অভিন্ন বসতবাটির যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণের ওপর ২৪ মে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে প্রণীত পুণ্যপিতা ফ্রান্সিস ‘লাউদাতো সি’ বা ‘তোমারই প্রশংসা হোক’ নামক একটি সর্বজনীন পত্র লিখেছেন। আর সে পত্রের আলোকে আগামী ৭ বছরের জন্য কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্দেশ্যে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ খ্রিস্টাব্দ বাংলাদেশ ন্যায় ও শান্তি কমিশনের উদ্যোগে ঢাকার আর্চবিশপ বিজয় এন.ডি. ক্রুজ, কমিশনের সভাপতি বিশপ জের্ভাস রোজারিও, সেক্রেটারী ফাদার লিটন এইচ গমেজ, সিএসসি, বিভিন্ন সংঘের সিস্টার ও প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ সিবিসিবি সেন্টারে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ ন্যায় ও শান্তি কমিশনের সভাপতি বিশপ জের্ভাস রোজারিও বলেন, ধরিত্রীকে বাসযোগ্য করার জন্য বিশ্বমণ্ডলির সাথে একাত্ম হয়ে আমরা কি করতে পারি তা আমাদেরই নিরূপণ করা দরকার। আমরা হয়তো অনেক কিছু করতে পারবো না; তবে যা করি তা যেন দৃষ্টান্তমূলক হয়। বাৎসরিক নির্দিষ্ট কিছু পরিকল্পনাকে বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে হবে। আর্চবিশপ এন.ডি. ক্রুজ বলেন, ‘লাউদাতো সি’ যেহেতু সর্বজনীন একটি পত্র তাই ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাপা এবং অন্য মণ্ডলির সাথে সংলাপের মাধ্যমে কিভাবে কাজ করা যায় তাও ভেবে দেখা দরকার।

কারিতাস কর্মকর্তা অর্পা কুজুর অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, আদিবাসীদের জীবন যাপন সম্পূর্ণ প্রকৃতিঘেঁষা; তাই প্রকৃতি যেন ধ্বংস না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরী। প্রকৃতির প্রতি মানুষের দূষণক্রিয়া যে ক্ষতিকর তা সবাই জানে তবে তা কিভাবে ক্ষতি সাধন করছে তা বিশদভাবে ব্যাখ্যা করতে পারলে মানুষের সচেতনতার পরিধি বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের আলোচনায় ওঠে আসে যে, পরিকল্পনা প্রণয়ের জন্য বিভিন্ন কমিশনের সেক্রেটারীদের অংশগ্রহণে কমিশনের নিকট দায়িত্ব প্রদান, কার্যের পর্যবেক্ষণ, প্রকৃতি ও মানুষের জন্য ক্ষতিকর দিকগুলো চিহ্নিতকরণ, রোগীর সাথে সংলাপ, সেবার মান বৃদ্ধি, প্রার্থনা ও উপাসনার লিফলেট ও পোস্টার প্রস্তুত, ধর্মপ্রদেশ থেকে কয়েকজনকে নিয়ে ট্রেনিং এর ব্যবস্থা, ধর্মপ্রদেশে ক্ষুদ্র পরিসরে সচেতনতামূলক সভা-সেমিনারের আয়োজন, মিশনারী স্কুলগুলোর সাথে অন্যান্য স্কুলগুলো জড়িত করে পোপের পত্রের আলোকে সেমিনার ও খ্রিস্টধর্মোপদেশে  জনগণকে অবগতকরণ যেন বেগবান করা হয়।

বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার: ফাদার সাগর কোড়াইয়া

Please follow and like us: