মা মারিয়া হলেন আমাদের সকলের মা। সন্তান যেমন মায়ের কোলে পরম শান্তিতে ঘুমাতে পারে। আমরা তেমনি মা মারিয়ার স্নেহতলে আমাদের জীবন ধন্য করে তুলতে পারি। কুমারী মারিয়া তার স্নেহ- যত্নে আমাদের সবসময় আগলে রাখেন এবং আমাদের সকল প্রয়োজন পিতার নিকট তুলে ধরেন। আর তাইতো সকল মানুষ মায়ের আশ্রয় গ্রহণ করে।
মা- মারিয়ার মাস উপলক্ষে গত ১০ মে রোজ শুক্রবার বিকাল ৪.০০ ঘটিকার সময় মুশরইল সেমিনারির পরিচালক ও সেমিনারিয়ানদের উদ্যোগে  এবং মারিয়া বাম্বিনা সিস্টারদের সহায়তায় ডিঙ্গাডুবা রোগীদের আশ্রয় কেন্দ্রে সকল অসুস্থ ব্যক্তির মঙ্গল কামনায় বিশেষ রোজারিমালা প্রার্থনা করা হয়। উক্ত প্রার্থনানুষ্ঠানে সেমিনারির পরিচালক শ্রদ্ধেয় ফাদার শ্যামল জেমজ গমেজ, আধ্যাত্মিক পরিচালক শ্রদ্ধেয় ফাদার অনিল মারান্ডী, ৩ জন সিস্টার, সেমিনারিয়ান ও রোগীসহ প্রায় ৫০ জন অংশগ্রহণ করেন।
প্রার্থনা পরিচালক শুরুতে বলেন, আজকে আমরা বিশেষভাবে প্রার্থনা করব যারা শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক ভাবে অসুস্থ তারা যেন নিরাময়কারী যিশুর হস্তস্পর্শে সুস্থ হয়ে উঠেন। যারা এখানে নানাবিধ অসুবিধার কারণে আশ্রয় নিয়েছেন তারা যেন সুস্থ থেকে সকল কাজ সম্পন্ন করতে পারেন।
প্রার্থনার শেষে শ্রদ্ধেয় ফাদার শ্যামল গমেজ বলেন, মে মাস হলো মা – মারিয়ার মাস আর এসময় আমরা চেষ্টা করছি মায়ের সাথে যাত্রা করতে এবং মায়ের সাথে পথ চলতে। আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম প্রতি শুক্রবার বিভিন্ন হাউজে গিয়ে প্রার্থনা করতে তারই ধারাবাহিকতায় আজকে এখানে আপনাদের সাথে একাত্ম হয়েছি। আর একসাথে একপ্রাণ হয়ে প্রার্থন করার চেয়ে ভালো আর কিছু হতে পারে না। সবকিছুর জন্য সকলকে ধন্যবাদ। আমাদের জন্য প্রার্থনা করবেন। সবাই ভালো থাকবেন।
একজন বৃদ্ধা মা মেরী হেম্ব্রম তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, আজকে তোমরা এসেছ অনেক ভালো লাগছে। আমরা তো মিশায় যেতে পারি না এতদূর তাই এখানে একজন ফাদার থাকলে খুব ভালো হতো। তোমরা ভবিষ্যতে যেন ফাদার হয়ে সেবা দিতে পার সেই প্রার্থনা করি।
পরিশেষে রোগীদের সাথে সাক্ষাৎ এবং ফটোসেশন এর মাধ্যমে বিশেষ রোজারিমালা প্রার্থনানুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : লর্ড রোজারিও 
Please follow and like us: