পোপ ফ্রান্সিসের উপাসনা বিষয়ক প্রৈরিতিক পত্র

ভূমিকা : এই পত্রের নামটি নেয়া হয়েছে সাধু লুকের লেখা মঙ্গল সমাচার ২২:১৫ থেকে: “আমি তো একান্তভাবেই চেয়েছিলাম, আমার যন্ত্রণাভোগের আগে তোমাদের সঙ্গে আমি এই নিস্তারভোজে আমি বসব।“ পোপ ফ্রান্সিস পুণ্য উপাসনার সৌন্দর্য্য, কল্যাণ ও সত্য সম্পর্কে তাঁর এই অপেক্ষাকৃত ছোট এই অনুধ্যানটি ২০২২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশ করেছেন। তিনি এই দলিলে আমাদের প্রতি পবিত্র ত্রিত্বের ভালবাসার কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন।

দেজিদেরিও দেজিদেরাভি‘র প্রধান বিষয় বস্তু : এই দলিলটি পোপ মহোদয়ের অন্যান্য দলিলের তুলনায় আকারে বেশ ছোট; তাই এটি পড়া মোটামুটি সহজ। এখানে অবশ্য আমরা শুধু মৌলিক বিষয়গুলি সংক্ষেপে তুলে ধরব। তাই এই দলিলের বিষয় বিস্তারিত জানতে হলে দলিলটি আদ্যোপান্ত পড়ার বিকল্প নেই। আমরা এখানে সংক্ষেপে এই দলিলটি পর্যালোচনা করব।

উপাসনা: পরিত্রাণ ইতিহাসের “আজ” : পোপ ফ্রান্সিস আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে অন্তিম ভোজে বসার যোগ্যতা কেউ অর্জন করেনি; বরং তারা সকলেই সেখানে নিমন্ত্রিত হয়েছিল, ঠিক যেমন আজ ঐশানুগ্রহে যিশু আমাদের এই পবিত্র ভোজে নিমন্ত্রন করেছেন। বস্তুত: বিশ্বসৃষ্টির সব কিছুই প্রভুর সেই অন্তিম ভোজের ও ত্যাগস্বীকারের পটভূমি রচনা করে আছে।

প্রভুর শেষ ভোজ সত্যিই “অনন্য”  (unique) আর তা “পুনরাবৃত্তি করা যায় না” (unrepeatable); কিন্তু ‘মেষ শাবকের বিবাহ ভোজ’ অর্থাৎ পুণ্য উপাসনা, শুধুই একটি শেষ বা অন্তিম ভোজ নয়, বরং তার চেয়েও বেশী কিছু। অন্তিম ভোজে যীশুর শেষবারের খাদ্য গ্রহণ ঘটনাটি ক্রুশের উপর তাঁর ত্যাগস্বীকারের বা যন্ত্রণাভোগের একটি পূর্বচ্ছবি; এটা তাঁর “বাধ্যতার ত্যাগস্বীকার কারণ তিনি পিতা ঈশ্বরকে ভালবাসতেন” (দে.দে. ৭)। এইরূপ পরিপূর্ণ ত্যাগস্বীকার দ্বারাই পিতার কাছে আমাদের সত্যিকারের ভক্তি নৈবেদ্য উৎসর্গ করতে পারি। যদিও অন্তিম ভোজ, সেই ত্যাগস্বীকার, এবং প্রভুর পুণরুত্থান আর পুণরাবৃত্তি করা যাবে না, পবিত্র খ্রিস্টযাগ স্থান ও কালের ঊর্দ্ধে আর একবার সেই পরিত্রাণদায়ী বাস্তবতাকে পরিত্রাণ ইতিহাসের “আজ” হিসাবে উপস্থাপন করবে।

উপাসনা: খ্রিস্টের সঙ্গে সাক্ষাতের স্থান : যিশু খ্রিস্টের আত্মপ্রকাশের গুণে, তাঁর দেহধারণই হলো সেই পথ যা “পবিত্র ত্রিত্ত্ব আমাদের জন্য মিলনের পথ খুলে দিয়েছেন। খ্রিস্ট বিশ্বাস মানে হয় তাঁর সঙ্গে এক জীবন্ত সাক্ষাৎ (Living Encounter), অথবা তার কোন অস্তিত্বই নেই” (দে.দে. ১০)। অন্য কথায় বলতে গেলে, পুণরুত্থান হলো একটি বাস্তবতা আর যজ্ঞোৎর্গের সময়  খ্রিস্টাই আমাদের কাছে আসেন।
উপাসনা হচ্ছে সেই নিশ্চিত স্থান যেখানে আমরা পুণরুত্থিত প্রভুর সাক্ষাৎ পাই। সেখানে আমরা তাঁর কন্ঠস্বর শুনতে পাই আর আর তাঁর দেহ ভোজন করতে পারি। তাঁকে আমাদের দরকার আছে, আর আমরা তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারি সাক্রামেন্তের মধ্য দিয়েই, বিশেষভাবে বাপ্তিস্ম বা দীক্ষাস্নান ও পবিত্র খ্রিস্টপ্রসাদের মধ্য দিয়ে। সাক্রামেন্তগুলি কিন্তু কোন ম্যাজিক (Magic) নয়, কারণ এখানে ঈশ্বর নিজে কাজ করেন। কিন্তু সেই সাক্রমেন্তগুলির কাজ আশ্চর্য্যজনক ও রহস্যময়।

খ্রিস্টমণ্ডলি : খ্রিস্টদেহের সাক্রামেন্ত : পিতা ঈশ্বরের প্রতি ঈশ্বর পুত্রের বাধ্যতা হলো “পূজা নিবেদনের কাজ, যে কাজ পিতার কাছে ত্রুটিহীন ও সন্তুষ্টিজনক” (দে. দে. ১৫)। খ্রিস্টের দ্বারাই আমরা এই বাস্তবতায় প্রবেশ করি, আর সত্যি বলতে কি, হবা যেমন আদমের বুকের মধ্য থেকে জন্ম নিয়েছে, তেমনিভাবে মণ্ডলিও খ্রিস্টের বুকের মধ্য থেকে জন্ম নিয়েছে। “পুত্রের মধ্যে পুত্র” হয়েই মাত্র আমরা এমন ত্রুটিহীন বা পরিপূর্ণ নৈবেদ্য (Perfect Sacrifice) উৎসর্গ করার আশা করতে পারি।

উপাসনার ঐশতাত্তি¡ক প্রেরণা : পোপ ফ্রান্সিস আমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন যে উপাসনার বিষয়ে নতুন ঐশতাত্ত্বিক ধ্যান-ধারনা বা শিক্ষা আবিষ্কার করা ও খ্রিস্ট মণ্ডলির জন্য এর গুরুত্ব অনুধাবন করা ২য় ভাটিকান মহাসভারই আহ্বান; তবে পূর্বেকার উপাসনা সংক্রান্ত যে সকল আন্দোলন (Movement) প্রচলিত ছিল সেগুলিকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। পাঠকদের তিনি স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন যে মহাসভার এই দলিলটি মণ্ডলির জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কেন্দ্রীয় বিষয়। এই দলিলটি সকলেরই পড়া উচিত।

পোপ ফ্রান্সিসের এই দলিলের মূল্য ও মর্যাদা :“এই পত্রের মধ্য দিয়ে আমি গোটা মণ্ডলিকেই আমি আহ্বান জানাচ্ছি যেন সকলেই খ্রিস্টীয় জীবনকে নতুন করে আবিষ্কার করে, সুরক্ষা দেয়, এবং যেন খ্রিস্টীয় উৎসবের সত্যে তারা জীবন যাপন করে। খ্রিস্টীয় উৎসবের সৌন্দর্য্য ও মণ্ডলিতে এর ফলাফল বা প্রভাব কোনভাবে নষ্ট হোক তা আমি চাই না; কারণ এর মূল্য সম্পর্কে অজ্ঞতা বা জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা, অথবা এর চেয়েও খারাপ ব্যাপার হলো যে, কোন মতাদর্শিক আমাদেরকে বিভ্রান্ত করতে পারে। শেষ ভোজের সময় যিশুর যাজকীয় প্রার্থনা, ‘যেন সকলেই এক হয়’ (যোহন ১৭:২১) আমাদের ‘রুটি ভাঙ্গার অনুষ্ঠানে’ সকল প্রকার বিভেদেরই বিচারই হয়ে যায়; কারণ এটিই হলো সেই ‘দয়ার সাক্রামেন্ত’, ‘ঐক্যের চিহ্ন’ ও ‘ভালবাসার বন্ধন’ ( দে.দে. ১৬)।

উপাসনা: আধ্যাত্মিকতা স্খলনের প্রতিষেধক : উপাসনায় দুইটি বিষয়ের প্রভাবে আধ্যাত্মিকতার জাগতিকতা বা স্খলন হতে পারে: একটি হলো জ্ঞানবাদী যুক্তি জ্ঞান (Gnosticism) আর অন্যটি হলো নব্য-পেলাজিয় মতবাদ (Pelagianism – যার শিক্ষা অনুসারে আদিপাপ সংক্রান্ত মণ্ডলির শিক্ষা অস্বীকার করা হয়। নিজের অভিরুচি অনুসারে সিদ্ধান্ত নেয়া বা কাজ করার (Gnosticism) ও অনমনীয়তার (Rigidity) অনেক বিপদ আছে। উপাসনা কিন্তু এমন নয় যে আমরা উন্মত্তভাবে কিছু করে ঈশ্বরকে খুশী করার বা তাঁর অনুগ্রহ পাওয়ার চেষ্টা করি। এটা আমাদের খেয়াল-খুশী বা আমাদের অনুভূতির বিষয়ও নয়।

খ্রিস্টীয় উৎসবে নিহিত সত্যের সৌন্দর্য্য প্রতিদিন নতুন করে আবিষ্কার : উপাসনার চিহ্ন ও প্রতীকের যথাযথ ব্যবহার হতে হবে আর হতে হবে সৌন্দর্য্যমন্ডিত। উপাসনায় রুব্রিক্স বা ল্যাটিন রীতি অনুসরণ করতে হবে (তাই বলে দাসের মনোভাব নিয়ে নয়); এবং সব কিছুই করতে হবে মনোযোগ ও যত্ন সহকারে। মনে রাখতে হবে যে যেমন তেমন করে বা অমনোযোগী হয়ে বা না জেনে বা ভাসাভাসা (Superficial) জ্ঞান নিয়েও উপাসনা সম্পন্ন করা যাবে না। উপাসনার সত্যিকারের প্রকৃতি (Nature) রক্ষা করে তা সম্পন্ন করতে হবে।

পাস্কা রহস্যের সামনে আমাদের বিস্ময়: উপাসনাকর্মের আবশ্যকীয় অংশ : এটা শুধু ‘নিগূঢ় রহস্য’ (Mystery)বলে নয় কিন্তু ঈশ্বর কি যে বিস্ময়কর কাজ করেছেন তা উপসনার মধ্যে আমরা যেন তা উপলব্ধি করতে পারি। সেই বিস্ময়কর কাজের কথা পবিত্র শাস্ত্রে, পুণ্য ঐতিহ্য ও উপাসনার মধ্যে সেই কথা বর্ণিত ও বিধৃত হয়ে আছে। যিশু খ্রিস্টের পুণরুত্থান বা পাস্কা রহস্যের মধ্যে আমাদের সেই সৌন্দর্য্য দেখতে হবে। “সত্য সম সৌন্দর্য্য সব সময় বিস্ময় জাগ্রত করে, আর তা যখন ঈশ্বরের নিগূঢ় রহস্যের দিকে নির্দেশ করে তা আমাদের অন্তরে জাগ্রত করে ভক্তি” (দে. দে. ২৫)।

প্রয়োজন ঔপাসনিক বা উপাসনা বিষয়ক সত্যিকারের ও প্রাণবন্ত গঠন
এই অংশে পোপ মহোদয় আধুনিক বিশ্বের বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলির বিষয় আলোচনা করেছেন – যেখানে ঔপাসনিক বা উপাসনা কর্ম প্রাণবন্ত করার কথাও বলেছেন। দ্বিতীয় ভাটিকান মহাসভার সংবিধানগুলিতে যেভাবে বিধৃত হয়েছে সেই চিরকালীন প্রজ্ঞা তিনি এখানে তুলে ধরেছেন তিনি।
আমাদের শুধু খ্রিস্টযাগের কথা বা পাঠ্য বিষয় ও রুব্রিক্স (Rubrics) জানাই যথেষ্ঠ নয়, আমাদের এর গভীরে প্রবেশ করতে হবে। উপাসনার নবায়ন করার যে মনোভাব, সেই মনোভাব দ্বারা তাড়িত হয়ে সব কিছু বা যা খুশী তা করা উচিত নয়। উপাসনায় গভীর ও প্রাণবন্ত গঠন-প্রশিক্ষন থাকা প্রয়োজন: গঠন হতে হবে আধ্যাত্মিক, বাস্তব, মানসিক ও পঠন-পাঠনযুক্ত (Acaemic)। দেশীয়করণ বা সাংস্কৃত্যায়ন হতে হবে অর্থপূর্ণ ও বোধগম্য – যা খুশী তা নয়। এই বিষয় পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন যেন সেমিনারীগুলিতে এইসব ঔপাসনিক বিষয় সেমিনারীয়ানদের ভালমত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
এই শিক্ষা শুধু জানার জন্য নয়, তা জীবনে বাস্তব করার ও খ্রিস্টের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য। পোপ বলেছেন, “খ্রিস্টের জীবনের নিগূঢ় রহস্য, যা আমাদের জীবনের আসল প্রশ্ন, শুধু কোন আদর্শের সঙ্গে মন মিলানো নয়, কিন্তু খ্রিস্টের সঙ্গে বাস্তব বা প্রকৃত মিলন” (দে. দে. ৪১)। উপাসনার কাজ খ্রিস্টই সম্পন্ন করেন, আর আমরা চিহ্ন ও প্রতীকের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করি ও মিলিত হই।

উৎসব উদযাপনের কৌশল (Ars celebrandi) : উপাসনার গতিশীলতায় রয়েছে বিভিন্ন বিষয় শিক্ষা ও জ্ঞান যা আমাদের লক্ষ্য করা উচিত। উপাসনায় অবশ্য তা উদ্যাপনের কৌশল থাকতে হবে, তবে তা যথেষ্ঠ নয়, সেখানে পবিত্র আত্মার প্রেরণা যেন কাজ করতে পারে সেইদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অঙ্গভঙ্গি, কথা, প্রতিকী ভাষা, নীরবতা, পুণ্য স্থান, রুব্রিক্স, ইত্যাদির মাধ্যমে পুরোহিত ও বিশ্বাসীবর্গ উপাসনায় অংশগ্রহণ করেন। খ্রিস্টের মধ্যে ও তাঁরই মাধ্যমে খ্রিস্টভক্তরা পবিত্র আত্মার দ্বারা চালিত হয়।

উপাসনা শুধু পুরেহিতের ‘মানসিক আনুগত্য’ (Mental adhesion ) নয়, তার পুরো ব্যক্তিত্বই যেন মিশে যায়: তার মন, দেহ, আত্মা ও মূল নীতি সব কিছুই যুক্ত থাকতে হবে।

আলতার বা বেদী থেকে পুরোহিত বা খ্রিস্টভক্তদের দৃষ্টি অন্যত্র সরে যায় এমন কিছুই করতে হবে না। কারণ “গীর্জার যে বেদী খ্রিস্টের উপস্থিতির চিহ্ন; এই বেদী থেকেই খ্রিস্টের বক্ষ নিসৃত রক্ত ও জল প্রবাহিত হয়, এর উপরই মণ্ডলির পবিত্র সংস্কার স্থাপিত হয় (Sacrament of the Church), এটিই হলো আমাদের প্রশংসা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপনের কেন্দ্র” (দে. দে. ৬০)।

যাজক, তার যাজন কর্মের সময়, কিভাবে কথা বলছেন বা তাঁর কন্ঠস্বর কত উচুতে বা নীচে তা-ও তাঁকে লক্ষ্য করতে হবে। এটি হলো তাঁর কথা বলার কলা-কৌশল (Ars dicendi or art of speaking)। উপাসনা কিন্তু কোন বিচিত্রানুষ্ঠান বা নাটক নয়, যদিও উপাসনায় বিভিন্ন স্বর ও সুর রয়েছে যা উপাসনার বিভিন্ন অংশকে অর্থপূর্ণভাবে সাজিয়ে তোলে।

শেষ অংশ : পোপ ফ্রান্সিস আমাদের পবিত্র নিগূঢ় রহস্য উদযাপন (Celebration of the holy mysteries) অফুরান (Inexhaustible) ও বিশাল (Immense) সম্পদ ভান্ডারের (Treasures) কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন। তিনি রোমীয় রীতিতে (Roman rite) যজ্ঞোৎসর্গকারী গোটা মণ্ডলিতে ঐক্য ফিরিয়ে আনতে চেয়েছেন। খ্রিস্টীয় যজ্ঞোৎসর্গের যে সত্য, তার সৌন্দর্য্য এক বিস্ময়কর (Wonder) বিষয়। পোপ মহোদয় তা আমাদের কাছে পুন:প্রজ্জ্বলিত করতে চান (Rekindle), উপাসনা বিষয়ক সংস্কারের উপর আমাদের দৃষ্টি ফেরাতে চান, এবং উৎসব উদ্যাপনের কৌশল (Ars celebrandi) যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তার স্বীকৃতি দান করেছেন।

তিনি আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ (Exhortation) দিয়ে শেষ করেন এই বলে যা রোমান রীতির সকল সদিচ্ছাসম্পন্ন কাথলিক খ্রিস্টভক্তদের শোনা উচত: “আসুন আমাদের সকল বিতর্ক বিবাদ বাদ দিয়ে মণ্ডলির কাছে পবিত্র আত্মা কি বলছেন তা শুনি। আসুন আমরা আমাদের ঐক্য ও মিলন রক্ষা করে চলি। পুণ্য উপাসনার সৌন্দর্য্য দেখে আসুন আমরা বরাবরই বিস্ময়াভিভুত হই” (দে. দে. ৬৫)।

বিশপ জের্ভাস রোজারিও
রাজশাহী ধর্মপ্রদেশ

Please follow and like us: