গত ১৪ থেকে ১৮ জুলাই সাধু যোসেফের ধর্মপল্লী রহনপুরে “অংশগ্রহণকারী মণ্ডলি গঠনে জাগি আমরা, জাগায় ওয়াইসিএস”- এই মুলসুরকে কেন্দ্র করে পালিত হলো রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় ২য়তম ওয়াইসিএস দিবস-২০২২। এতে ধর্মপল্লীর ১৩৮জন কিশোর-কিশোরী অংশগ্রহণ করে। যুবাদের প্রাণবন্ত রাখতে যুব কমিশন যেমন আয়োজন করে ধর্মপ্রদেশীয় যুব দিবস ঠিক তারই আদলে ওয়াইসিএস দিবসের আয়োজন মণ্ডলির কিশোর-কিশোরীদের প্রাণবন্ত রাখতে ৷
১৪ জুলাই উদ্বোধনী সন্ধ্যায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের যুব সমন্বয়কারী ফাদার নবীন পিউস কস্তা, আরও উপস্থিত ছিলেন এপিসকপাল যুব কমিশনের সেক্রেটারি সিস্টার রোজলীন সন্ধ্যা রোজারিও, আরএনডিএম, রহনপুর ধর্মপল্লীর পালপুরোহিত ফাদার বার্নাড রোজারিও এবং ডিকন উজ্জ্বল সামুয়েল রিবেরু।
যুব সমন্বয়কারী ফাদার নবীন ধর্মপ্রদেশের সকল কিশোর-কিশোরী ও যুবাদের নামে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় ২য়তম ওয়াইসিএস দিবসের উদ্বোধন করেন এবং ডিকন উজ্জ্বল সামুয়েল রিবেরুকে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ওয়াইসিএস চ্যাপলেইন ঘোষণা করেন। ১৫ জুলাই সকালে উদ্বোধনী খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন বরিশাল ধর্মপ্রদেশের মনোনীত বিশপ ইম্মানুয়েল কানন রোজারিও। তিনি বলেন, “মণ্ডলি এখন বর্তমান যুবাদের দিকে তাকিয়ে আছে, আর তাই তিনি যুবাদের প্রাণবন্ত হতে আহ্বান জানান এবং বলেন, তোমরা প্রাণবন্ত হলেই মণ্ডলি প্রাণবন্ত হবে”। খ্রিস্টযাগের পর পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হয় ২য়তম ওয়াইসিএস দিবস ৷ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মনোনীত বিশপ ইম্মানুয়েল কানন রোজারিও এবং ধর্মপ্রদেশীয় যুব কমিশনের পতাকা উত্তোলন করেন এপিসকপাল যুব কমিশনের যুব সমন্বয়কারী ফাদার বিকাশ রিবেরু, সিএসসি ৷ পতাকা উত্তোলনের পরই শুরু হয় বর্ণাঢ্য রেলী ৷
সিস্টার রোজলীন সন্ধ্যা রোজারিও, আরএনডিএম ওয়াইসিএস এর সেল মিটিং সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং বলেন, “ সেল মিটিং হলো ওয়াইসিএসের প্রাণ”। বিভিন্ন বিষয়ে সেশন শেষে ১৭ জুলাই ওয়াইসিএস সদস্যরা ধর্মপল্লী ভিত্তিক তাদের বার্ষিক পরিকল্পনা উপস্থাপন করে এবং আশ্বাস দেয় মণ্ডলিকে প্রাণবন্ত রাখতে তারা দায়বদ্ধ ৷
১৭ জুলাই সমাপনী খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের চ্যান্সেলর ফাদার উইলিয়াম মুর্মু। তিনি তার উপদেশে বলেন, “আমরা যদি মণ্ডলির সাথে যুক্ত না থাকি তাহলে যেমন মণ্ডলি চলতে পারবে না ঠিক তেমনি আমরাও মণ্ডলি ছাড়া চলতে পারবো না, কারণ মণ্ডলি এবং খ্রিস্টভক্ত একে অপরের পরিপূরক।
২য়তম ওয়াইসিএস দিবসে অংশগ্রহণকারী হৃদয় মুর্মু বলে, “ওয়াইসিএস দিবসে আসতে পারা আমার সার্থক হয়েছে, আমি আমার অনেক অজানা প্রশ্নের উত্তর পেয়েছি, তাই যুব কমিশনকে অনেক ধন্যবাদ”। একইভাবে কথা গমেজ বলে, “আমার অভিজ্ঞতা হয়েছে অন্যরকম পরিবেশের সাথে নিজে মানিয়ে নেওয়া, আদিবাসী এলাকায় আমার মানিয়ে নেওয়া একটু কঠিন হলেও এইটা আমার নতুন অভিজ্ঞতা”।
পরিশেষে, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের যুব সমন্বয়কারী ফাদার নবীন পিউস কস্তা সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে ২য়তম ওয়াইসিএস দিবসের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
রিপোর্ট: বেনেডিক্ট তুষার বিশ্বাস