গত ২০-২৬ মার্চ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ভিকারিয়া পর্যায়ে রহনপুর ধর্মপল্লীতে প্রাক্ বিবাহ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এতে উত্তর ভিকারীয়ার বিভিন্ন ধর্মপল্লী থেকে মোট ৩০ জন যুবক-যুবতী অংশগ্রহণ করেন। শ্রদ্ধেয় পাল-পুরোহিত ফাদার বার্ণার্ড রোজারিও এর সার্বিক পরামর্শ ও দিকনির্দেশনায় প্রশিক্ষণটি পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন শ্রদ্ধেয় ফাদার যোয়াকিম রবিন হেম্ব্রম ও সিষ্টার আন্তনিয়েতা তপ্ন। উক্তপ্রশিক্ষণে যুবক-যুবতীদের বাস্তবতার আলোকে বিবাহ, বিবাহিত জীবন ও সুখী পরিবার গঠনের উপরে বিশেষ ভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়। বিবাহ প্রশিক্ষণটিতে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো হলো- আমাদের জীবনে সাক্রামেন্তের গুরুত্ব, বিবাহ একটি সাক্রামেন্ত, মাণ্ডলিক আইনের দৃষ্টিতে বিবাহ, আদি পুস্তকে বিবাহ, বিবাহ ও দাম্পত্য জীবন, পরিবার পরিকল্পনা, সামাজিক রীতি ও বিবাহ, পারিবারিক অর্থনীতি, স্বাস্থ্য সচেতনতা, আদর্শ পরিবার গঠন ও পরিচালনা এবং ধর্মীয় গান প্রশিক্ষণ, ইত্যাদি। যুবক-যুবতীদের সক্রিয় ও প্রান্তবন্ত অংশগ্রহণ; প্রশিক্ষণটিকে আনন্দপূর্ণ ও স্বার্থক করে তুলেছে।
মলিন তিগ্যা বিবাহ প্রশিক্ষণ সম্পর্কে তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, “বিবাহ প্রশিক্ষণে এসে আমি সত্যিই আনন্দিত। এই বিবাহ প্রশিক্ষণে আমি আমার জীবনের জন্য অনেক নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে শিখেছি। বিবাহ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের ফলে বিবাহিত জীবন সম্পর্কে আমার চিন্তা, চেতনা ও ধারণার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। সুখী পরিবার গঠনে বিবাহ প্রশিক্ষণ আমাকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে”।
২৫ মার্চ সন্ধ্যায় প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সার্টিফিকেট বিতরণ কালে শ্রদ্ধেয় ফাদার বার্ণার্ড রোজারিও বলেন, “বিবাহ হল একটি পবিত্র বন্ধন ও পবিত্র সাক্রামেন্ত। বিবাহ হল একটি সন্ধি যা চিরস্থায়ী। জীবনে চলতে গেলে যেমন আনন্দের অভিজ্ঞতা হবে তেমনি কষ্টের অভিজ্ঞতা হবে। তাই, বিবাহিত জীবনকে সেই ভাবেই মেনে নিতে হবে এবং সুখী পরিবার গঠনে আজীবন স্বামী ও স্ত্রী পরস্পরের প্রতি বিশ্বস্থ থাকতে হবে। রাতে বোর্ডিং ছেলে, মেয়ে ও প্রাক্ বিবাহ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
২৬ মার্চ সকালে রবিবাসরীয় খ্রিস্টযাগ ও মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের মধ্য দিয়ে বিবাহ প্রশিক্ষণের সমাপ্তি ঘটে।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : ফাদার যোয়াকিম হেম্ব্রম