“প্রতিদিন তোমায় দেখি সূর্যের আগে- ও আমার দেশ ও আমার বাংলাদেশ” শিক্ষার্থীদের কন্ঠে বেঁজে উঠেছিল দেশাত্মবোধক গান। সবার মনকে আলোড়িত করেছিল, মুগ্ধ কন্ঠে সবাই নির্বাক হয়ে শুনছিল দেশ প্রেমের গান। চারিদিক ছিল বিজ্ঞানমেলার উৎসবমুখর পরিবেশ। কারণ গত ৩-৪ নভেম্বর প্রথম বারের মত সেন্ট পলস্ হাই স্কুলে দুইদিন ব্যাপী পালিত হলো শিক্ষা সাংস্কৃতিক ও বিজ্ঞান মেলা।
প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোছা: খাদিজাতুল কোবরা (মুক্তা) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পত্নীতলা, নঁওগা ও চাঁদপুকুর ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ও স্কুলের সভাপতি ফাদার বেলিসারিও সিরো, ফাদার উজ্জ্বল রিবেরু, ডিকন মাইকেল, সিস্টার রাণী সরেন , সিস্টার মিরাল্লী, প্রধান শিক্ষিকা সিস্টার শিলা গমেজ, জতিন টপ্যসহ গ্রাম থেকে অভিভাবকবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে দারামে মধ্য দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
পরবর্তীতে জাতীয় সঙ্গীত, প্রদ্বীপ প্রজ্জ্বলন ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন প্রদান করা হয়। বির্তক প্রতিযোগীতা, ছড়া আবৃতি, হাতের লেখা, ছবি অংকন, একক অভিনয় এবং নাচ ও গানের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের প্রত্যেককে সুপ্ত প্রতিভা বিকাশ করতে হবে এবং একজন ভালো মানুষ হয়ে উঠতে হবে।
সভাপতি ফাদার বেলিসারি সিরো বলেন, যারা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের শুভেচ্ছা জানাই এবং এই মেলার মাধ্যমে তোমরা তোমাদের চিন্তা চেতনা বিকশিত করতে পারবে এবং ঈশ্বর যে গুণ দিয়েছেন তা বিকশিত ও চর্চা করতে পারবে।
দ্বিতীয় দিনে বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো: শহীদুজ্জামান সরকার, মাননীয় সংসদ সদস্য, নঁওগা-২ আসন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মো: আব্দুল গাফ্ফার, উপজেলা চেয়ারম্যান, পত্নীতলা, জনাব মোছা: রুমানা আফরোজ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পত্নীতলা, জনাব মোছা: খাদিজুতুল কোবরা( মুক্তা) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, জনাব শ্রী পলাশ চন্দ্র দেব, অফিসার ইনচার্জ, পত্নীতলা থানা, জনাক মো: রাহাত জামান, চেয়ারম্যান, ৩নং দিবর ইউনিয়ন, সভাপতি ফদার বেলিসারিও সিরো, ফাদার উজ্জ্বল রিবেরু, ডিকন মাইকেল ও সিস্টারগণসহ আরো অনেকে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই অতিথিদের বাদ্য বাঁজিয়ে, নৃত্যের মধ্য দিয়ে বরণ করা হয়।
পরবর্তীতে জাতীয় সঙ্গীত, প্রদ্বীপ প্রজ্জ্বলন ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়। মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মো: শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, খ্রিস্টধর্মের অপর নাম হচ্ছে মানবতা। প্রতিটি মিশনে মিশনারী স্কুল রয়েছে এবং তারা ছাত্র-ছাত্রীদের সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য স্কুলে শিক্ষা দিয়ে থাকেন। আমি বিশ্বাস করি এই প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়ে সকলে তাদের মেধা বিকাশ করতে পারবে এবং যে কোন সাহায্যে আমি স্কুলে পাশে থাকবো যাতে স্কুলেই সুন্দর মনের মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠতে পারে।
পরবর্তীতে বিজ্ঞানমেলা পরিদর্শন ও পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানা হয়।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : ফাদার উজ্জ্বল সামুয়েল রিবেরু