“মঙ্গলবাণীর নবপ্রচার: আমাদের করণীয়” শীর্ষক মূরসুরের উপর ভিত্তি করে গত ১২-১৪ সেপ্টেম্বর রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের পালকীয় সেবাকেন্দ্রে অনুষ্টিত হলো ধর্মপ্রদেশের ১৬তম পালকীয় কর্মশালা ২০১৮ খ্রী.। উক্ত পালকীয় কর্মশালায় ধর্মপ্রদেশের ২৪টি ধর্মপল্লীর (উপ-ধর্মপল্লীসহ), কর্মশালায় ধর্মপ্রদেশের বিশপ জের্ভাস রোজারিও, মন্সিনিয়র মার্শেলিউস তপ্ন, ভিকার জেনারেল ফাদার পল গমেজ, চ্যান্সেলর ফাদার উইলিয়াম মুরমু, যাজকগণ, সিস্টারগণ ও বিভিন্ন ধর্মপল্লীর প্রতিনিধিসহ সর্বমোট ২১১ জন অংশ গ্রহণ করেন। পবিত্র সাক্রামেন্তের আরাধনার মধ্য দিয়ে কর্মশালা শুরু হয়। সন্ধ্যায় বিশপ জের্ভাস রোজারিও ধর্মপ্রদেশের ২৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে কেক কর্তন করেন।
রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের চ্যান্সেলর, ফাদার উইলিয়াম মুর্মু, উপস্থিত সকলকে স্বাগতম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, গত ২০১৭ খ্রীষ্টাব্দের কর্মশালায় নির্ধারিত ১০টি অগ্রাধিকারের মধ্যে ‘বাণী প্রচার’ ছিল একটি বিশেষ অগ্রাধিকার। এ বাণী প্রচারকে ঘিরে চলতি বছরের কর্মশালার মূলসুর মঙ্গলবাণীর নবপ্রচার: আমাদের করণীয়। তিনি বলেন আমাদের আলোকিত করবে মূলতঃ এমন প্রতিবেদনই চলতি কর্মশালায় উপস্থাপন করা হবে। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার উদাহরণ দিয়ে বলেন সেদেশে প্রথমে বাণী প্রচার করেছেন সাধারণ খ্রিস্টভক্তগণ। সুতরাং বর্তমানে আমাদের ধর্মপ্রদেশেও খ্রিষ্টভক্তগণ বাণীপ্রচারে অনুরূপভাবে সাক্ষ্যবহণ করতে পারেন। এতে অবশ্যই আমরা সফলতা পাবো।
বিশপ জের্ভাস রোজারিও তাঁর উদ্বোধনী বক্তব্যে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, মঙ্গলবাণীর নবপ্রচার হল মঙ্গলসমাচারের শিক্ষা সম্বন্ধে নতুন উপলব্ধি ও চেতনা। আমাদের ভালবাসাপূর্ণ সেবাকাজ অখ্রিস্টানদের কাছে খ্রিস্টের শিক্ষাগুলোকে স্পষ্ট ও বোধগম্য করে তুলে। ফলে তারা খ্রিস্টীয় মূল্যবোধ ও নৈতিক জীবনে আকৃষ্ট হয়ে কেউ কেউ খ্রিস্টধর্মে দীক্ষাও নিতে আগ্রহী হবে। তবে যারা ইতোমধ্যে দীক্ষাপ্রাপ্ত এবং এমনকি আমাদের সন্তান ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কাছেও নতুন করে মঙ্গলবাণী প্রচারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। মঙ্গলবাণীর আদর্শে ভালবাসার আদান-প্রদান সমাজের সদস্যদের পরস্পর-পরস্পরের কাছে আনবে; আর এর ফলে স্থানীয় মণ্ডলীতে স্থাপিত হবে প্রেমের মিলন সমাজ।
শুধু মানব সমাজের মধ্যেই নয়, বাণী প্রচারের কাজ করতে হবে সমগ্র বিশ্বসৃষ্টির কাছে। মহামান্য পোপ ফ্রান্সিস তাঁর “হে প্রভু তোমার প্রশংসা হোক” নামক দলিলে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বিশ্বসৃষ্টিকে ভালবাসতে ও যত্ন নিতে বলেছেন।
বর্তমান বাস্তবতায় আমাদের পরিবারগুলোতে দেখা যায় গীর্জা-প্রার্থনায় অনীহা, পরিবারে পিতা-মাতাদের আদর্শের অভাব, পারিবারিক অমিল ও অশান্তি, মাদকাসক্তি ও টেলিভিশন সিরিয়ালে আসক্তি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতি যুবক-যুবতীদের অতিমাত্রায় আসক্তি, সন্তানদের পড়াশুনা ও সঠিক নৈতিক গঠনে অবহেলা, আলস্য ও অমিতব্যয়ী আচরণ, সঞ্চয়ের মনোভাবের অভাব, বিভিন্ন কিছুতে অশুভ প্রতিযোগিতা ও সামাজিক কলহ ইত্যাদি বিষয়গুলি আমাদের সমাজ ও মণ্ডলীর সার্বিক অগ্রযাত্রাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে। এসকল ক্ষেত্রে মঙ্গলবাণীর নবপ্রচার একান্তই আবশ্যক। আমাদের এ পালকীয় কর্মশালায় সম্মিলিত আলোচনার ফলে আমরা অনুধাবন করতে পারব যে আমাদের সমাজ ও মণ্ডলীর সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
ফাদার পল গমেজ ‘মঙ্গলবাণীর আলোকে যীশুর প্রেরণকাজ ও প্রেরণবাণী’-এর আলোকে নিম্নোক্ত দিকগুলির প্রতি বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন। যেমন-
* আব্রাহামের প্রতি ঐশ আহ্বান ও প্রতিশ্রুতি পূরণ,
* মোশীর আহ্বান ও দায়িত্ব অর্পণ,
* প্রবক্তাদের প্রচার কাজে আহ্বান,
* বাণীর দেহধারণ- ঈশ্বর পুত্র যীশুই মুক্তিদাতা
* বারজন প্রেরিতদূতকে মনোনয়ন ও প্রেরণ
* বাহাত্তরজনকে বাণীপ্রচারের কাজে প্রেরণ
* প্রেরিতশিষ্যদের বাণী প্রচার
* আদি মণ্ডলীর সঙ্গবদ্ধ জীবন
* পৌল -এর মনপরিবর্তন ও খ্রীষ্টবাণী প্রচার
* মঙ্গলবাণী ঘোষণায় দ্বিতীয় ভাটিকান মহাসভার শিক্ষা
* বাণীপ্রচার ও প্রেরণকার্য বিষয়ক পোপদের প্রৈরিতিক সার্বজনীন পত্র: শিক্ষা ও দিকনিদের্শনা এবং
* রাজশাহী ধর্মপ্রদেশে মঙ্গলবাণী প্রচার ও প্রেরণ কাজের ইতিকথা।
এছাড়া প্রেরণ কাজে চ্যালেঞ্জসমূহ নিয়ে তিনি নিম্নোক্ত বিষয়গুলি তুলে ধরেন- তৎকালীন সময়ে যীশু নিজেও তাঁর প্রচারকাজে, ঐশ্বরাজ্য ঘোষনায়, বাণীপ্রচারে ও পিতার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করেছেন। একইভাবে বর্তমান বাস্তবতায় প্রেরণকাজ ও মঙ্গলবাণী ঘোষণা অতি সহজ কাজ নয়। লক্ষ্যণীয় যে, বাণীপ্রচারকদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে ও বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জও মোকাবেলা করতে হচ্ছে। তবে প্রেরণকাজে সফলতা না আসার কারণ নানাবিধ হতে পারে। আমার দৃষ্টিতে এ বিষয়গুলো প্রতিবন্ধকতা হিসাবে চিহ্নিত করছি – যেমন ভোগবাদ, বস্তুবাদ, আত্মকেন্দ্রিকতা, আকাশ সংস্কৃতির কুপ্রভাব, গনমাধ্যম ও তথ্য প্রযুক্তির নেতিবাচক প্রভাব, পারস্পরিক সম্পর্কের শিথীলতা, পালকীয় কাজে দায়িত্ব পালনে অনিহা, ভক্তজনগণের পালকীয় সেবাদানে সময়ের চেয়ে নিয়মের গুরুত্ব বেশী, সামাজিক অবকাঠামোর সংস্কার-চেতনার অভাব, নিজস্ব ভাষা, ঐতিহ্য, কৃষ্টি-সংস্কৃতির চর্চা ও রক্ষণাবেক্ষণের অনিহা, রক্ষণশীল মনোভাব, ভক্তজনগণের পরস্পরের সাথে ও মণ্ডলীর কর্তৃপক্ষের সাথে সম্পর্কের দূরত্ব, সঠিক জ্ঞানের অভাব, পদ্ধতিগতভাবে সৃজনশীলতার অভাব, জাতি ও শ্রেণীভেদ, জঙ্গীবাদ, জীবনে ঝুঁকি না নেওয়া, জীবনের আতংক ও দুঃশ্চিন্তা, স্বধীনভাবে খ্রীষ্টবিশ্বাস অনুশীলনে বাঁধা, বিশ্বাসের কারণে নির্যাতন ইত্যাদি। এরপর উপস্থাপিত বিষয়ের উপর মুক্তালোচনার মাধ্যমে শেসনটি শেষ করা হয়।
ফাদার এস ডানিয়েল রোজারিও, পরিচালক, রেডিও জ্যোতি বগুড়া, তাঁর উপস্থাপনায় ‘রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বাস্তবতায় মঙ্গলবাণীর নবপ্রচার, বাস্তব অভিজ্ঞতা, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভবনা- বিষয়টি আলোকপাত করেন। উক্ত উপস্থাপনায় বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে বিশ^াস, পারিপার্শি^কতা, খ্রিস্টিয় নেতৃত্ব ও পালকীয় অভিজ্ঞতার আলোকে বিভিন্ন দিক বিস্তারিতভাবে তিনি তুলে ধরেন। অপরদিকে চ্যালেঞ্জের আলোকে আন্তর্জাতিক, জাতীয় ও সমাজ পর্যায়ের বাস্তব চ্যালেঞ্জসমূহ তুলে তুলে ধরার পাশাপাশি সম্ভাবনা ও সুপারিশসমূহ তিনি সহভাগিতা করেন। এরপর বিষয়টি মুক্তালোচনার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীগণ তাদের মতামত আদান-প্রদানের মাধ্যমে বিষয়টির সম্যক ধারণা লাভ করেন।
সি. ল্যাটেশিয়া কস্তা, সিআইসি ‘রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বাস্তবতায় মঙ্গলবাণীর নবপ্রচার, বাস্তব অভিজ্ঞতা, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভবনা
উপস্থাপনায় তিনি তাঁর জীবনাভিজ্ঞতার আলোকে মঙ্গলবাণী নবপ্রচারে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। এক্ষেত্রে মূলতঃ তিনি পালকীয় কাজে অষ্টকল্যাণ বাণীকে কেন্দ্র করে তাঁর প্রৈরিত্যিক কাজের অভিজ্ঞতাসমূহকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেন। এছাড়া পরিবারে পালকীয় সেবা, অবৈধ বিবাহ, অবৈধ সম্পর্ক, মহিলাদের স্বাস্থ্য ও আধ্যাত্মিক পরামর্শদান, মফঃস্বলে ধর্ম শিক্ষাদান, অখ্রীষ্টানদের মাঝে বাণীপ্রচার। এরপর বিষয়টি মুক্তালোচনার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীগণ তাদের মতামত তুলে ধরেন।
এছাড়া সামগ্রিক কর্মশালায় ছিল ভিকারিয়াভিত্তিক সাংস্কৃতিক উপস্থাপনায় মূলসুরের উপর ভিত্তি করে ভিডিও ক্লিপস্ এর মাধ্যমে উপস্থাপনা। প্রদর্শন করা হয় ধর্মপল্লীভিত্তিক দেয়ালিকা। ছিল উন্মুক্ত আলোচনা, ভিকারিয়া ও ধর্মপল্লীভিত্তিক দলীয় আলোচনা ও পর্যালোচনা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড। সব শেষে ভিকারিয়াভিত্তিক সাংস্কৃতিক উপস্থাপনা উপস্থাপনার উপর বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান এবং সকলের অংশগ্রহণে প্রণয়ন করা হয় ‘প্রেরণ বিবৃতি’। যা নিম্নরূপ-
প্রেরণ বিবৃতি
বিগত বছরের পালকীয় কর্মশালার মূলসুরের উপর ভিত্তি করে গৃহিত অগ্রাধিকারসমূহের মধ্য হতে এই বছরের পালকীয় কর্মশালার মূলসুর নেয়া হয়: “মঙ্গলবাণীর নবপ্রচার: আমাদের করণীয়”। ১২-১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ খ্রীষ্টাব্দে খ্রীষ্টজ্যোতি পালকীয় সেবাকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় ধর্মপ্রদেশের বিশপ, ৪৯জন যাজক, ৩২জন সিস্টার এবং ১৪১জন খ্রীষ্টভক্তসহ মোট ২২৩জন সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। “মঙ্গলবাণীর আলোকে যীশুর প্রেরণকাজ ও প্রেরণবাণী” এই বিষয়ে ১টি উপস্থাপনা এবং রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বাস্তবতায় মঙ্গলবাণীর নবপ্রচার, বর্তমান বাস্তবতা, চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা-এর উপর ৩জনের সহভাগিতা ছিল উক্ত কর্মশালার প্রতিপাদ্য বিষয়।
উপস্থাপিত বিষয়সমূহ, দলীয় ও মুক্ত আলোচনা কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী সকলকে মঙ্গলবাণীর নবপ্রচারের গুরুত্ব অনুধাবনে এবং আমাদের করণীয় ও পালকীয় কাজের ক্ষেত্র ও কৌশলসমূহ নির্ধারণে সহায়তা করেছে। আলোচিত বিষয়সমূহ নিয়ে ধ্যান-প্রার্থনা ও পর্যালোচনা ক’রে আগামী বছরের জন্য আমাদের দর্শন (Vision), অগ্রাধিকারসমূহ (Priorities) ও প্রেরণ (Mission) নির্ধারণ করা হয় যা নিম্নরুপ-
দর্শন (Vision): মঙ্গলবাণীর নবপ্রচারে সম্মিলিত জীবনসাক্ষ্য ও সক্রিয় প্রেরণধর্মী মণ্ডলী।
অগ্রাধিকারসমূহ (Priorities)
১. নতুন নতুন ক্ষেত্র ও কৌশল নির্ধারণ ক’রে ঐশবাণী প্রচার ও মিলন সমাজ গঠন।
২. ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে নিয়মিত প্রার্থনা, সহভাগিতা, খ্রিস্টযাগে অংশগ্রহণ ও ঐশবাণী ধ্যান-অনুশীলন।
৩. সংখ্যাবৃদ্ধিসহ কাটেখিস্ট ও বাণী প্রচারকদের চলমান গঠনদান; বাণী প্রচারের জন্য সৃজনশীল ও যুগোপযোগী উপকরণ তৈরী, সহজলভ্যকরণ এবং ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক মাধ্যমসমূহ ব্যবহার।
৪. খ্রিস্টিয় নেতৃত্বের গঠন ও বিকাশ এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে খ্রিস্টিয় মূল্যবোধের আলোকে ক্রেডিট ইউনিয়ন আন্দোলন জোরদারকরণ।
৫. সৃষ্টির যত্ন ও পরিবেশ সুরক্ষায় পরিবার, প্রতিষ্ঠান, ধর্মপল্লী ও ধর্মপ্রদেশ পর্যায়ে ফলপ্রসূ কার্যক্রম গ্রহণ।
৬. মাদকাসক্তদের পুনর্বাসন ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠন।
প্রেরণ (Mission)
১. বিশ্বসের পরিপক্বতার জন্য ধারাবাহিক এবং পর্যায়ক্রমিকভাবে কাথলিক মণ্ডলীর ধর্মশিক্ষার মৌলিক তত্ত্বসমূহ এবং বাইবেলভিত্তিক শিক্ষা প্রদান করা।
২. কাটেখিস্ট ও ধর্মশিক্ষকদের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং তাদের দক্ষতাবৃদ্ধির জন্য যথাযথ গঠনদান এবং পেশাদারিত্ব আনয়ন করা।
৩. ধর্মপল্লী পর্যায়ে বিভিন্ন দল ও অঙ্গসংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দকে দক্ষতাবৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং মঙ্গলবাণী প্রচারে সক্রিয় রাখা।
৪. ধর্মপল্লীতে ক্ষুদ্র খ্রিস্টিয় সমাজ গঠন ও সক্রিয়করণ এবং ধর্মপল্লীর পালকীয় কাজে খ্রিস্টভক্তদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা।
৫. বাণী প্রচারের সম্ভাব্য এলাকা চিহ্নিতকরণের লক্ষ্যে ধর্মপল্লী এবং ধর্মপ্রদেশ পর্যায় থেকে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করা।
৬. বাণী প্রচারের সম্ভাব্য এলাকার ধরন অনুযায়ী কার্যকর কৌশল অবলম্বন করে বাণী প্রচার করা।
৭. নিজস্ব কৃষ্টি-সংস্কৃতির গুরুত্ব উপলব্ধি এবং বাণী প্রচারে তা প্রয়োগ করা।
৮. রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ধর্মপল্লীর ক্রেডিট ইউনিয়নগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন ও খ্রিস্টিয় মূল্যবোধসম্পন্ন নেতৃত্ব গঠন করা।
৯. প্রকৃতি ও পরিবেশ সুরক্ষায় পরিবার, ধর্মপল্লী, প্রতিষ্ঠান ও ধর্মপ্রদেশ পর্যায়ে ফলপ্রসূ কার্যক্রম গ্রহণ করা।
১০. ধর্মপল্লীর বাস্তবতার নিরিখে ঐশবাণী প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে জনগণের বোধগম্য উপকরণ তৈরী ও সহজলভ্য করা।
১১. খ্রিস্টিয় বিবাহের একতা ও অবিচ্ছেদতার গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষাদান ও খ্রিস্ট প্রসাদীয় আধ্যাত্মিকতায় পারিবারিক শিক্ষা জোরদার করা।
১২. পরিবার পর্যায়ে পালকীয় সেবা বৃদ্ধি করা।
১৩. ধর্মপল্লী পর্যায়ে কিশোর-কিশোরীদের জন্য মানবীয় যৌনতা সম্পর্কে ধারণা প্রদান ও গঠনদান করা।
১৪. ঐশবাণী প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ ও আন্তঃমাণ্ডলিক ঐক্য বিষয়ক কার্যক্রম জোরদার করা।
১৫. মণ্ডলীর সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বৃদ্ধি, সম্প্রসারণ ও মানোন্নয়ন করা।
১৬. আদিবাসী, বিশেষায়িত জনগোষ্ঠী ও অভিবাসীদের জন্য পালকীয় কার্যক্রম বৃদ্ধি করা।
১৭. মাদকদ্রব্য ও চেতনানাশক সেবন প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা।
১৮. ধর্মীয় জীবন আহবান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ফলপ্রসূ কার্যক্রম গ্রহণ করা।
১৯. জীবনমূখী, মানসম্মত এবং দক্ষতাবৃদ্ধিমূলক শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা।
রাজশাহী ধর্মপ্রদেশে “মঙ্গলবাণীর নবপ্রচার: আমাদের করণীয়” এই মূলসুরের আলোকে ১৬তম পালকীয় কর্মশালা সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেছে এবং কর্মশালায় গৃহিত কর্র্মপরিকল্পনা সৃজনশীল পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করতে সকলকে অনুপ্রাণিত করবে। মুক্তিদাতা প্রভু যীশু এই কাজে আমাদের শক্তি ও অনুগ্রহ দান করুন। প্রেরিতগণের রাণী মা মারীয়া সর্বদাই আমাদের সহায় থাকুন।
সংবাদদাতা: প্রতিবেদন কমিটি