গত ৯ -১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ রাজশাহী ধর্মপ্রদেশে খ্রিস্টজ্যোতি পালকীয় সেবাকেন্দ্রে ধর্মপ্রদেশীয় কাটেখিস্ট মাষ্টার ও সিস্টারদের বার্ষিক নির্জন ধ্যান ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিভিন্ন ধর্মপল্লী থেকে ৩০ জন কাটেখ্রিস্ট সিস্টার এবং মাষ্টার অংশগ্রহণ করেন। নির্জন ধ্যান ও সেমিনারটি পরিচালনা করেন শ্রদ্ধেয় ফাদার প্যাট্রিক গমেজ। ‘মিলনধর্মী মণ্ডলি : অংশগ্রহণ, মিলন ও প্রেরণ’ এই মূলভাবের উপর ভিত্তি করে তিনি নির্জন ধ্যান ও সেমিনারটি পরিচালনা করেন।

নির্জন ধ্যানের শুরুতেই তিনি বলেন, ‘নির্জন ধ্যান হলো নিরালা ও একা ঈশ্বরের সাথে কথা বলা। এরমধ্য দিয়ে ঈশ্বরের সাথে মিলন একাত্বতা তৈরী করা। নির্জন ধ্যান হলো আত্ম পরীক্ষার সময় । ধ্যান হলো সাময়িক বিশ্রাম, অবসর গ্রহণ ও নিজেকে মূল্যায়ন করা।’

কাটেখিস্টের পরিচয় তুলে ধরতে গিয়ে বলেন যে, একজন কাটেখ্রিস্ট সেই ব্যক্তি ‘যিনি পবিত্র আত্মা দ্বারা মনোনীত প্রেরণ কর্মী, ধর্ম শিক্ষক, বাণী প্রচারক ও দক্ষ সেবা কর্মী। কাটেখিস্টের আহ্বান দুই ধরণের ১) বিশেষ আহ্বান ও ২) সাধারণ আহ্বান। ত্রিত্বের প্রার্থনার মাধ্যমে ত্রি ব্যক্তি পরমেশ্বরের মিলন স্বীকার করি। যিশুর বাণী প্রচারের তিনটি বিষয় ছিল: সেগুলো হলো ভিশন, মিশন ও ক্যারিজম। ভিশন হলো: ঐশ রাজ্য প্রতিষ্ঠা করা, মিশন: হলো মঙ্গল বাণী প্রচার এবং ক্যারিজম হলো: ঐশ কৃপার মাধ্যমে উদ্যেমী হয়ে অন্তরের বাসনা নিয়ে বাণী ঘোষণা করা।

সিনোডাল মণ্ডলি হলো সহযাত্রী মণ্ডলি যার মানে হলো একসাথে পথ চলা। শিশু, যুবক, নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, প্রতিবন্ধী, ব্রতধারী-ব্রতধারিনী সকলে খ্রিস্টীয় বিশ্বাসে পথ চলা। মণ্ডলিহলো প্রভুর জনগণ সেই জন্য ঈশ্বরের জনগণ একসাথে পথ চলতে হবে। বাণী প্রচারের ক্ষেত্রে যিশুর পদ্ধতি হলো সাক্ষাত করা, শ্রবণ করা ও নির্নয় বা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। সেই একই পদ্ধতি আমার পরিবারে অনুসরণ করতে হয়। ব্যক্তিগত অনুধানের জন্য প্রশ্ন ছিল মিলনাত্মক পরিবার, ও সমাজ গঠনে কি কি ঘাটতি আছে? কিভাবে আমি মিলনের মানুষ হয়ে উঠতে পারবো ? কোথায় কোথায় যিশু সিনোডাল পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে পারবো?

অংশগ্রহণ, মিলন ও প্রেরণ আমরা কোথায় কোথায় করতে পারি। এ বিষয়েে উপস্থাপন করতে গিয়ে তিনি বলেন, অংশগ্রহণ, মিলন ও প্রেরণ করতে হলে : আমাদের সবার কথা শুনতে হবে, সবাইকে কথা বলার সুযোগ দিতে হবে, খ্রিস্টযাগ ও অন্যান্য উৎসবে যোগদান করতে হবে। গান, প্রার্থনা ও বাদ্যযন্দ্র বাজানোর জন্য অংশগ্রহণ করতে হবে। নিজের সম্পদ দান করতে হবে, পালকীয় চাঁদা প্রদান করতে হবে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ, কৃষ্টি-সংস্কৃতি সকলের সাথে সংলাপ করতে হবে।

বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার

Please follow and like us: