সাধু পৌলের গির্জা, কাটাডাঙ্গা ধর্মপল্লীতে ১৩ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, রোজ শুক্রবার তারিখে ধর্মপল্লী পর্যায়ে মাঞ্জ্হিবাবা, গ্রামের গির্জা প্রার্থনা পরিচালক ও ক্যাটেখিস্টদের নিয়ে সারাদিন ব্যাপী আলোচনা সভা ও সেমিনার এর আয়োজন করা হয়। সেমিনারে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল মোট ৭৮জন। অংশগ্রহণকারীগণ ছিলেন বিভিন্ন গ্রামের মাঞ্জ্হিবাবা ও এর পরিষদের সদস্যগণ এবং গ্রামের প্রার্থনা পরিচালকগণ।
সেমিনারের শুরুতেই ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত শ্রদ্ধেয় ফাঃ রঞ্জিত কস্তা ও.এম.আই. সকলের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বাণী রাখেন এবং সেমিনারে সক্রিয় অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানান। সেমিনারের আলোচ্য বিষয় গুলি ছিল ১। সান্তাল সমাজের সংস্কৃতি, সামাজিক কাঠামো ও নেতৃত্ব এবং ২। সিনোডাল মন্ডলিঃ মাঞ্জ্হিবাবা ও প্রার্থনা পরিচালকদের দায়িত্বঃ মিলন, অংশগ্রহণ ও প্রেরণ।
শ্রদ্ধেয় ফাঃ পাত্রাস হাঁসদা এবং কারিতাসকর্মী ভিনসেন্ট চঁড়ে সান্তাল সমাজের ইতিহাস, সংস্কৃতি, বর্তমান সামাজিক কাঠামো ও নেতৃত্ব এর বিষয়ে তাদের সহভাগিতা ও বক্তব্যে আলোকপাত করেন। তারা তাদের সহভাগিতায় বলেন যে, নিজেদের জাতি ও সংস্কৃতির বিষয়ে সবার ভাল ধারণা ও জ্ঞান রাখা প্রয়োজন। সার্বিক উন্নতি ও মঙ্গলের লক্ষ্যে বর্তমান সান্তাল সামাজিক নেতৃত্বের ধরণ সময়ের প্রয়োজনে নতুনভাবে সাজানোর জন্য ইতিবাচক মনোভাব রাখা দরকার। তবে যারা কাথলিক মণ্ডলির অনুসারী তাদেরকে অবশ্যই মণ্ডলির শিক্ষা ও খ্রিস্টীয় মূল্যবোধকে স্মরণে রেখেই সমাজের জন্য যা করণীয় তা সম্পাদন করা প্রয়োজন।
শ্রদ্ধেয় ফাঃ উইলিয়াম মুর্মু তার উপস্থাপনায় বলেন, সিনোডাল মণ্ডলি (মিলন, অংশগ্রহণ ও প্রেরণ) কি তা যেন আমরা বুঝতে চেষ্টা করি এবং এই সিনোডাল মণ্ডলির ভাবধারায় খ্রিস্টান মাঞ্জ্হিবাবা ও প্রার্থনা পরিচালকগণ যেন একেঅপরের সাথে সমন্বয় সাধন করে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে চেষ্টা করেন।
বক্তব্যের পর অংশগ্রহণকারীগণ দলীয় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এবং প্রতিটি দল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। পরিশেষে পবিত্র খ্রিস্টযাগের মধ্য দিয়ে সেমিনারটির সমাপ্ত হয়। খ্রিস্টযাগে পৌরহিত্য করেন শ্রদ্ধেয় ফাঃ উইলিয়াম মুর্মু।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : ফাদার সমর দাংগ, ও.এম.আই