১৬ জানুয়ারি ভূতাহারা ধর্মল্লীর বিভিন্ন গ্রাম থেকে খ্রিস্টভক্তগণ রক্ষাকারিণী মা মারীয়ার তীর্থস্থানে তীর্থ করতে যান। এই তীর্থ যাত্রায় মোট অংশগ্রহণকারী ছিল মোট ৫০ জন। তারা বাস যোগে রোজারীমালা প্রার্থনা করতে করতে তীর্থস্থানে যান এবং রক্ষাকারিণী মা মারীয়ার তীর্থের মহা খ্রিস্টযাগে যোগদান করেন এবং মানত দান করে মা মারীয়ার আশির্বাদ গ্রহণ করে নিজ নিজ বাড়ীতে ফিরে আসেন।

গত ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ভূতাহারা ধর্মপল্লীতে শিশু মঙ্গল দিবস উদযাপন করা হয়। পবিত্র খ্রিস্টযাগের মাধ্যমে শিশু মঙ্গল দিবসের কার্যক্রম শুরু করা হয়। পবিত্র খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত শ্রদ্ধেয় ফাদার সুশীল লুইস পেরেরা। এতে ধর্মপল্লীর বিভিন্ন গ্রাম থেকে মোট ২৬০ জন শিশু অংশগ্রহণ করে। দিনের কর্মসূচীতে ছিল পবিত্র খ্রিস্টযাগ, প্রার্থনা শিক্ষা, রেলী, শিশুদের জন্য বিশেষ খেলাধুলা ও পুরস্কার বিতরণী।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ শিশু মঙ্গলের এনিমেটরদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। যারা শিশু মঙ্গলের এনিমেটর হিসেবে ধর্মপল্লীর বিভিন্ন গ্রামগুলোতে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা যেন তাদের এই কার্যক্রমে আরো ফলপ্রসূভাবে শিশুদের শিক্ষা-দীক্ষা দিতে পারেন সেই লক্ষ্যেই এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ভূতাহারা ধর্মপল্লীতে ধর্মপ্রদেশীয় যুব ক্রুশ প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং একই দিনে ভস্ম টিকা ললাটে ধারণ করে প্রায়শ্চিত্তকালীন যাত্রা শুরু করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রথমে ক্রুশ স্থাপন অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার সুশীল লুইস পেরেরা। এখানে তিনি মূলত যুব ক্রুশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য উদ্দেশ্য কী? তা ব্যক্ত করে বলেন, ক্রুশ হলো আমাদের খ্রিস্টীয় জীবনের পরিচয়ের একটি চিহ্ন। এই ক্রুশের মধ্যদিয়েই আমরা লাভ করেছি আমাদের কাঙ্ক্ষিত মুক্তি। এই ক্রুশ আমাদের চত্ত্বরে প্রতিষ্ঠা করার মধ্যদিয়ে আমরা এই চিন্তা মাথায় রাখবো যে, মুক্তিদায়ী ক্রুশের মধ্যদিয়ে স্বয়ং প্রভু যিশু খ্রিস্টই আমাদের মধ্যে উপস্থিত আছে। তাই, যখনই আমরা ক্রুশের কাছ দিয়ে আসা-যাওয়া করব আমরা যেন একটু থামি এবং যিশুর ক্রুশের ছায়ায় দাঁড়িয়ে আমাদের জীবনের কথাগুলো তার কাছে নিবেদন করি। প্রার্থনার পরে যুব ক্রুশটি ভূতাহারা মিশনের গ্রামবাসীর হাতে হস্তান্তর করেন খ্রিস্টজ্যোতি পালকীয় সেবাকেন্দ্রের পরিচালক ফাদার বাবলু কোড়াইয়া।

পরে ভস্মবুধবার উপলক্ষ্যে পবিত্র খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করা হয়। এতে মিশনের আশে-পাশের গ্রাম থেকে এবং বোর্ডিং-এর ছেলে-মেয়েসহ প্রায় ২৫০ জন খ্রিস্টভক্ত উপস্থিত ছিলেন। খ্রিস্টযাগে প্রধান পৌরহিত্য করেন ফাদার বাবলু কোড়াইয়া। তার সহার্পিত খ্রিস্টযাগে ছিলেন পাল-পুরোহিত ফাদার সুশীল লুইস পেরেরা এবং ফাদার সুজন গমেজ।

ভূতাহারী ধর্মপল্লীতে ফাদার বাড়ী ও নতুন গির্জা নির্মাণের কাজ সমাপ্তির পথে। এরই মধ্যদিয়ে ধর্মপল্লীর অবকাঠামোগতভাবে উন্নয়ন ঘটেছে। বিশ্বাস করি, এরই মধ্যদিয়ে জনগণের বিশ্বাস বৃদ্ধি এবং পালকীয় কাজে আরো অনেক বেশি বেগমান হবে।

বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার

Please follow and like us: