কারিতাস বাংলাদেশ: ভালবাসা ও সেবায় ৫০ বছরের পথ চলা ‘Caritas Bangladesh: 50 Years Journey with Love and Service’ এ মূলসুরকে সামনে রেখে আগামী নভেম্বর ২০২১ খ্রিস্টাব্দ হতে শুরু করে অক্টোবর ২০২২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বর্ষব্যাপী জুবিলী উদযাপন শুরু করার লক্ষ্যে কারিতাস রাজশাহী অঞ্চলের “আঞ্চলিক জুবিলী বাস্তবায়ন ও সমন্বয় কমিটির” সভা অদ্য অক্টোবর ১৯, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ তারিখ কারিতাস রাজশাহী অঞ্চলের এফ চেস্কাতো সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন মি. সুক্লেশ জর্জ কস্তা, আঞ্চলিক পরিচালক, কারিতাস রাজশাহী অঞ্চল এবং সভায় উপস্থিত ছিলেন কমিটির আহবায়ক, সেক্রেটারি এবং সদস্যসহ বিভিন্ন পর্যায়ের রিসোর্স পারসনগণ। উক্ত পরিকল্পনা সভায় কারিতাস বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তির আঞ্চলিক ও কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা সহভাগিতা করা হয়। নিম্নে জুবিলী উদযাপনের উদ্দেশ্যসমূহ তুলে ধরা হলো-

১. বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকল্পে বিগত ৫০ বছর কারিতাস এদেশে ভালবাসা ও সেবাকাজের পথ চলার সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা সহভাগিতা করা;
২. জাতি গঠনে কারিতাস বাংলাদেশের ভালবাসা ও সেবা কাজের সাক্ষ্য বহন করা;
৩. ৫০ বছরের ভালবাসা ও সেবাকাজের পথ চলায় যাঁরা কারিতাস বাংলাদেশে অবদান রেখেছেন তাঁদের স্বীকৃতি প্রদান করা;
৪. দরিদ্রদের প্রতি সৃষ্টিকর্তার ভালবাসা প্রকাশ করা এবং দরিদ্রদের মধ্যে প্রেমময় সৃষ্টিকর্তার উপস্থিতি উপলব্ধি করানো;
৫. ভালবাসাপূর্ণ সেবা কাজ করতে মানুষকে অনুপ্রাণিত করা, প্রতিবেশীদের প্রতি ভালবাসাপূর্ণ সেবা প্রদান, ন্যায্যতা ও শান্তি স্থাপন কাজের সম্প্রসারণ; সর্বোপরি সকল মানুষের মধ্যে সংহতি ও সম্প্রীতি স্থাপন;
৬. কারিতাস বাংলাদেশের দর্শনের প্রতিফলন ঘটানো;
৭. কারিতাস বাংলাদেশে তার লক্ষ্য কতটা অর্জন করতে পেরেছে তা মূল্যায়ন করা;
৮. সকল উন্নয়ন সহযোগী এবং অংশীদার যাঁরা বিগত ৫০ বছর এক সাথে ভালবাসাপূর্ণ সেবা-কাজ বিস্তারে ও সেবা গ্রহণে সহায়তা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা;
৯. সকল ব্যর্থতার জন্য মানুষ, প্রকৃতি ও সৃষ্টিকর্তার প্রতি ক্ষমা চাওয়া এবং সকল সফলতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা;
১০. অভাবী ভাই-বোনদের জন্য ভালবাসাপূর্ণ সেবা-কাজ সম্প্রসারণ করার জন্য নতুন চিন্তা-চেতনা ও ধারণা সংগ্রহ করা।

সভায় জুবিলী বর্ষে প্রস্তাবিত বিশেষ কার্যক্রমের তথ্যও উপস্থাপন করা হয়। এগুলো হলো যথাক্রমে-
১. বিধবা/স্বামী পরিত্যাক্ত/এতিম পরিবারকে আবাসন/ঘর প্রদান করা।
২. জন প্রতিবন্ধী ভাই-বোনদেরকে পুনর্বাসন করার লক্ষ্যে সহায়তা প্রদান করা।
৩. জন মেধাবী, দরিদ্র শিক্ষার্থীকে ১ বছর সময়কাল শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা।
৪. এতিম/প্রতিবন্ধী/বিধবাদের মাঝে গরু/ছাগল প্রদান করা।
৫. মডেল/ইকোভিলেজ গ্রাম গড়ে তোলা।
৬. পুকুর খনন/পুনঃখনন।
৭. ডিসপেনসারি মেরামত এবং উপকরণ প্রদান ইত্যাদি।

উল্লেখ্য সভায় উপস্থিত সকলেই জুবিলী উদ্যাপনে তাঁদের মূল্যবান মতামত ব্যক্ত করেন এবং সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাসও প্রদান করেন। সব শেষে ফাদার উইলিয়াম মুরমু’র সমাপনী প্রার্থনার মাধ্যমে সভার সমাপ্তি হয়।

বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার অসীম ক্রুশ

Please follow and like us: