জগতের আনন্দ যজ্ঞে তোমার নিমন্ত্রণ এই মূলসুর কে কেন্দ্র করে গত  ৩০ জুলাই রোজ রবিবার বনপাড়া ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো আহবান দিবস। এতে ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার দিলীপ এস কস্তা, ফাদার পিউস গমেজ, ফাদার লিপন রোজারিও, বনানী সেমিনারিয়ানসহ প্রায় ১৮৫ জন ছাত্র – ছাত্রী উপস্থিত ছিল।
খ্রিস্টযাগের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু করা হয়। খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন বনপাড়া ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার দিলীপ এস কস্তা ও সহার্পণ করেন ফাদার লিপন রোজারিও। ফাদার দিলীপ এস কস্তা তার উপদেশ বানীতে আহ্বান সম্পর্কে বিস্তারিত বলেন এবং সংস্কার সম্পর্কে ধারণা প্রদান করেন।
খ্রিস্টযাগের পরে ফাদার দিলীপ এস কস্তা ধর্মীয় জীবনাহ্বান সম্পর্কে সহভাগিতা করেন। তিনি তার সহভাগিতায় বলেন,“মণ্ডলিতে সংস্কার হলো সাতটি। তার মধ্যে আহ্বান সংস্কার হলো দুটি – যাজকবরণ ও বিবাহ। ইশ্বর আমাদের প্রত্যেকে আহ্বান করেন।আমাদের প্রত্যেকের তার আহ্বান নির্ণয় করা উচিত। ফাদার সিস্টাররা বিনা পুজিতে ব্যবসায় শুরু করেন অর্থ্যাৎ আত্ম সমর্পণ ও ত্যাগের মধ্য দিয়ে নিজেদের সম্পূর্ণ রূপে উৎসর্গ করে। আমরা যে জীবনেই যাই না কেন সেখানে যেন প্রার্থনা থাকে। প্রার্থনা ছাড়া জীবন চলতে পারে না কারণ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিটি ধাপেই আমাদের সাথে প্রার্থনা জড়িত। আজকে তোমরা সকলে নিজেদের আহ্বান নিয়ে চিন্তা করো।”
ফাদার লিপন প্যাট্রিক রোজারিও যাজকীয় জীবনের গঠন, শিক্ষা ও প্রেরিতিক কাজ সম্পর্কে সহভাগিতা করে বলেন,“যাজকীয় জীবনে গঠনের জন্য আমাদের অনেক জানতে হবে। যাজকীয় জীবনে গঠনের জন্য আমাদের সেমিনারীতে যেতে হবে এবং একই সাথে বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে হবে ঠিক মতো। বিভিন্নভাবে শিক্ষা অর্জন করা যায় যেমন, পরিবার, বিদ্যালয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। প্রেরিতিক সেবা কাজ বলতে আমরা বুঝি ফাদার – সিস্টারদের সেবা কাজকে। দায়িত্ব অনুযায়ী ফাদার সিস্টারগণ বিভিন্ন জায়গায় কাজ করেন।”
সিস্টার প্রীতি গমেজ, পিমে ও সিস্টার মেরী পূজারী, এসএমআরএ, ব্রতীয় ও সংঘের ক্যারিজম ভিত্তিক জীবন সহভাগিতা করেন। ফাদার পিউস গমেজ যাজকীয় জীবনের দর্শন ও জীবন সহভাগিতা করেন।
পরিশেষে ফাদার পিউস গমেজ অনুষ্ঠানে সকলের অংশগ্রহণ ও সার্বিক সহযোগিতার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান। একসাথে মধ্যাহ্ন ভোজের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : লর্ড রোজারিও 
Please follow and like us: