গত ১৩ জুন ২০২২ খ্রিস্টাব্দে সাধু আন্তনীর ধর্মপল্লী মহিপাড়াতে মহাসমারোহে সাধু আন্তনীর পর্ব উদযাপন করা হয়েছে। গত এক সপ্তাহব্যাপী নভেনা প্রার্থনার মাধ্যমে পর্বের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ১২ জুন সন্ধায় সাধু আন্তনীর মুর্তি নিয়ে আলোর শোভাযাত্রা ও রোজারিমালা প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অনেক আন্তনী ভক্ত যোগদান করেন।

১৩ জুন সকাল ৯:৩০ মিনিটে পর্বীয় খ্রিস্টযাগ শুরু করা হয়। উক্ত পর্বীয় খ্রিস্টযাগে পৌরহিত্য করেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ জের্ভাস রোজারিও, ডি. ডি.। এছাড়াও পর্বীয় খ্রিস্টযাগে উপস্থিত ছিলেন ১৮ জন যাজক, ২ জন ডিকন এবং বিভিন্ন সম্প্রদায় থেকে আগত সিস্টার ও সেমিনারীয়ানগণ। প্রায় ১৮০০ আন্তনীভক্তের উপস্থিতিতে পর্বটি পালিত হয়। আন্তনী ভক্তগণ সাধু আন্তনীর প্রতি ভক্তি প্রদর্শন, উদ্দেশ্য ও মান রাখেন।

পর্বীয় খ্রিস্টযাগে বিশপ মহোদয় বলেন, আমরা অনেকে আন্তনীর তীর্থ যাত্রায় মানত করতে এসেছি ও মানত পূরণ করতে এসেছি। আমরা সাধু আন্তনীর আর্শীবাদ ও প্রার্থনা চাই। সাধু আন্তনী তিনি যখন জীবিত ছিলেন তখন আশ্চর্য কাজ করেছিলেন এবং এখনও করে যাচ্ছেন। এই ক্ষমতা তিনি কোথা থেকে পেলেন? তিনি নিজে থেকেই ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন না। তাকে আশ্চর্য কাজ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কেন? কারণ যিশু যখন দেখলেন সাধু আন্তনীর অনেক ভক্তি ও শ্রদ্ধা রয়েছে এবং পবিত্র ভাবে জীবন-যাপন করেন তখন যিশু তাকে ব্যবহার করতে আরম্ভ করেছেন। তবে তার নিজের জন্য নয় কিন্তু অন্যদের জন্য যেন অন্যরা বুঝতে পারে ঐশরিক শক্তি এখনও কার্যকর রয়েছে মানুষের মধ্যে।

মহাপর্ব ও তীর্থের খ্রিস্টযাগ শেষে ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত শ্রদ্ধেয় ফাদার সুব্রত পিউরিফিকেশন ধর্মপল্লীর পক্ষ থেকে সকলকে তীর্থ উৎসবে যোগদান করার জন্য ধ্যনবাদ জানান। তিনি পিতা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানান সাধু আন্তনীর মধ্যদিয়ে যাতে আমাদের বিশ্বাস গভীরতর হয়ে উঠে এবং ভক্তি ভালবাসা বৃদ্ধি পায়।

খ্রিস্টযাগের শেষে সারিবদ্ধভাবে আন্তনী ভক্তগণ সাধু  আন্তনীর মুর্তির প্রতি তাদের ভক্তি, শ্রদ্ধা ও মানত প্রদান করেন। একজন আন্তনীভক্ত সাক্ষ্য দেন সাধু আন্তনীর মধ্যস্থতায় প্রার্থনা করে তিনি ফল লাভ করেছেন। তাই, তিনি প্রতি বছর এখানে তীর্থ উৎসবে যোগদান করেন।

বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : ডিকন উজ্জ্বল রিবেরু এবং ডিকন যোয়াকিম হেম্ব্রম

Please follow and like us: