ফাদার বাবলু কর্ণেলিউস কোড়াইয়া
প্রতিটি মানুষই চায় যেন তারা সুস্থ্য থাকতে পারে। কেননা, কথায় বলা হয় ‘স্বাস্থ্যই হলো সকল সুখের মূল’। এটা মুখে বলা যতটা সহজ, কিন্তু বাস্তবতা তার ঠিক উল্টো। কেননা, প্রায় প্রতিটি মানুষই কোন না কোন রোগ-ব্যাধি নিয়ে পথ চলে। সেজন্য বলতে পারি যে, আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে রয়েছে কোন না কোন অসুস্থ্যতা, সেটা হতে পারে শারীরিক, মানসিক কিংবা আধ্যাত্মিক। তাই সমস্ত রোগ-ব্যাধি থেকে নিরাময় লাভ করার জন্য আমাদের সকলেকেই সবর্দা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে যেতে হবে। এ বিষয়ে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে পোপ ফ্রান্সিস রোগী দিবস উপলক্ষে যে বাণী দিয়েছেন তার মূলসুরে তিনি যথার্থই বলেছেন, ‘‘মানুষের একা থাকা ভাল নয় নিরাময় সম্পর্কের দ্বারা অসুস্থতা থেকে সুস্থ্য করুন।” “It is not good that man should be alone.” Healing the Sick by Healing Relationship.আজ বিশ্ব রোগী সুরক্ষা দিবস। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেন আমরা এই দিনটি পালন করে থাকি ? রোগীদের নিরাপত্তার বিষয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
চিকিৎসকদের দায়িত্ব রোগীদের যত্ন নেওয়া এবং তাঁদের সুরক্ষা দেওয়া। চিকিৎসকরা রোগীদের জন্য ঈশ্বরের চেয়ে কম নন। এমতাবস্থায়, রোগীর সুরক্ষার বিষয়ে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব রোগী সুরক্ষা দিবস পালিত হয়। এই দিনটি প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে রোগী, চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরা অত্যন্ত আড়ম্বর সহকারে পালন করে থাকেন।
বিশ্ব রোগী নিরাপত্তা দিবস কেন পালিত হয়? এই দিবসটি পালনের উদ্দেশ্য হল রোগীদের নিরাপত্তার বিষয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা। চিকিৎসক এবং রোগীদের মধ্যে দূরত্ব কমাতেও বিশ্ব রোগী নিরাপত্তা দিবস পালিত হয়। এই দিনে বিভিন্ন স্থানে ক্যাম্প স্থাপন করে প্রচার চালানো হয়, যার মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা হয়। যেন প্রতিটি অসুস্থ্য শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যাত্মিকভাবে সুস্থ্যতা লাভ করেন। রোগীদের সুস্থ্য করে যে, আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব সেটা আরো স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যিশুর এই কথার মধ্য দিয়ে সুস্থ্য সবল যারা তাদের তো চিকিৎসকের প্রয়োজন হয় না ; প্রয়োজন হয় তাদেরই ব্যাধিগ্রস্ত যারা। তাই আসুন, আমরাও পোপ মহোদয়ের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করি এবং নিরাময় সম্পর্কের দ্বারা অন্যদেরকে অসুস্থতা থেকে সুস্থ্যতা দান করি।”