ফাদার সুনীল রোজারিও। বরেন্দ্রদূত প্রতিবেদক
ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস প্রতি বছর ১ জানুয়ারি বিশ্ব শান্তি দিবস উপলক্ষে বিশেষ বাণী দিয়ে থাকেন। পোপ, ২০২২ খ্রিস্টাব্দে ৫৫তম বিশ্ব শান্তি দিবসের বাণী শুরু করেন প্রবক্তা ইসাইয়ার প্রন্থ থেকে উদৃতি দিয়ে-
১. “কত না সুন্দর পর্বতের উপরে তারই চরণ- যে শুভসংবাদ, শান্তি প্রচার করেন” ( ইসাইয়া ৫২:৭)। তিনি বলেন, “প্রজন্মপরিক্রমায় শিক্ষা, কর্ম ও সংলাপ হলো স্থায়ী শান্তি স্থাপনের হাতিয়ারসমূহ”। প্রাচীনকালে ইহুদিজাতি কেন বন্দিদশায় ছিলেন- কারণ তারা ঈশ্বরের পথে চলেননি (বারুক ৩:১০-১১)। সুতরাং তাদের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সূচনা হলো শান্তি প্রচারক অর্থাৎ তা হবে ক্ষয়ে যাওয়া ইতিহাস থেকে পুর্ণজন্মলাভের অঙ্গীকার। পোপ সাধু ৬ষ্ঠ পলের ভাষায় শান্তির সড়ক হলো সমন্বিত উন্নয়ন- যা নারী-পুরুষ ও মানব পরিবার থেকে এখন দুঃখজনকভাবেই দূরে অবস্থান করছে।
জাতির মধ্যে সংগঠিতভাবে সংলাপের নানা উদ্যোগের পরেও যুদ্ধের মনোভাব ও সংঘর্ষ তীব্রতর হচ্ছে। মহামারির মতো সংক্রমণ যখন বাড়ছে তখন আবহাওয়া বিপর্যয় ও পরিবেশ বিনাশ আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। সেই সাথে ক্ষুধা-তৃষ্ণার সংকট বাড়ছে এবং অর্থনৈতিক আদল সবার জন্য না হয়ে ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে উঠছে। ফলে গরিবের ক্রন্দন এবং ধরিত্রীর ক্রন্দন, ন্যায় ও শান্তি স্থাপনকে কঠিন করে তুলছে। সব সময়ের জন্যই শান্তি হলো উপহার- যা, উপর থেকে আসে এবং তা একটা সমন্বিত প্রচেষ্টা। শান্তির নক্সা হলো একটা শিল্প- যেখানে সবার অংশগ্রহণ থাকে এবং সবাই নির্ভরশীল থাকে। একটা শান্তিময় বিশ্ব গড়ার উদ্যোগটা শুরু হয় ব্যক্তির আত্মা থেকে, পরিবার থেকে, সমাজ থেকে, যা মানুষ এবং জাতির মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তোলে। এই প্রসঙ্গে পোপ ফ্রান্সিস স্থায়ী শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে তিনটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেন। প্রথম- শান্তি স্থাপনে প্রজন্মপরিক্রমায় সংলাপ, দ্বিতীয়- শিক্ষা হলো মুক্তি, দায়িত্বশীলতা এবং উন্নয়নের উপাদান এবং তৃতীয়- কর্ম/শ্রম হলো মানব মর্যাদার পূর্ণ বাস্তবায়ন।
১. শান্তি স্থাপনে প্রজন্মপরিক্রমায় সংলাপ : অবর্ণনীয় মহামারির কারণে- অনেকে সুযোগ নিয়ে বাস্তবতা থেকে সরে যাচ্ছে, আশ্রয় নিচ্ছে তাদের সংকীর্ণ আবাসে, অনেকে আবার ধ্বংসাত্মক সন্ত্রাসী উপায়ে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। এইসব স্বার্থপরতা ও সন্ত্রাসী প্রতিক্রিয়ার উর্ধ্বে একটা সম্ভাবনা হলো সংলাপ- প্রজন্মপরিক্রমায় সংলাপ। সত্যিকার সংলাপ হলো সুষ্ঠ এবং ইতিবাচকভাবে মতবিনিময় ও অংশগ্রহণকারিদের মধ্যে মৌলিক বিশ্বস্ততার আবেদন। আমাকে শিখতে হবে কীভাবে পারস্পরিক বিশ্বাস অর্জন করা যায়। বর্তমান স্বাস্থ্য সংকটের কারণ হলো আমাদের মধ্যেকার বিচ্ছিন্নতা ও স্বার্থপর স্বভাব। বৃদ্ধদের মধ্যে একাকীত্বতা যুবকদের মধ্যে অসায়ত্ব তৈরি করছে যা হয়ে উঠছে ভবিষ্যতের জন্য আদর্শ সহভাগিতার অভাব। এটা বেদনাদায়ক সংকট হলেও অন্যদিকে মানুষের মধ্যে আশারও সঞ্চার করতে পারে। যেমন আমরা এই মহামারির সময় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষের মধ্যে সহানুভ‚তি ও সহমর্মিতার উদাহরণও দেখছি।
সংলাপ হলো একে অন্যকে শোনা, বিভিন্ন মত বিনিময় এবং একসঙ্গে চলার অঙ্গীকার। এইরূপ সংলাপ স্থাপন করে বংশপরিক্রমায় চলে আসা শক্ত ও বিবাদের অনুর্বর মাটি ভেঙ্গে স্থায়ী শান্তির বীজ বপন করা সম্ভব। যদিও প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন বংশপরিক্রমায় বিভেদ গড়ে রেখেছে- তবুও আমাদের বর্তমান সংকট বলে দিচ্ছে আন্তঃপ্রজন্ম পরিক্রমার একটা অংশগ্রহণ জরুরি।
যুব গোষ্ঠীর মধ্যে বৃদ্ধদের নিয়ে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন এবং অন্যদিকে বৃদ্ধদেরও সমর্থন, ভালোবাসা ও সৃজনশীলতা থাকতে হবে- যুবগোষ্ঠীর জন্য। সামাজিক বিষয়গুলো এবং শান্তি অগ্রযাত্রার দাবি হলো- যারা স্মরণে রেখেছেন, বয়স্ক ব্যক্তি, যারা ইতিহাসকে এগিয়ে নেন এবং যুবগোষ্ঠী- তাদের মধ্যে সংলাপ। সংলাপে অন্যকে প্রভাবিত না করে তাদের সবাইকে একে অন্যের জন্য অবস্থান তৈরি করতে হবে। আর্ন্তজাতিক সংকট থেকে আমাদের অভিজ্ঞতা পরিস্কার যে, সুস্থ রাজনীতির পিছনে পরিচালনা শক্তি হলো সংলাপ। এভাবেই আমরা অতীতে তাকিয়ে ভবিষ্যতের জন্য বর্তমানে প্রবেশ করতে পারবো। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হলে আমাদের অতীতে ফিরে যেতে হবে যেনো ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে আশায় পরিস্ফুটিত হতে পারি। এক সঙ্গে আমরা একে অন্যের থেকে শিখতে পারি। শিকড় ছাড়া কীভাবে বৃক্ষ ফলদানের জন্য বেড়ে উঠতে পারে ?
আমাদের ভাবতে হবে- কীভাবে আমাদের সবার ধরিত্রীকে যত্ন নিতে হবে। বিশ্ব পরিবেশ প্রতিটি প্রজন্মের হাতে বন্ধক রাখতে হবে- যেনো তারা পরবর্তী প্রজন্মের হাতে আবার তুলে দিতে পারে। আমাদের উচিত যুবগোষ্ঠীকে অনুপ্রাণিত করা, যেনো তারা তত্ত্বাবধায়ক হয়ে বিশ্বকে যত্ন সহকারে রক্ষা করতে পারে। সেই সঙ্গে স্থায়ী শান্তি স্থাপনের ক্ষেত্রে শিক্ষা এবং শ্রমকে গুরুত্বের মধ্যে আনতে হবে। শিক্ষা হলো প্রজন্মপরিক্রমায় সংলাপের ব্যাকরণ এবং নারী-পুরুষের শ্রম হলো সবার মঙ্গলের জন্য সহযোগিতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়।
২. শিক্ষকতা এবং শিক্ষা হলো শান্তির বাহক : আজকের একটা বাস্তবতা হলো- শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের জন্য বিশ্বে অর্থ সাহায্য নিম্নমুখি। এই অর্থ অনুদানকে দেখা হচ্ছে নিছক ব্যয় কিন্তু বিনিয়োগ হিসেবে নয়। আসলে প্রকৃত শিক্ষা হলো সমন্বিত মানব উন্নয়নের উপকরণ- যার মধ্যদিয়ে ব্যক্তি হয়- মুক্ত, দায়িত্বশীল এবং শান্তি রক্ষাকারি। মূল কথা হলো- শিখন এবং শিক্ষা হলো- নাগরিক সমাজ একত্রে এঁটে থেকে আশা, সমৃদ্ধি এবং অগ্রযাত্রার ভিত্তিসরূপ। অন্যদিকে শীতল যুদ্ধের পর বিশ্বে সামরিক ব্যয় এখন সীমার উর্ধ্বে। অতএব নিরস্ত্রীকরণ নিশ্চয়তা দিতে পারে মানব জাতির সমন্বিত উন্নয়ন- উন্নত স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাসেবা, অবকাঠামো এবং ভূমির সঠিক ব্যবহারকে। আমি আশা করি, শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ তরান্বিত করতে পারে- সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা, সামাজিক ভেদাভেদ দূরীকরণ, এবং প্রচলিত বাধা ভেঙ্গে ফেলে সেতুবন্ধন তৈরি করতে। একটা দেশ সুগঠিত হয়- যখন সৃজনশীল ও জনপ্রিয় সংস্কৃতি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংস্কৃতি, যুব সংস্কৃতি, শিল্পকলার সংস্কৃতি, প্রযুক্তির সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক সংস্কৃতি, পারিবারিক সংস্কৃতি এবং গণমাধ্যম সংস্কৃতির মধ্যে সুষ্ঠ সংলাপ সংস্কৃতি গড়ে উঠে। এটা প্রয়োজনীয় নতুন সংস্কৃতি সমৃদ্ধশালী করা- যা বিশ্বে মাত্র শিক্ষার মাধ্যমে, ভবিষ্যত প্রজন্ম ও পরিবারের জন্য, সমাজ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয়, সরকারসহ গোটা মানব পরিবারের নারী-পুরুষকে পরিপক্ক করে তুলতে পারে। কেবলমাত্র শিক্ষার মাধ্যমে সমন্বিত আবহাওয়া-জলবায়ু, সাংস্কৃতিক ধারণায় শান্তি, উন্নত ও টেকসই ভ্রাতৃত্ববন্ধন এবং মানব জগতের সঙ্গে পরিবেশের সন্ধি রচিত হতে পারে। শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ ক’রে এবং যুব সমাজকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের আমরা সাহায্য ও নিশ্চিত করতে পারি তাদের ভবিষ্যত শ্রম বাজারে সঠিক অবস্থানকে।
৩. শান্তির শ্রম তৈরি ও নিশ্চিত করা : শান্তি স্থাপন এবং শান্তি রক্ষার ক্ষেত্রে শ্রম একটি অপরিহার্য খাত। শ্রম হলো নিজেকে প্রকাশ করার জন্য একটা উপহার এবং সেই সাথে আমাদের প্রত্যয়, আত্ম-বিনিয়োগ এবং অন্যের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধি- কারণ আমরা সব সময় কাজ করি অন্যের সঙ্গে এবং অন্যের জন্যে। সামাজিক দৃষ্টিকোন থেকে দেখলে- কর্মক্ষেত্র আমাদের শিক্ষা দেয়, সুযোগ করে দেয় বিশ্বকে আরো সুন্দর করার জন্য ।
কোভিড- ১৯, মারাক্তকভাবে বিশ্ব শ্রম বাজারে প্রভাব ফেলেছে- এবং নানা ঝুঁকি তৈরি করেছে। বহু অর্থনীতি খাত এবং উৎপাদন কর্মকান্ড বিলুপ্ত হওয়ার কারণে, খন্ডকালীন শ্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অনেকে জরুরি সেবায় নিয়োজিত ছিলো- সেটা নাগরিক বা রাজনৈতিক হতে পারে, দূর শিখন বাস্তব শিক্ষাক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে ও সেই সাথে শিক্ষা কার্যক্রম সীমিত হয়েছে এবং কর্মক্ষমদের বেকার হওয়ার কারণে যুব সমাজের শ্রম বাজারে প্রবেশ ক্ষীণ হয়েছে। বিশেষ করে, অনৈয়মিক অর্থনীতির খাত- যেখানে অভিবাসী কর্মচারীরা যুক্ত ছিলো, সেই খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের পরিবার মারাক্তক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, ফলে তারা নানা প্রকার দাসত্ব বেছে নিচ্ছে, যেখান থেকে মুক্তির কল্যাণকর কোনো ব্যবস্থা নেই। বর্তমানে বিশ্বে তিনভাগের মাত্র একভাগ উপযুক্ত শ্রমিক সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় বা নূন্যতম সুবিধা ভোগ করছে। সহিংসতা এবং সংগঠিত সন্ত্রাস অনেক দেশে বেড়ে গেছে- যার কারণে মানুষের স্বাধীনতা ও সম্মান বিঘ্নিত করছে, অর্থনীতিকে কলুষিত করছে এবং মানব কল্যাণ ও উন্নয়ন বিনাশ হচ্ছে। এগুলো থেকে মুক্তির একমাত্র পথ হলো কল্যাণমূলক শ্রম উন্নত করা।
প্রকৃতপক্ষে শ্রম হলো ভিত্তি, যে ভিত্তির উপর তৈরি হতে পারে সমাজে ন্যায্যতা এবং ভ্রাতৃত্ববোধ। সুতরাং, আমাদের উদ্দেশ্য ও এটা বাঞ্চনিয় নয় যে, প্রযুক্তির কারণে মানব শ্রমকে হতাশ করা- যা হয়ে উঠতে পারে মানবতার অনিষ্ট সাধন। শ্রম আবশ্যকীয়, শ্রম জীবনের প্রকৃত অর্থও বহন করে, এটা প্রবৃদ্ধি, মানব উন্নয়ন এবং ব্যক্তিগত পরিপূর্ণতা। আমাদের উচিত জ্ঞান এবং প্রচেষ্টা একত্র করে সমাধান নিশ্চিত করা এবং সকল কর্মক্ষম ব্যক্তিকে কাজের নিশ্চিয়তা বিধান করা, যাতে কাজের মধ্যদিয়ে নিজের জীবন, পরিবার ও সমাজকে কিছু দান করতে পারে।
সময়ের ব্যবধানে এটা এখন গোটা বিশ্বের জন্য জরুরি- একটা সুন্দর কর্ম পরিবেশ তৈরি করা, যার মাধ্যমে সাধারণের কল্যাণ নিশ্চিত হয় এবং নিশ্চিত হয় ধরিত্রী রক্ষা। সুতরাং, প্রতিষ্ঠানগুলোকে উদ্যোগ নিতে হবে তাদের পক্ষ থেকে নিশ্চিতকরণ এবং সমর্থন। আবার এটাও নিশ্বিত করতে হবে যে, মুনাফা মানেই সামাজিক দায়িত্ব পালন করা নয়।
এই আলোকে বলা যায় যে, উৎপাদন প্রতিষ্ঠান ও কারখানাগুলো যেন শ্রমিকদের মৌলিক অধিকারকে সম্মান করে, শুধু প্রতিষ্ঠানই নয়, ভোক্তা ও নাগরিক সমাজকে উৎসাহীত করতে হবে- তারা যেনো উদ্যোগী হয় এবং এসব সমর্থন করে। এই দাবিগুলো যদি সমাজে আবেদন সৃষ্টি করতে পারে তাহলে মানুষের সম্মানের জায়গা প্রসারিত হবে। তাতে করে শ্রমিকরাও শান্তি স্থাপনে অবদান রাখতে পারবে। এছাড়া, রাজনীতিকে একটা পরিচ্ছন্ন ভূমিকা রাখতে হবে যাতে করে আর্থিক স্বাধীনতা এবং সামাজিক ন্যায্যতার মধ্যে একটা ভারসাম্য রক্ষা হয়। এই সমস্ত প্রকল্প নিয়ে যারা কাজ করছেন, বিশেষ করে যারা ক্যাথলিক তাদের জন্য চার্চের সামাজিক শিক্ষার দিকনির্দেশনা রয়েছে।
¯স্নেহের ভাই ও বোনেরা, এই মহামারিকালে আপনাদের নানা প্রচেষ্টা রয়েছে, তার পরেও আমি আবারো আপনাদের ধন্যবাদ দিতে চাই- যারা ভালোবাসার জন্য কাজ করছেন, যারা শিক্ষার জন্য দায়িত্ব পালন করছেন, নিরাপত্তা ও অধিকার, চিকিৎসা সামগ্রি সরবরাহ, পীড়িত ব্যক্তি ও তাদের পরিবার পরিদর্শন, দরিদ্রদের অর্থনৈতিক সমর্থন, যারা চাকুরি হারিয়েছে, যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের এবং পরিবারের প্রতি রইলো আমার প্রার্থনা।
সরকারি কর্মকর্তাগণ এবং যারা রাজনীতি এবং সমাজের দায়িত্বে রয়েছেন, যাজকগণ, পালকীয় কর্মী এবং সমস্ত শুভ চিন্তার নারী-পুরুষদের প্রতি আমার আবেদন- চলুন আমরা সাহস ও সৃজনশীলতার সাথে আর্ন্তজাতিক সংলাপ, শিক্ষা এবং কাজের মধ্যদিয়ে একসঙ্গে চলি। প্রতিদিন অনেক নারী-পুুরুষ নীরবে ও বিনম্রতায় সংগ্রাম করছে শান্তির কারিগর হয়ে। তারা যেন সর্বদা ঈশ্বরের আর্শীবাদ ও শান্তিলাভে অনুপ্রাণিত থাকেন।