গত ১১ আগস্ট, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ বোর্ণী ধর্মপল্লীতে “শিশুদের আমার কাছে আসতে দাও” এই মূলসুরকে কেন্দ্র করে পালিত হলো শিশুমঙ্গল দিবস- ২০২৩। শুক্রবার সকালে পবিত্র খ্রিস্টযাগের মধ্যদিয়ে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। পবিত্র খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের শিশুমঙ্গল পরিচালক ফাদার পিউস গমেজ এবং সহার্পিত যাজক ছিলেন ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার সুশান্ত ডি’কস্তা, ফাদার যোহন মিন্টু রায়, ফাদার অনিল মারান্ডী ও ফাদার সাগর কোড়াইয়া।
পবিত্র খ্রিস্টযাগের পর অনুষ্ঠানের ১ম পর্বে আনন্দ রেলির মধ্যদিয়ে ফাদার এ কান্তন মিলানায়তনে সকলে প্রবেশ করেন। আসন গ্রহণের পর প্রদীপ প্রজ্জলন করেন প্রধান অতিথি ফাদার সুশান্ত ডি’কস্তা, শিশুমঙ্গল পরিচালক ফাদার পিউস গমেজ, সিস্টার পুষ্প রোজারিও এসসি, ১জন এনিমেটর ও ২জন অংশগ্রহণকারী।
উদ্বোধনী নৃত্যের পর স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি ও শিশুমঙ্গল পরিচালক। মূলসুর “শিশুদের আমার কাছে আসতে দাও” এর উপর উপস্থাপন করেন ফাদার যোহন মিন্টু রায়।
জল খাবার বিরতির পর প্রার্থনা বলা প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে শিশু ও কেজি (দূত সংবাদ), ২য় ও ৩য় শ্রেণী (প্রভুর প্রার্থনা) ও ৪র্থ ও ৫ম (প্রেরিতগণের শ্রদ্ধার মন্ত্র) শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রী।
দুপুরের আহারের পর শুরু হয় অনুষ্ঠানের ২য় পর্ব “পবিত্র বাইবেল ভিক্তিক নাটিকা প্রতিযোগীতা”। এতে অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন গ্রামের শিশুমঙ্গল ছাত্র-ছাত্রী। প্রতিযোগীতার শেষে পালপুরোহিত ফাদার সুশান্ত ডি’কস্তা এর সমাপনী বক্তব্য ও পুরস্কার বিতরণের মধ্যদিয়ে সমাপ্ত হয় শিশুমঙ্গল দিবস-২০২৩। সারাদিন ব্যাপি এই আনন্দঘন অনুষ্ঠানে ২১৪ অংশগ্রহণকারীসহ ফাদার, সিস্টার, সেমিনারীয়ান, শিক্ষক ও সেচ্ছা সেবক মিলে মোট ২৮০ জন উপস্থিত ছিলেন।
শিশুমঙ্গল দিবস অনুষ্ঠানের অংশগ্রহণ করে এনিমেটর রেনু রোজারিও বলেন, অনেক প্রস্তুতি নিয়ে ধর্মপল্লী পর্যায়ে আমরা পালন করেছি শিশুমঙ্গল দিবস। আজকের দিনটি অনুকুলে থাকায় অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি তাই ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই। এই সুন্দর অনুষ্ঠান করতে যারা কঠোর পরিশ্রম ও ভূমিকা পালন করেছে তাদেরও ধন্যবাদ জানাই।
অংশগ্রহণকারী গৌরব কস্তা বলে, আমি ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছাত্র। শিশুমঙ্গল দিবসে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। অন্যদের মত আমিও প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করেছি। মূলসুরের উপর শ্রদ্ধেয় ফাদারের উপস্থাপনা খুবই প্রাণবন্ত ছিল যা সবাইকে আকৃষ্ট করেছে। প্রত্যাশা রাখি ভবিষ্যতেও যেন এরকম উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
অংশগ্রহণকারী শ্রাবন্তী গমেজ বলে, আমি ৬ষ্ঠ শ্রেণীর একজন ছাত্রী। আজকের অনুষ্ঠিত শিশুমঙ্গল দিবস খুবই আধ্যাত্মিকময় ও সুন্দর ছিল। প্রার্থনা ও নাটিকা প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। প্রতি বছরই যেন এরকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং তা চলমান থাকে।
রিপোটার: পিটার ডেভিড পালমা