতেই শ্রদ্ধেয় পাল-পুরোহিত ফাদার রকি কস্তা, ওএমআই সকলকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। সেমিনারে মূল বিষয়ের উপর সহভাগিতা করেন শ্রদ্ধেয় ফাদার সুজন কর্ণেলিউস গমেজ। তিনি বলেন, ‘রোজারিমালা প্রার্থনা আমাদের খ্রিস্টীয় পরিবারে খুবই প্রচলিত একটি ভক্তিমূলক প্রার্থনা। যার মধ্য দিয়ে আমরা কুমারী মারিয়ার কাছে সকল চাওয়া-পাওয়া নিবেদন করতে পারি। মা মারিয়া আমাদের সবার প্রার্থনাই শোনেন ও পূরণ করেন। তিনি আমাদের বিপদের সহায়তাকারিনী, দুঃখ-কষ্টে সান্ত্বনাদায়িনী। বর্তমান বিশ্বের এই কঠিন বাস্তবতায় কুমারী মারিয়ার কাছে যেন আমরা আরও বেশি করে রোজারিমালা প্রার্থনা করি এবং শান্তি ও একতার পরিবার গড়ে তুলি।’
মা মারীয়ার জীবনাদর্শ, গুণাবলী এবং সাক্ষ্যদান বিষয়ে সহভাগিতা করেন সিষ্টার রুমা রোজারিও। তিনি বলেন ‘কুমারী মারিয়া হলেন আমাদের সবার মা। তিনি প্রতিনিয়ত আমাদের সকল নিবেদন পূর্ণ করে সমস্ত বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করেন। তাই, আমরা যেন মায়ের কাছে আরও বিশ্বাস নিয়ে প্রার্থনা করি যেন আমরা মায়ের মধ্যস্থতায় ঈশ্বরের কৃপা ও আশির্বাদ লাভ করতে পারি। প্রতিটি পরিবার যেন শান্তি একতা, মিলন ও ভালবাসার বন্ধনে জীবনযাপন করতে পারেন এবং কুমারী মারিয়ার আদর্শ অনুসরণ করে একটি পবিত্র পরিবার গঠন করতে অনুপ্রেরণা লাভ করেন।
রোজারি মিনিস্ট্রি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী মায়েদের মধ্য থেকে একজন মা বলেন, ‘আমার জীবনে কুমারী মারিয়ার মধ্যস্থায় প্রার্থনার ফল পেয়েছি। জীবনের অনেক সংকটময় সময়ে আমি যখন কুমারী মায়িার কাছে সাহায্য চেয়েছি তিনি আমাকে সাহায্য করেছেন। তাই, আমি প্রতিদিন জপমালা প্রার্থনার মধ্য দিয়ে কুমারী মারিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা-ভক্তি নিবেদন করি।’
এছাড়াও অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে প্রশ্ন ভিত্তিক দলীয় আলোচনা এবং মুক্তালোচনা করা হয়। পরে পবিত্র খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন শ্রদ্ধেয় ফাদার সুজন গমেজ। অত:পর পাল-পুরোহিতের সমাপনী বক্তব্য ও দুপুরের আহার গ্রহণের মধ্য দিয়ে সেমিনারটি সমাপ্ত করা হয়।