গত ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনের দিন, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের প্রাণকেন্দ্র, রাজশাহী বিশপ ভবনে অনুষ্ঠিত হয় বড়দিনের কেক কাটা ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ জের্ভাস রোজারিও। বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, রাজশাহী শহরের মাননীয় জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল এবংফাদার, সিস্টার ও খ্রিস্টভক্তসহ বিভিন্ন মিডিয়া কর্মীবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শুরুতে ফুলের তোড়া ও গানের মাধ্যমে অতিথীদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়। পরে বড়দিন উপলক্ষে কেক কাটা হয় এবং উপস্থিত সকলের মধ্যে তা বিতরণ করা হয়।
মেয়র মহোদয় বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সমাজকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আজ ২৫ ডিসেম্বর সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশের খ্রিস্টানগণও তাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদযাপন করছেন। বিশ্বের অন্যান্য জাযগায় এক মাস আগে থেকে ২৫ ডিসেম্বর পালনের প্রস্তুতি শুরু হয়। বড়দিন উপলক্ষে আমি সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশকে স্বাধৗন সার্বভৌম্য রাষ্ট্র হিসেবে পাওয়ার জন্য হিন্দু, মুসলিমদের মত খ্রিস্টানগণ দেশ মুক্তির জন্য যুদ্ধ এবং আত্মদান করেছেন। তাই সকল ধর্মাবলম্বী ভাই-বোনদেরকে আহ্বান জানাই যেন সকলে সম্মিলিতভাবে বালাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।
মাননীয় জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, ”আমাদের জাতির জনক বঙ্গবুন্ধ শেখ মুজিবর রহমান মুক্তিযুদ্ধ করে যে দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিল তা হলো অসম্প্রায়িক বাংলাদেশ। মানে হচ্ছে এই দেশে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টান সবাই মিলে এক সঙ্গে বসবাস করবে। কারো প্রতি কোনরূপ বৈষম্য থাকবে না। বাংলাদেশ হচ্ছে একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ সে ক্ষেত্রে সবাই আমরা সুন্দরভাবে সহ অবস্থান করছি।”
রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ জের্ভাস রোজারিও উপস্থিত সকলকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশ প্রতিষ্ঠা লাভের ৩০ বছর পর এই প্রথমবারের মত বড়দিনে মেয়র মহোদয় ও ডিসি মহোদয়কে এক সঙ্গে পেয়েছেন বলে ওনাদেরকে ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশে আমরা সম্প্রীতির মধ্যে বসবাস করছি। জাতি ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য আমরা শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আমরা কাজ করি শুধুমাত্র খ্রিস্টানদের জন্য নয় বরং সকলের জন্য। পরিশেষে সকলকে কৃতজ্ঞতা ও বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার