২৮ মার্চ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, সুরশুনিপাড়া ধর্মপল্লীতে প্রায় ১০০ জন অংশগ্রহণকারী ৩ জন ফাদার ১০ জন শিক্ষক নিয়ে তপস্যাকালীন আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি বিষয়ক সেমিনার ও পাপস্বীকারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারের মূলসুর হিসেবে নেওয়া হয় ‘যিশুর ক্রুশীয় যন্ত্রণার সহযাত্রী কুমারী মারিয়া’ ।
উক্ত সেমিনারে মূল বিষয়ের উপর সহভাগিতা করেন ফ্যামিলি রোজারি মিনিস্ট্রি এর পরিচালক শ্রদ্ধেয় ফাদার সুরেশ পিউরীফিকেশন। তিনি বলেন ‘ এই তপস্যাকালে আমরা যিশুর ক্রুশীয় যন্ত্রণা ও মৃত্যুর কথা স্মরণ করি । যিশুর এই যন্ত্রণাময় ও কষ্টের সময়ে একান্ত সহযাত্রী ছিলেন তাঁর মা কুমারী মারিয়া। কুমারী মারিয়া পুত্রের সাথে কালভেরী পর্বতে যাত্রা করেন ও তাঁর কষ্ট অন্তরে উপলব্ধি করে। আমাদের পাপের জন্য যিশু যন্ত্রণা ভোগ করে নিজের প্রাণ উৎসর্গ করলেন। এই কষ্ট যেন আমরাও অন্তরে উপলব্ধি করতে পারি, নিজের জীবনের পাপ সর্ম্পকে সচেতন হই। ত্যাগস্বীকার, উপবাস, প্রার্থনা ও দানশীলতার মধ্য দিয়ে যেন যিশুর কষ্টের সহযাত্রী হতে পারি।
এরপর ছেলে-মেয়েরা তপস্যাকালীন আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি স্বরূপ পাপস্বীকার সংস্কার গ্রহণ করে পবিত্র খ্রিস্টযাগে অংশগ্রহণ করেন। পবিত্র খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন শ্রদ্ধেয় ফাদার নবীন পিউস কস্তা। তিনি উপদেশ সহভাগিতায় বলেন- তপস্যাকল হল মন পরিবর্তন ও আত্মশুদ্ধির কাল। তাই, এই বিশেষ সময়ে আমরা যেন নিজেদের জীবনের দিকে তাকাই আত্মমূল্যায়ণ করি। প্রত্যেকে নিজ নিজ পাপের জন্য ঈশ্বরের কাছে অনুতপ্ত হৃদয়ে ক্ষমা চাই, নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হই যেন অবহেলা না করি।’
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : ফাদার সুরেশ পিউরীফিকেশন